একটা করে ম্যাচ হয়েছে আর প্রশ্ন উঠেছে ধোনির নেতৃত্বেই তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এই চেন্নাই? এ কোন চেন্নাই, যারা এবার প্লে-অফ থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে? খোঁচা খাওয়া বাঘের মতোই যেন দশেরায় ঘুরে দাঁড়ালেন সেই হলুদ জার্সিধারীরা। গত সাক্ষাতে হারের প্রতিশোধ তো বটেই, লাগাতার হারের পর জয়ের সরণিতেও ফিরল ধোনির চেন্নাই। আর সেই সঙ্গে দীর্ঘায়িত হল বিরাটের ব্যাঙ্গালোরের প্লে-অফে পৌঁছনোর রাস্তা।
স্যাম কুরান, দীপক চাহারদের ঝোড়ো বোলিং, ফ্যাফ ডু-প্লেসির অসাধারণ সমস্ত ক্যাচ, টপ-অর্ডারের ব্যালেন্স ব্যাটিং- এসবই যেন এতদিন কোথায় লুকিয়ে ছিল। চেন্নাই সমর্থকরা দশেরাতেই দলের সবদিক থেকে জ্বলে ওঠার সাক্ষী রইলেন। আর সেই সৌজন্যেই হারের হ্যাটট্রিকের পর এল কাঙ্খিত জয়। ফলে আইপিএল থেকে এবারের মতো ছিটকে গেলেন ধোনিরা- একথা এখনই বলা যাবে না। যদিও প্লে-অফে পৌঁছনো চেন্নাইয়ের কাছে অত্যন্ত কঠিন। কারণ শুধু নেট রান রেট বাড়িয়ে জিতলেই হবে না। একইসঙ্গে অন্য দলগুলির ফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।
তবে এবার আইপিএলে আরসিবি যে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে, সেখানে ধোনিদের কাছে খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই যেন ধাক্কা খেলেন কোহলিরা। ভেবেছিলেন চেন্নাইকে মাটি ধরিয়ে প্লে-অফ কার্যত নিশ্চিত করে ফেলবেন। কিন্তু কুরান, স্যান্টনাররা তেমনটা হতে দিলেন না। কুরান তিনটি ও চাহার দুটি উইকেট তুলে নেন। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই ফিরে যান দুই ওপেনার পাড়িক্কল ও ফিঞ্চ। তবে তারপর দলের হাল ধরেন এবি ও কোহলি। দুরন্ত হাফ-সেঞ্চুরিও আসে ক্যাপ্টেনের ব্যাট থেকে। কিন্তু স্কোরবোর্ডে ১৪৫ রানটা লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। বিশেষ করে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে যে ছন্দে পাওয়া গেল, সেখানে বিপক্ষ দলের আত্মসমর্পণ ছাড়া যেন উপায় থাকে না। ভাল সঙ্গ দিলেন আম্বাতি রায়ডুও। তবে উইকেটে এদিনও বেশ স্লো ব্যাটিং করলেন ধোনি। কিন্তু স্বস্তি একটাই, সেই আগের মতোই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ক্যাপ্টেন কুল (১৯*)।
এই ম্যাচের পর আট পয়েন্ট নিয়ে একধাপ উঠে সাত নম্বরে এল চেন্নাই। নেট রান রেটে পিছিয়ে লিগ তালিকার একেবারে নিচে নেমে গেল রাজস্থান।