রাজ্যজুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতির মাঝেই বড়সড় আইনি নোটিশ খবরের শিরোনামে| যে সে নয়, জায়মণ্ডহারবারের বিদায়ী সাংসদ তথা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি এই আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে| কি আছে এই আইনি নোটিশে? এই মাসের ১৫ তারিখ ডায়মণ্ডহারবারের নির্বাচনী জনসভায় নাম না করে মোদি তাঁর বক্তব্যে “দিদি” ও “ভাতিজা” বলে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে| যা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন অভিষেক| এতে তাঁদের সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়েছে| তাই এই আইনি নোটিশ পাওয়ার ৩৬ঘন্টার মধ্যে নরেন্দ্র মোদিকে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে বড় রকমের আইনি পদক্ষেপ করবেন তাঁর মক্কেল অভিষেক,জানিয়েছেন আইনজীবী সঞ্জয় বসু|
বুধবার ডায়মন্ডহারবারের সভা থেকে নাম না-করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো সমালোচনা করেন মোদী। রীতিমতো হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘২৩ মে-র পরেই তালা লেগে যাবে ভাইপোর অফিসে।’ এখানেই শেষ নয়। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার সিংহভাগ জুড়েই ছিল বুয়া-ভাতিজা তথা পিসি-ভাইপোর উদ্দেশে জোরালো আক্রমণ। মোদী বলেন, পিসি-ভাইপোর প্রশাসনিক মডেল বাংলায় ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করেছে। নির্বিচারে চলছে তোলাবাজি, মেয়ে পাচার, গরু পাচার। পাশাপাশি, ভাইপোর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগও আনেন তিনি।
যদিও আইনি নোটিসকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না বিজেপি। দলের এক মুখপাত্র বরং টিপ্পনি কেটে বলেন, “পিসি তো নিজেই বলছেন, চোরের মায়ের বড় গলা। চোর কি মা জোর সে বোলে!”
এদিকে জেলা থেকে উচ্চ আদালত সব জায়গাতেই আইনি কাজ যেখানে বন্ধ রাখা হচ্ছে, সেখানে এই আইনি নোটিশ পাঠানোর জন্য তবে আইনজীবীর এত তৎপর হলেন কীভাবে? বাড়ি-ঘর রেজিস্ট্রি থেকে জামিন অবধি না হওয়ায় যেখানে হাজার হাজার মানুষ নাজেহাল হচ্ছেন, সেখানে কেন শুধুমাত্র নিজের স্বার্থের জন্য আইনজীবীদের ব্যবহার করছেন রাজনৈতিক নেতারা? তবে কি ভোটের সময় শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই আদালতের কাজকর্ম বন্ধ রাখাকে পিছন থেকে মদত দিচ্ছেন কেউ কেউ? এই নোটিশের পর প্রশ্ন করবেন সাধারণ মানুষও|