আইপিএলে আজ জোড়া মহারণ। প্রথম ম্যাচে লাগাতার হারে বিধ্বস্ত কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মুখোমুখি হচ্ছে সদ্য জয়ে ফেরা কেকেআর (KKR)। আর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক বনাম প্রাক্তন অধিনায়ক দ্বন্দ্ব।
কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (Kings XI Punjab)। ঐতিহাসিকভাবে আইপিএলের (IPL 13) এই ম্যাচটা ক্রিস্টোফার হেনরি গেইলের বরাবর ভাল যায়। মিডিয়ার পক্ষেও যথেষ্ট মুচমুচে বিষয়। ক্রিস গেইল বনাম কেকেআর, কবে আর নিরামিষ আবহ সৃষ্টি করেছে? একটা সময় নাইট রাইডার্স জার্সি গায়ে খেলে গিয়েছেন গেইল। কিন্তু কেকেআর তাঁকে রাখেনি। এবং পরবর্তীতে বিরাট কোহলির আরসিবি (RCB) জার্সিতে হোক কিংবা কিংস ইলেভেনের হয়ে, নাইটদের দেখলেই ‘গেইল স্টর্ম’ আছড়ে পড়েছে বেশ কয়েক বার, নির্দয় হয়ে উঠেছে ক্যারিবিয়ান দৈত্যের ব্যাট। একটা পরিসংখ্যান খুঁজে পাওয়া গেল। চিন্নাস্বামীর পর ইডেনেই গেইলের রান সবচেয়ে বেশি। ৫৬০। একটা সেঞ্চুরি এবং চারটে হাফ সেঞ্চুরি! স্ট্রাইক রেট ১৬০! যা কি না আইপিএল ইতিহাসে নির্দিষ্ট কোনও কেন্দ্রে কোনও ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট। আর সেটা যে অধিকাংশ সময়ই ইডেনের ঘরের টিমের বিরুদ্ধে এসেছে, বলা বাহুল্য। কিন্তু প্রশ্ন হল, টানা হারে জর্জরিত কিংস কি শেষ পর্যন্ত কেকেআরের বিরুদ্ধে গেইলকে নামাতে পারবে? আর নামালেও বা ‘ইউনিভার্স বস’ কতটা কী করতে পারবেন?
বলাবলি চলছে, তাঁর নেমে পড়ার একটা জোরালো সম্ভাবনা আছে। কিন্তু আবু ধাবির গরম সামলে একচল্লিশ বছরের গেইল নেমে কী করতে পারবেন, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। তার উপর বহু দিন ক্রিকেট থেকে দূরে। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। শেষ খেলেছিলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। আর কে না জানে, গেইল নামলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে প্যাট কামিন্স লেলিয়ে দেবে কেকেআর? কামিন্স সামলানো গেইলের পক্ষে সম্ভব কি না, সেটা কিন্তু বড় প্রশ্ন।
অন্যদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে বিরাট বনাম ধোনির লড়াই। শেষ পাঁচ সাক্ষাৎকারে চারবারই বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। যদি পরিসংখ্যানের কথা বলেন, তাহলে আরসিবি নিয়ে খুব বেশি চিন্তা থাকার নয় চেন্নাই শিবিরে। কিন্তু বিরাট-যুদ্ধের আগে টিম চেন্নাই আর নিশ্চিন্তে থাকতে পারছে কোথায়? এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত ছ’টা ম্যাচের মধ্যে দু’টোতে জিতেছে সিএসকে। গত ম্যাচে কেকেআরের বিরুদ্ধে জেতার মতো জায়গায় থেকেও হার। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে। চেন্নাইয়ের আরও একটা সমস্যা হল, মিডল অর্ডারে কেউ রানই করতে পারছেন না। কেকেআরের বিরুদ্ধেও সেটা হয়েছে। শেন ওয়াটসন আউট হওয়ার পর আর কেউ রানই করতে পারেনি। ওয়াটসন বলছেন, “সুনীল নারিনের ওই তিন ওভার আমাদের মোমেন্টাম পুরো নষ্ট করে দেয়। এই সব ম্যাচগুলোতে যেখানে ১৭-১৮ ওভারে রান তাড়া করে দেওয়া যেত, সেখানে আমরা মোমেন্টাম হারিয়ে ফেললাম।” কেদার যাদবের ফর্ম আরও চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে। রবীন্দ্র জাদেজা ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে পারছেন না। স্যাম কুরানও তাই। শনিবারের আরসিবি ম্যাচ নিয়ে ওয়াটসন বললেন, “আগের ম্যাচের হারটা আমাদের সবাইকে প্রচণ্ডভাবে যন্ত্রণা দিয়েছে। টিমের সবাই এখন পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর।”