প্রচারের সময় শেষ হয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবার রাত দশটায়। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর চরম উত্তেজনা ছড়াল দমদম নাগের বাজার এলাকায়।
বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং দমদম কেন্দ্রের প্রার্থী শমীক ভট্টচার্যকে ঘিরে ধরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে বলে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ।বৃহস্পতিবার সন্ধে বেলা দমদম সেন্ট্রাল জেল মাঠে সভা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। জানা গিয়েছে প্রধামন্ত্রীর সভার পরই নাগের বাজার এলাকায় এক পরিচিতর পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান মুকুল রায় এবং শমীক ভট্টাচার্য।
মুকুল রায় রয়েছেন শুনেই ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে স্থানীয় তৃণমূলের বাহিনী। যত সময় এগোয় তত জমায়েত বাড়তে থাকে তৃণমূলের। অভিযোগ, তৃণমূল লাগাতার ইট, পাথর ছুড়তে শুরু করে ওই বাড়ি লক্ষ্য করে।মুকুল রায় যাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেই জনৈক রাজু বলেন, “আমার স্ত্রীর জন্মদিন ছিল। আমি মুকুল রায়কে ডেকেছিলাম। বলেছিলাম আশীর্বাদ করে যাও। আমি দীর্ঘদিন মুকুল রায়ের সঙ্গে আছি। আমার বাড়ির অনুষ্ঠানে উনি তো আসবেনই।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল ভেবেছে প্রচার শেষ মানে কেউ কারও বাড়িতে যেতে পারবে না। তা তো হয় না। আমরা কমিশনে কথা বলেছি।”মুকুল রায় ফোন করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে। নিরাপত্তার দাবি জানান।
সূত্রের খবর রাত বারোটা নাগাদ সেখানে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।তৃণমূলের অভিযোগ, প্রচার শেষের পরও মুকুল রায় দমদমে কী করছেন। এটা ওঁর এলাকা নয়। নিয়ম অনুযায়ী ও থাকতে পারেন না। জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে টাকা বিলির অভিযোগ তুলেছে শাসক দল।
মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, শনিবার পর্যন্ত দমদমে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁকে অনুমতি দিয়েছে কমিশন। এডিজি আইন শৃঙ্খলা সিদ্ধিনাথ গুপ্তা বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল। ফোর্স পৌঁছেছে।”
পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ঘটনা আরও একবার দেখিয়ে দিল রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার আসল ছবিটা। একজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ও একজন প্রার্থীকে ভোটের দু’দিন আগে শহরের বুকে ঘেরাও হয়ে থাকতে হচ্ছে। তাঁদের মতে, দশটার পরে মুকুল রায়ের দমদমে থাকা যদি নিয়মবহির্ভূত হয় সেটা তো কমিশনের দেখা উচিত। কেন তৃণমূল করবে।
সব দেখে অনেকেই বলছেন, অন্যান্য জায়গার মতো দমদমের পরিস্থিতি নিয়েও আলাদা করে ভাবতে হবে কমিশনকে।