স্বামী সিআরপিএফ–এ (CRPF) কর্মরত। শেষবার দু’জনের দেখা হয়েছিল জানুয়ারি মাসে। লকডাউনের দীর্ঘ পর্বে স্ত্রী বাড়ি ফেরার জন্য বারবার বললেও ছুটি পাননি ওই জওয়ান। একাকীত্বের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যাই করে বসলেন তাঁর স্ত্রী। মর্মান্তিক ঘটনা তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর জেলার সুলুর ব্লকের। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৪ বছর বয়সি সঙ্গীতা নামে ওই মহিলার ঝুলন্ত মৃতদেহ।
জানা গিয়েছে, রাজেশ কুমার নামে ওই জওয়ান ২০১৭ সালে চেন্নাইয়ে (Chennai) কর্মরত ছিলেন। সেখানেই সঙ্গীতার সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে ওঠে। এরপর ওই বছর আগস্ট মাসেই সঙ্গীতার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। বিয়ের পরও সমস্ত কিছুই ঠিক ছিল। এরপরই নাগাল্যান্ডে বদলি হন রাজেশ। স্ত্রীকে মুথুগোন্দেনপুরের বাড়িতে রেখেই কাজে যোগ দেন।
এরপর চলতি বছর জানুয়ারিতে ছুটি নিয়ে বাড়িও ফিরেছিলেন রাজেশ। ছুটি কাটিয়ে ফের চলে গিয়েছিলেন নাগাল্যান্ডে। এরপর ফোন, ভিডিও কলে যোগাযোগ ছিল স্ত্রীর সঙ্গে। কিন্তু মার্চ মাসের শেষে করোনার কারণে গোটা দেশে লকডাউন জারি হয়। তখন থেকেই সঙ্গীতা তাঁর স্বামীকে ফের বাড়ি ফেরার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কোনওভাবেই ছুটি পাচ্ছিলেন না রাজেশ। আর তাই শেষপর্যন্ত এই চরম পথই বেছে নিলেন সঙ্গীতা।
জানা গিয়েছে, গত ১৮ আগস্টও রাজেশের সঙ্গে সঙ্গীতার সামান্য বাকবিতণ্ডাও হয় এই বাড়ি ফেরা নিয়ে। সঙ্গীতা জানায়, বাড়িতে তাঁর বড় একলা লাগছে। এরপরই ফের একবার রাজেশকে ছুটি নেওয়ার জন্য আবেদন জানাতে বলেন। কিন্তু রাজেশ জানায়, তিনি ছুটি পাবেন না। শেষে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দেন সঙ্গীতা। সেই হুঁশিয়ারিই বাস্তব হয়ে উঠল। ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।