‘বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয়ান আমায় ঘৃণা করেন’ -২৬ মাস পর শাপমুক্তির নায়ক হলেন সেই মার্শ

প্রায় কেঁদে ফেলার মতো অবস্থা ছিল। আবেগের চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে বলেছিলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ মানুষ আমায় ঘৃণা করেন।’

দু’বছর দু’মাসের মাথায় সেই মিচেল মার্শের হাত ধরেই প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে ৫০ বলে ৭৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে অধরা ট্রফি এনে দেন। সেইসঙ্গে ফাইনালে ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

তবে মার্শ যে প্রতিভাবান ছিলেন, তা নিয়ে প্রথম থেকেই কোনও সন্দেহ ছিল না। প্রথম থেকেই তাঁকে নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিলেন অস্ট্রেলিয়ানরা। ২০১৮-১৯ মরশুমের আগে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাস্টিন ল্যাঙ্গারের অন্যতম ঘুঁটিও ছিলেন। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পাকিস্তান এবং ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে ফর্মের জেরে সবকিছু পালটে গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার পাশাপাশি ছিটকে গিয়েছিলেন ২০১৯ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের পরিকল্পনা থেকেও। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চুক্তি থেকেও বাদ পড়েছিলেন।https://www.youtube.com/embed/LK-xefkg9e8

বিশ্বকাপের ঠিক পরেই ২০১৯ সালের অ্যাসেজের মূল দলে ছিলেন। পঞ্চম টেস্টে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন অজি অলরাউন্ডার। তারপর বলেছিলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ মানুষ আমায় ঘৃণা করেন। অস্ট্রেলিয়ানরা খুব আবেগপ্রবণ হন। তাঁরা ক্রিকেট ভালোবাসেন। তাঁরা চান যে লোকজন ভালো খেলুক। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে টেস্টে আমি প্রচুর সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারিনি। তবে আশা করছি, ওঁরা আমায় শ্রদ্ধা করবেন এটা ভেবে যে আমি বারেবারে ফিরে আসি। আমি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে ভালোবাসি।’

তারপরও অবশ্য তেমনভাবে নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে নাম খোদাইয়ের তেমন মঞ্চ পাননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঠিক সেই সুযোগ পান। সেখানে নিজের জাত চিনিয়ে দেন মার্শ। রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে নেমে প্রথম তিনটি বলেই বাউন্ডারি মারেন। ছয়, চার, চার দিয়ে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার মানসিকতা বুঝিয়ে দেন। তাঁর জন্যই রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। বিশেষত একটা সময় ডেভিড ওয়ার্নারের স্ট্রাইক রেট ১০০-র সামান্য বেশি। একাধিক ডট বল খেলছিলেন। কিন্তু মার্শের জন্যই অস্ট্রেলিয়া চাপে পড়েনি। শেষপর্যন্ত তাঁর হাত ধরেই বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.