চরম আতঙ্কে ভুগছে মমতা সরকার। একদিকে দলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) প্রতিটি জনসভায় গিয়ে দাবি করছেন তৃণমূল ৪২ এ বিয়াল্লিশ পাবে। আরেকদিকে বিজেপির আতঙ্কে ভুগে বিজেপি নেতাদের সভা বাতিল করছে রাজ্য থেকে। গণতন্ত্রের বুলি আওড়ানো মমতা ব্যানার্জী রাজতন্ত্র চালাতে বিজেপির একের পর এক সভা বাতিল করে চলেছে। ভোট ঘোষণা হওয়ার আগে এরাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কমপক্ষে ৫০ টি সভা বাতিল করেছিল মমতা ব্যানার্জীর সরকার। এমনকি বনগাঁয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাও বাতিল করার চেষ্টা করেছিল এই সরকার। কিন্তু বহু কাঠখড় পুড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভা করানো হয়।
আর ভোট ঘোষণার পরেও সেই ট্র্যাডিশন বজায় রাখল মমতা ব্যানার্জী। গতকাল দুপুরে যাদবপুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ (Amit Shah) যাদবপুরের দলীয় প্রার্থী অনুপম হাজরার সমর্থনে একটি জনসভা করতেন। কিন্তু রাজ্য সরকার হেলিকপ্টার নামার অনুমতি না দেওয়ায় ওই সভা বাতিল করতে বাধ্য হয় বেজেপি নেতৃত্ব। মনে রাখবেন এটা সেই যাদবপুর লোকসভা, যেখানে তৃণমূলের যুবরাজের হেলিকপ্টার নামার জন্য ১০০ বছরের প্রাচীন গাছকে কেটে ফেলা হয়েছিল।
অমিত শাহ এর সভা বানচাল করার পর, এবার উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সভা বানচাল করলো মমতা সরকার। আগামী বুধবার বেহালার জেমস লং সরণিতে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী চন্দ্র বসু সমর্থনে সভা করার কথা ছিল যোগীর। কিন্তু যোগী আতঙ্কে ভুগে সেই সভার অনুমতি দিলো না রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারের এরকম স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপি নেতা সুনীল দেওধর বলেছেন, ‘ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলাশাসক এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা তৃণমূলের দলদাসের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। সে কারণেই সভা বাতিল করা হচ্ছে। ” যদিও এই সভা বাতিল নিয়ে এখনো কোন প্রতিক্রিয়া দেয়নি রাজ্য সরকার।