আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। ‘দেশের সবচেয়ে বড় উৎসবে’ অংশ গ্রহণ করবেন বাঁকুড়া জেলার মানুষ। ভোট গ্রহণের আগের দিন তাপমাত্রা প্রায় ৪৪ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। এর মধ্যেও সকাল থেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোট কর্মী দ্বারা বাঁকুড়া খ্রিষ্টান কলেজ মাঠে ও বিষ্ণুপুর কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ডিসিআরসি সেন্টার খোলা হয়েছে।
এখান থেকেই ভোট কর্মীরা ভোট সামগ্রী সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। এবার এই জেলার দুই কেন্দ্রে ২৭ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯৬৩ জন ভোটার ইভিএমের বোতাম টিপে মোট ২৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। এবার এখান থেকে কোন দুই প্রার্থী আগামী পাঁচ বছরের সংসদে যাওয়ার ছাড়পত্র আদায় করবেন তার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত।
তার আগে এদিন সকাল থেকে ভোটের কাজে নিযুক্ত ভোট কর্মীরা এখান থেকেই নির্দিষ্ট ভোট কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন। এবারের ভোটে ১০০ শতাংশ বুথে নিরাপত্তা দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার খবরে অনেকটাই নিশ্চিন্ত ভোট কর্মীরা। তবে কেউ কেউ গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের কথা মনে করে আশঙ্কার দোলাচলে ভূগছেন। যদিও প্রশাসনিক স্তরে ভোট কর্মীদের অযথা আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটকর্মী বলেন, গত পঞ্চায়েত জঙ্গল মহলের রানীবাঁধে ভোটের দায়িত্বে ছিলাম। খুব ভালো একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি ফিরিনি। তবে এবার একশো শতাংশ বুথেই নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবেন। ফলে আগেরবারের মতো অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হবেই না বলে তিনি মনে করছেন।
ভোটের আগের তীব্র তাপপ্রবাহ ভাবাচ্ছে সকলকেই। ডিসিআরসি সেন্টার গুলিতে যথেষ্ট পরিমানে পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবুও অনেকে আখের রসের উপরেই ভরসা রাখছেন। খ্রীশ্চান কলেজ মাঠের সামনে আখের রস বিক্রেতার কাছ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মী থেকে ভোট কর্মী সকলেই লাইন দিয়েছেন। এমন ছবিও ধরা পড়লো আমাদের ক্যামেরায়। সব মিলিয়ে নির্বিঘ্নে ভৌট করানো যেমন প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ, তেমনি নিশ্চিন্ত, নিরাপদে ভোট দিয়ে ও ভোট করিয়ে যেন সাধারণ ভোটার থেকে ভোটকর্মী সকলেই সুস্থ দেহে ও সুস্থ মনে বাড়ি ফিরতেই এখন সেটাই চাইছেন সকলে।