মোদী সরকারের আমলে কৃষক সমাজের অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে।সয়েল হেলথ কার্ড ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষক তার আয় লাগাতার বৃদ্ধি করছে। যদি কৃষকদের উপর প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসে পড়ে তাও ভারত সরকার তৈরি। সম্প্রতি সরকার ঘোষণা করেছে, খারাপ হওয়া ফসলকেও সরকার কিনে নেবে। তো অন্যদিকে কৃষকরাও রেকর্ড ভাঙা লক্ষ প্রাপ্তি করেছে। এখন পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ২০১৯-২০ খারিফ মরসুমে ১৪.৭৯ কোটি টন খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে চাল উৎপাদন ১০.২ কোটি টন রাখার অনুমান করা হয়েছে।কৃষি মন্ত্রণালয়ের দ্বারা জারি এই লক্ষকে আবহাওয়া দপ্তর(IMD) এর আবহাওয়া পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় কৃষি সম্মেলনে (খারিফ অভিযান-২০১৯) আধিকারিকরা বলেন, আগামী খারিফ মৌসুমে চাল উৎপাদন ১০.২ কোটি টন হতে পারে। ভুট্টার উৎপাদন ২.১৩ কোটি টন হতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন আধিকারিকরা। অনাজের উৎপাদন ৩.৫৮ কোটি টন, ডালের উৎপাদন ১০১ লাখ টন থাকতে পারে। বর্ষজীবি ফসল জোয়ারের উৎপাদন ২১ লক্ষ টন থাকতে পারে।এছাড়াও তৈল বীজ উৎপাদন ২৫৮.৪ লক্ষ টন থাকার অনুমান রাখা হয়েছে। কার্পাসের উৎপাদন ৩৫৭.৫ লক্ষ গাঁঠ ( ১গাঁঠ তে ১৭০ কিলো) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজরা ও রাগির উৎপাদন যথাক্রমে ৯৫ লক্ষ টন এবং ২৩ লক্ষ টন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার জিরো বাজেটে ন্যাচারাল ফার্মিংয়ের উপরেও জোর দিতে শুরু করেছে।
আসলে ভারতে এখন যে কৃষি হয় সেখানে বিষাক্ত রাসায়নিক সার ব্যাবহার করা হয়। ফলস্বরূপ কৃষকের টাকা অপচয় হয়, মাটি বিষাক্ত হয় এবং খাদ্যের মধ্যে বিষের পরিমান বৃদ্ধি পায়।এই রাসায়নিক সার উৎপাদন কোম্পানিগুলো সবই বিদেশি। যারা ব্রিটিশ আমল থেকে ভারতে কবজা বসিয়ে কৃষকদের মূর্খ বানিয়ে নিজের অর্থ বৃদ্ধি করছে। এই রাসায়নিক সার উৎপাদন কোম্পানিগুলো নিজেদের দেশে রাসায়নিক সার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে কিন্ত ভারতকে নিজেদের মার্কেট বানিয়ে নিয়েছে। যার জন্য ভারতকে ক্যানসারের মতো রোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এখন সরকার পুনরায় কৃষকদের ন্যাচারাল ফার্মিং করার জন্য জোর দিচ্ছে। অন্দ্রপ্রদেশ ও হিমাচল প্রদেশের মতো রাজ্য গুলিতে জিরো বাজেটে ন্যাচারাল ফার্মিং প্রমোট করার উপর ব্যাপকভাবে কাজ চলছে।