ঘূর্ণিঝড় ফণী যত না প্রভাব ফেলেছিল বাংলায়, তার চেয়ে বেশি ফণা তুলেছে ঝড় পরবর্তী মোদী-মমতা বাকযুদ্ধ। সেই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “উনি এক্স প্রাইম মিনিস্টার। কথা বলতে হলে নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বলব। ওঁর সঙ্গে কেন বলব?” দিদির এই মন্তব্য নিয়েই বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়ার জনসভা থেকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, “দিদি আমায় প্রধানমন্ত্রী মানেন না। কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে মানেন।”
ফণীর পর মুখ্যমন্ত্রীকে দু’বার ফোন করেছিলেন মোদী। কিন্তু মমতা ঔদ্ধত্য দেখিয়ে সেই ফোন ধরেননি বলে অভিযোগ বিজেপির। তারপর মোদী যেদিন ঝাড়গ্রাম আর হলদিয়ায় সভা করতে এলেন, সে দিনও কলাইকুন্ডাতে প্রশাসনিক বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সাড়া দেয়নি নবান্ন। ফোন না ধরা নিয়ে মমতার যুক্তি, মোদী যখন কলকাতায় ফোন করেছিলেন, তিনি তখন খড়্গপুরে। তাই সুযোগ ছিল না। বৈঠক নিয়ে বলেছিলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে এসে এই বৈঠকে তিনি যাবেন না। উপরি যোগ করেছিলেন, তিনি মোদীকে প্রধানমন্ত্রী মানেন না।
এর আগে কাঁকর ভরা মাটির রসগোল্লা মোদীকে খাওয়াবেন বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। বলেছিলেন খাবে আর দাঁতগুলো কচ কচ করে ভেঙে যাবে। তারপর দুদিন আগে বলেন, তাঁর মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় মোদীকে কষিয়ে গণতন্ত্রের থাপ্পড় মারতে। এ দিন সেই প্রসঙ্গেই মোদী বলেন, “দিদি কত গালি দিচ্ছেন! পাথর, থাপ্পড় সব বলছেন। ডিক্সনারিতে যত গালি আছে সব আমি হজম করে নেব। কিন্তু সংবিধানের অপমান হজম করব না।” তাঁর কথায়, “দিদির এ সব কথাতেই পরিষ্কার, তিনি কতটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন!”
বালাকোটে বায়ুসেনার বিমান হামলা প্রসঙ্গের আরও একবার অবতারণা করেন মোদী। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, “এখানে এখন পুজো করতে হয় ভয়ে ভয়ে। শিক্ষক, প্রফেসর, শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে ভগবানের নাম নিলেও আক্রান্ত হতে হয় দিদির বাংলায়।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে জোড়া জনসভা রয়েছে মমতার। এখন দেখার, দিদি মঞ্চ থেকে মোদীর বিরুদ্ধে নতুন কোন শব্দবন্ধ দিয়ে আক্রমণ শানান।