শনিবার সকালে বনগাঁ লোকসভার অন্তর্গত উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানার হাঁসপুর এলাকায় দলের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন বনগাঁ লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। প্রচার করার সময় একটি জাইলো গাড়ি শান্তনু ঠাকুরকে লক্ষ্য করে ধাক্কা মারে। ঘটনা স্থলেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে যান বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই বিজেপি কর্মীরা ওনাকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওনার মাথায় ও হাতে গুরুতর আঘাত লেগেছে।
এই ঘটনার গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়, শান্তনু ঠাকুরকে আহত করেই গাড়ি ফেলে চম্পট দেয় ড্রাইভার। এলাকার উত্তেজিত জনতা ওই ঘাতক গাড়িটিকে ভাঙচুর চালায়। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক দেবর্ষি বিশ্বাস বলেন, ‘ এই ঘটনার পিছনে সরাসরি তৃণমূলের হাত রয়েছে। ওই গাড়িতে পুলিশের স্টিকার মারা ছিল। এরকম গাড়ি হয় তৃণমূল না হয় পুলিশ ব্যাবহার করতে পারে।” দেবর্ষি বিশ্বাস বলেন, তৃণমূল রাজনীতিতে না পেরে এখন খুনোখুনিতে নেমেছে। এর যোগ্য জবাব দেবে জনতা।
বর্তমানে বিজেপির প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর এখন বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির কর্মীর যশোর রোড অবরোধ করেন। বিজেপির কর্মীরা বলেন ‘ আমদের প্রার্থীকে প্রাণে মারার চেষ্টা করছে তৃণমূল, জনগণ এর চক্রান্তের জবাব EVM এ দেবে। আমরা সন্ত্রাসের কাছে মাথা নোয়াইনি, আর নোয়াবও না।”
যদিও তৃণমূল থেকে চিরাচরিত ভাবে সম্পূর্ণ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। বনগাঁর তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, এটা নিছকই দুর্ঘটনা মাত্র। বিজেপি শুধু শুধু এতে রাজনীতি টেনে আনছে। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের কোন চক্রান্ত নেই বলে জানান তিনি।