করোনায় কাঁপছে ইউরোপ। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে মহাদেশটির একের পর এক রাষ্ট্রের উপর। কয়েকদিন আগেই মারণ ভাইরাসটিকে রুখতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল ফ্রান্স। তারপর বিধিনিষেধ লাগু করে ইটালি। এবার আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল স্পেন (Spain)।
BBC সূত্রে খবর, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ জানিয়েছেন, রাত ১১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত চলবে নাইট কারফিউ। গতকাল বা রবিবার থেকেই জারি হয়েছে এই বিধিনিষেধ। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, জরুরি অবস্থা চলাকালীন স্থানীয় প্রশাসনের হাতে বেশ কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যেমন সংক্রমণ রুখতে যাতায়াত নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে প্রদেশগুলিকে। আপাতত ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হলেও তা বাড়িয়ে ৬ মাস করার জন্য সংসদে আবেদন করবেন বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সানচেজ। রবিবার জনতার উদ্দেশে বার্তায় স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। গত পঞ্চাশ বছরে এতো বড় বিপদ দেখা দেয়নি।”
উল্লেখ্য, করোনা মহামারীতে ইউরোপের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম স্পেন। সে দেশে এপর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫ হাজার মানুষের। আক্রান্ত ১০ লক্ষেরও বেশি। শুরু দিকে যাতায়াত নিষিদ্ধ করা থেকে আরম্ভ করে সবচেয়ে কঠিন লকডাউন জারি করে দেশটি। এতে কিছুটা সুফলও মেলে। কিন্তু গত কয়েকদিনে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশটিতে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের জরুরি অবস্থা জারি করল দেশটি।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই জরুরি অবস্থা জারি করেছে ফ্রান্স (France)। নয়া নিয়মে দেশের ৯টি শহরে রাত ন’টা থেকে ভোর ছ’টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। এই নাইট কারফিউ, চলবে অন্তত ৪ সপ্তাহ। এই ৬টি শহর হল, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস, গ্রেনোবাইল, লিলি, লিয়ঁ, আইক্স-মার্শেই, সেন্ট এটিনে, টিউলস, আইল-ডে-ফ্রান্স এবং মন্টপেলিয়ার। যদি কেউ এই কারফিউ ভঙ্গ করেন তবে তাঁকে ১৩৫ ইউরো জরিমানা দিতে হবে। তারপরই একইভাবে বিধিনিষেধ জারি করে ইটালি।