১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষকে খণ্ডিত করে পাকিস্তানের জন্ম। পাকিস্তান যখন ইসলামিক তখন ভারতবর্ষকে হিন্দুস্থান ঘোষণা না করাটা এক মারাত্মক ভুল যার ফলশ্রুতি রাজনীতিতে মিথ্যাচারের অনুপ্রবেশ হয়েছে। ভারতবর্ষকে হিন্দুস্থান ঘোষণা করাটা অতন্ত জরুরি। কারণ হিন্দু ধর্ম বা হিন্দুত্ব ধর্মান্ধতা নয়, এক জীবনধারা, যার আধারে ভারতের সভ্যতা ও কৃষ্টিবিকশিত। ভারতবর্ষ হিন্দুস্থান ঘোষণা হয়ে থাকলে সব সম্প্রদায়ের মানুষই নিজ নিজ ধর্ম পালন করে দেশমাতৃকার সেবার মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ভারতের উন্নয়নে যোগ দিত কাধে কাধ মিলিয়ে। সেই উন্নয়নে। ভারত থাকত বিশ্বের প্রথম সারিতে। না হওয়ার ফলে হিংসাত্মক কার্যকলাপে মুসলমানদের নামই বেশি করে উঠে এসেছে। কারণ কংগ্রেস কমিউনিস্ট এবং তৃণমূলের ক্ষমতা লিপ্সা, ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশের আড়ালে এদের মিথ্যাচার এবং মুসলমান সম্প্রদায়কে ভোটব্যাঙ্ক রূপে ব্যবহার। এই রাজনৈতিক দলগুলি মুসলমানদের উন্নতির জন্য কোনো সদর্থক ভূমিকা নেওয়া তো দূরের, তোষণ নীতির মাধ্যমে তাদের ভারতের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করে রেখেছে; শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করেছে, তিন তালাক ও নিকাহ হালালের মতো ঘৃণ্য প্রথা, বহুবিবাহ ও বহু সন্তান প্রথা চালু রেখে এদের উন্নয়নের পথ অবরুদ্ধ করেছে। কন্যাশ্রী ইত্যাদির মাধ্যমে সাইকেল ইত্যাদি দিচ্ছে কিন্তু এদের ছেলে-মেয়েরা সরকারি চাকরির জন্য গেলে ১০-১৪ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করছে। এরা ভোটে ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশি মুসলমান ও জঙ্গিদের অবাধ। অনুপ্রবেশের অধিকার দিয়ে ভারতীয় মুসলমান সমাজকে বদনাম করছে। যার জেরে পশ্চিমবঙ্গ আজ অপরাধের স্বর্গবাস ও জঙ্গিদের মরুদ্যান এবং বারুদের স্কুপের দণ্ডায়মান।
অনুপ্রবেশের ফলে স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক দলগুলির ভোট বাড়ে কিন্তু মুসলমানদের ভাঁড়ারে শিক্ষায়, চাকরি ইত্যাদি সবেতেই টান পড়ে, গরিব মুসলমান আরও গরিব হয়ে পড়ে। বাম শাসনকালে তৃণমূলনেত্রী ছিলেন অনুপ্রবেশের বিপক্ষে সব থেকে বেশি সরব আর এখন নিজ শাসনকালে তিনি অনুপ্রবেশের পক্ষে সওয়াল করছেন। এই দ্বিচারিতা এবং গরিবি হঠাওয়ের মিথ্যা স্লোগানে মুসলমানরা বিভ্রান্ত হতে আর রাজি নয়। সকালে মন্দির, দুপুরে মাজার এবং বিকেলে সাম্প্রদায়িক ভাষণের বানভাসি। গরিবি হঠাওয়ের স্লোগান নয়, তোষণও নয়, চাই এখন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা, সামাজিক সুরক্ষা এবং দেশমাতৃকার সেবার দায়বদ্ধতার এক সমৃদ্ধ ও শক্তিধর ভারতবর্ষ যা এক স্বয়ংসেবক ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদীর নেতৃত্বে ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ মন্ত্রেই সম্ভব।
