আমার কিছু কষ্ট আছে।
কষ্ট নিয়েই আমি বাঁচি।
মন কে বলি রোজ সকালে
বেশ তো আছি, ভালই আছি।
মাঝে মাঝে ফাগুন হাওয়া
কেমন যেন ডাক দিয়ে যায়,
পাগলা মন কে শাসন করে
ফেরাই তাকে পূবালী বায়।
আমার মতো অনেক যারা
উল্টো হাওয়ার পাগলাক্ষ্যাপা,
দুঃখ যাদের জীবন গাথা
কষ্ট দিয়ে জীবন মাপা!
তাদের সকল কষ্টগুলো
রাখি মুড়ে পদ্মপাতায়-
জীবন টা কে ভাসিয়ে দিয়ে
শঙ্খচিলের ইচ্ছেডানায়।
মেঘ চিরে ওই বিজলীরেখা
কানের কাছে রিম্ ঝিমিয়ে
আজও ডাকে চল না পালাই,
থাকবি কেন কষ্ট নিয়ে!!
দুঃখ নামের প্রদীপ টা কে
হালকা হাওয়ায় উস্কে দিয়ে
বেশ তো আছি, ভালই আছি
বাঁচবো না হয় কষ্ট নিয়ে।।
মেঘ,বৃষ্টি,জল
বৃষ্টি তুমি ব্যস্ত কেন এত?
সারাটা দিন টাপুর টুপুর খেলা!
ভাঙলো কুটির, ভাঙছে শহর গ্রাম
অঝোরধারায় শেষ হয়ে গেল বেলা!
অজয় নদের ভেঙেছে দুই পার ।
দুলছে তিস্তা দূরন্ত উচ্ছাসে
গবাদি পশুর প্রাণকাড়া হাহাকার
মেঘের ভ্রুকুটি তরিৎশিখায় হাসে।
গরীব চাষীর ভেঙেছে মাটির দাওয়া
একলা মায়ের ভাঙলো ঘরের চাল ।
তোমার জন্য উথাল মাতাল হাওয়া
জল থৈ থৈ শহর, গ্রামের আল্।
এবার তো থামো, আকাশ তোমাকে ডাকে।
রোদ্দুরকেও চিঠি দিয়ে ডেকে আন।
হাসুক সূর্য নীল আকাশের ফাঁকে ,
আগমনী সুরে মাতুক সবার প্রাণ।
ধ্বংসলীলা এবার থামাও তুমি
বিনাশকারী রূপ বদলাও ত্বরা।
কাঁদছে সবাই এবার তুমি থামো,
স্নিগ্ধরূপে সবুজ কর ধরা।।