বালি চোর বিধায়ক, বালি চোর এমএলএ আর নেই দরকার, কয়লা চোর

বালি চোর বিধায়ক, বালি চোর এমএলএ আর নেই দরকার, কয়লা চোর–সহ আরও নানা কটূক্তি। আর এতেই তেতে উঠেছে জেলার রাজনীতি। কারণ মনে করা হচ্ছে এই পোস্টারগুলি পড়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে। পোস্টার পড়েছে দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায়। যদিও বিধায়কের নাম উল্লেখ করা হয়নি পোস্টারে। তবে তাতে কারও কিছু বুঝতে অসুবিধা হয়নি।

সোমবার পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের দুর্গাপুর–ফরিদপুর থানা এলাকায় এরকমই পোস্টার পড়েছে দেদার। কোথাও বিধায়কের নাম লেখা নেই। আর এই পোস্টার দিয়েছে পাণ্ডবেশ্বর নাগরিক মঞ্চ। পোস্টারগুলি নজরে আসা মাত্রই পুলিশ গিয়ে সেগুলি ছিঁড়ে ফেলে। এই ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও তথ্যই মেলেনি। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, এই ঘটনা বিজেপির কারসাজি। আর বিজেপির দাবি, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে শাসকদলের অন্তর্কলহ।

বিজেপি জেলা সম্পাদক সৃদীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‌এখানকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত ছিল। বিধায়ক প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ করেনি। তাই মানুষের এভাবে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।’‌ পাল্টা তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‌রবিবার লাউদোহায় একটা মোটরবাইক মিছিল হয়। যেখানে বিধায়কও ছিলেন। আমিও ছিলাম। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আশীর্বাদ করেছেন। বিরোধীরা হয়তো সঠিকভাবে নিতে পারছেন না।’

গত নভেম্বর মাসে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। ছেড়েছিলেন দল, প্রশাসকের পদ। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসেই ফিরে যান তিনি। আর জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুঃখ দিয়ে কিছু করতে চাননি তিনি। ঘর ওয়াপসি হলেও দলের তাঁর প্রতি বিশ্বাস ফেরেনি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.