পরপর তিন বছর, বিশ্বের সর্বাধিক দূষিত রাজধানী দিল্লি : সমীক্ষা

 বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানীর তালিকায় এক নম্বরে নয়াদিল্লি। পর পর তিন বছর এই স্থান দিল্লি ধরে রাখল বলে সমীক্ষায় প্রকাশ। ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত করা এয়ারবোর্ণ পার্টিকলের পরিমান বাতাসে পিএম ২.৫। সুইস গ্রুপ আই কিউ এয়ারের সমীক্ষা এমনই তথ্য তুলে ধরেছে।

সমীক্ষা বলছে বিশ্বের ৫০টি সর্বাধিক দূষিত শহরের মধ্যে ৩৫টিই ভারতে অবস্থিত। ২০২০ সালের আই কিউ এয়ারের সমীক্ষা ১০৬টি দেশের ওপর করা হয়েছিল। এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট অনুযায়ী দিল্লির পরিস্থিতি ভয়াবহ। সিস্টেম ফর এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ জানিয়ে ছিল দূষণের চাদরে ঢেকেছে রাজধানী অর্থাৎ দিল্লির বাতাসের মান ‘অত্যন্ত খারাপ’।about:blank

এই সমীক্ষার ফলাফল আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। একাধিক মারণ রোগের পরিমাণ বাড়তে পারে দিল্লিতে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্যান্সার, হৃদরোগের সমস্যা প্রধান।

কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি ? 

প্রত্যেক বছর দিল্লি সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানার বিভিন্ন এলাকায় চাষের জমিতে ফসলের গোড়া পোড়ানো হয়। ধোঁয়াশায় ঢেকে যায় রাজধানীর আকাশ। তার জেরেই দিল্লির বাতাসে ছড়ায় দূষণ। জমিতে ফসলের গোড়া পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। অনেক ক্ষেত্রেই কৃষকদের একাংশ সেই নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে জমিতে ফসলের গোড়া পুড়িয়ে ফেলেন।

সম্পূর্ণ বেআইনি এই কাজ করে তাঁদের যুক্তি, জমি থেকে ফসলের গোড়া তুলতে গেলে যে টাকার প্রয়োজন তা তাঁদের নেই। বাধ্য হয়েই জমিতেই ফসলের গোড়া পোড়াচ্ছেন তাঁরা।

২০২০ সালে প্রতি কিউবিক মিটার বাতাসে গড় বার্ষিক দূষণের পরিমাণ ৮৪.১, চিনের রাজধানী বেজিংয়ের তুলনায় যা প্রায় দ্বিগুণ। বেজিংয়ে এর পরিমাণ ৩৭.৫। বিশ্বের দূষিত শহরগুলির মধ্যে বেজিংয়ের স্থান ১৪ নম্বরে।

বিশ্বের তৃতীয় দূষিত দেশ হিসেবে তিন নম্বরে রয়েছে ভারত। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পরেই ভারতের স্থান হয়েছে। তবে লকডাউনের পরে বার্ষিক গড় দূষণের পরিমাণ প্রায় ১১ শতাংশ কমেছে বলে সূত্রের খবর। এদিকে, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের বিচার অনুযায়ী দূষণের এই সূচক গুরুতর বা উদ্বেগজনক পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। শীতের মরশুম শেষের পরে দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় ধোঁয়াশা চোখে পড়ায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.