রাষ্ট্রের উন্নয়নে এবং মানুষের কল্যাণে, জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে সমাজের প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করতে সদা নিয়োজিত এক অরাজনৈতিক ও স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শের এক ফলিত রূপ হলো আর এস এস। ভারতীয় জনগণ দ্বারা নির্বাচিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী স্বামী বিবেকানন্দের “জীবে প্রেম করে যেই জন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর’ ও ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ মন্ত্রে দীক্ষিত এক স্বয়ংসেবক। এহেন মোদীজীকে কংগ্রেস, কমিউনিস্ট এবং তৃণমূল সাম্প্রদায়িক তকমায় বিঁধে উঠতে বসতে গালাগাল করছে অথচ মোদীজীকে মুসলমান জগতের আরবের রাজা ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল সেই দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দিয়েছে। প্যালেস্তাইনও ২০১৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মোদীজীকে বিশেষ সম্মান দিয়েছে। সক্রিয় মোদীর জন্য ভারত এগুচ্ছে’– একথা কোনো মোদী সমর্থকের নয়, একথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুসারফের। পাকিস্তান থেকে হাজার হাজার মুসলমান রমণী মোদীজীকে রাখি পাঠাচ্ছেন। মোদীজীর ভূমিকাকে প্রশংসা করে আরব আমিরশাহির সেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আলনায়ান মোদীজীকে সেদেশের সর্বোচ্চ সম্মান জায়েদ মেডেন’ সম্মান ভূষিত করেছেন।
এহেন প্রধানমন্ত্রী মোদীজীর নেতৃত্বে ভারতবর্ষ যখন এক শক্তিধর ও সমৃদ্ধ ভারতবর্ষে রূপান্তরিত হতে চলেছে, যিনি দেশের ও জনগণের কল্যাণে নিজের সংসার ধর্ম ত্যাগ করেছেন, যাঁকে রাষ্ট্রসঙ্ঘ মানব কল্যাণে নানান প্রকল্প বিশেষ করে ‘আয়ুষ্মন ভারত’-এর জন্য ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ ঘোষণা করেছে, সিউল পিস ফাউন্ডেশন শাস্তি পুরস্কারে ভূষিত করেছে এবং রাশিয়ার মতো শক্তিধর রাষ্ট্র রাশিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘অর্ডার অব সেন্ট অ্যান্ড্রু দ্য অ্যাপোস্টেল’ দিচ্ছে, যিনি জঙ্গি নিকাশে ভারতবর্ষ ও ভারতবাসীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ঘটিয়েছেন, অ্যান্টি সাটেলাইট মিসাইল এবং সাবসোনিক ক্রুজ মিশাইল নির্ভয়-এর সফল উৎক্ষেপণ করিয়েছেন যা পাকিস্তান ও চীনের কপালে চিন্তার ভাঁজ এঁকেছে। তিনি তো দুষ্টের দমনে শিষ্টের পালনে এক মূর্ত প্রতীক।
তাঁকে সাম্প্রদায়িক ও দুর্নীতিগ্রস্ত বলা চোরের মায়ের বড়ো গলার মতো এবং আকাশে থুতু ফেলা যা নিজের গায়েই এসে পড়ে। ভারতের চৌকিদার মোদীজীর নেতৃত্বে দেশদ্রোহী, স্বার্থান্বেষী, গরিবের টাকা লুণ্ঠনকারীরা যখন একের পর এক জেলে যাচ্ছে তখন ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক দলগুলির নিজেদের দুষ্কর্ম থেকে বাঁচাতে মহাজোট গঠন করে মোদী হঠাওয়ের পরিকল্পনা চাণক্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। তিনি যথার্থই বলেছেন— চোর, ডাকাত, গুন্ডা, বদমাশ যখন এক হয়ে রাজার বিরোধিতা করবে তখন জানবে রাজা সঠিক পথে এগুচ্ছেন।
ডাঃ মদনলাল চৌধুরী
2019-05-17