উহান ল্যাবে চিন আর পাকিস্তান মিলে তৈরি করছে জৈবিক হাতিয়ার

উহান ল্যাব থেকে করোনার ভাইরাস ছড়ানোর বিষয়টি চিন (China) স্বীকার না করলেও, এখন ওই ল্যাবেই তৈরি হচ্ছে বিপজ্জনক জৈবিক অস্ত্র । এই বিষয়টিতে চিনেকে সমর্থন করছে তাদের চিরবন্ধু পাকিস্তান (Pakistan)। অস্ট্রেলিয়ার একটি ওয়েবসাইট ‘দ্য ক্ল্যাক্সন’ এ বিষয়টি প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিন ও পাকিস্তান মিলে গোপনে তিন মাসের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। যার মধ্যে উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে জৈবিক অস্ত্র তৈরির চুক্তি আছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে উহান ল্যাবের বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে পাকিস্তানে ‘প্রাণী থেকে মানুষ’ মারত্মক রোগজীবাণু নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করে আসছেন। গবেষণায় ৭, ০০০-এরও বেশি পাকিস্তানি কৃষক, গবাদিপশু এবং ২,৮০০ এরও বেশি উট এবং অন্যান্য প্রাণী রয়েছে। এই সমীক্ষায় চিন পাকিস্তানকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে। প্রতিবেদনে আরও একটি চমকপ্রদ বিষয় প্রকাশিত হয়েছে যে চিন ও পাকিস্তান তাদের ‘চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর- এর নামে উহান ল্যাবের বিজ্ঞানীদের একটি দলকে নিয়ে এই বিপজ্জনক খেলা খেলছে। বিশ্বের চোখে, চিন তেল আমদানির জন্য ‘চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর’ গঠন করেছিল এবং পরবর্তীতে শক্তি এবং বিদ্যুৎ প্রকল্পকে যুক্ত করার জন্য এর পরিধি আরও বেড়ে যায়। এখন গত মাসে গোপনে তিন বছরের চুক্তি করে বিপজ্জনক জৈবিক অস্ত্র তৈরির কাজও এই প্রকল্পের অংশ করা হয়েছে।

চিন্তা বাড়িয়েছে আরও একটি তথ্য। সম্প্রতি এক মার্কিন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আল কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনও জৈব অস্ত্র কেনার চেষ্টা করছে। আর পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য বরাবরই। এই পরিস্থিতি পাকিস্তানি সেনার ডিফেন্স সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি অর্গানাইজেশন নাকি ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস ও অ্যাসিলাস থুরিংজিয়েনিসিস-এর মতো মারাত্মক ভাইরাস ইতোমধ্যে তুলে দিয়েছে চিনের হাতে। ফলে যত দিন যাচ্ছে, ততই আশঙ্কার পারদ চড়ছে। এমনকী মনে করা হচ্ছে, প্লেগ, ইবোলা, এসএআরএস-এর মতো ভাইরাসকেও জৈবিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে চিন ও পাকিস্তান

প্রতিবেদন অনুসারে, গবেষণার জন্য কয়েক হাজার পাকিস্তানি পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের রক্তের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ান ওয়েবসাইট দাবি করেছে, চিন ও পাকিস্তান দেখাচ্ছে যে তারা পশুদের দ্বারা সংক্রামিত রোগ নিয়ে গবেষণা করছে আসলে এই সবের আড়ালে রয়েছে জৈবিক অস্ত্র তৈরির গবেষণা। এই ভাইরাসগুলির জন্য বর্তমানে কোনও ভ্যাকসিন বা সঠিক নিরাময় নেই। এর মধ্যে কয়েকটিকে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক এবং সংক্রামক ভাইরাস হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

পত্রিকাটির দাবি অনুযায়ী, উহানের ওই ভয়ংকর ল্যাবে ইতোমধ্যে অ্যানথ্রাক্স-সহ বেশ কিছু ভয়ংকর ভাইরাস নিয়ে যৌথ গবেষণা শুরু করেছে চিন ও পাকিস্তান। তাতে সাফল্য মিললেই ভারত-সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশকে টার্গেট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনার গবেষণা শাখা ডিফেন্স সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি অর্গানাইজেশন ও উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলোজি একযোগে সেই পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে। আশঙ্কার খবর হল, করোনার এই প্রবল প্রকোপের সময়ই চিন জৈবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে ।

দ্য ক্ল্যাকসনের প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানের বিজ্ঞানীরা চিনের উহান ল্যাবে জৈবিক অস্ত্রের বিকাশ, পরিচালনার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন যাতে তারা ভবিষ্যতে নিজের দেশে জৈবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে। উহান ল্যাব পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি সংস্থার সাথে একটি চুক্তি করেছে, যে পাকিস্তানের বিজ্ঞানীরা দ্রুত ছড়িয়ে পড়া সংক্রামক এই রোগগুলি প্রতিরোধের জন্য গবেষণা করবেন, তবে এই বিষয়টির সত্যতা সামনে আসেনি, কারণ এই চুক্তির পিছনে বিপজ্জনক জৈবিক অস্ত্র তৈরির খেলা চলছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.