‘বাড়িতে বসে খেলাও দেখতে পারি’, বিশ্বকাপের গ্রুপবিন্যাসের আগের দিন মেসির কথায় শুরু জল্পনা

শুক্রবার ফুটবল বিশ্বকাপের গ্রুপবিন্যাস। তার আগের দিন লিয়োনেল মেসির কথায় শুরু হল জল্পনা। মেসি জানিয়েছেন, বিশ্বকাপে খেলা এখনও নিশ্চিত নয়। হয়তো তিনি বাড়িতে বসে টিভিতে বিশ্বকাপের খেলা দেখতে পারেন। পাশাপাশি, পরের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলেছেন লিয়ো।

‘ইএসপিএন’-এর সাক্ষাৎকারে মেসিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে। তিনি বলেন, “এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক কথা হচ্ছে। উনি (আর্জেন্টিনা কোচ লিয়োনেল স্কালোনি) ব্যাপারটা বুঝেছেন। এটা নিয়ে আলোচনাও করেছি। আশা করি বিশ্বকাপে খেলতে পারব। আগেও বলেছি, পরের বছর বিশ্বকাপে খেলা আমার একটা স্বপ্ন। সবচেয়ে খারাপ হতে পারে, আমি হয়তো বাড়িতে বসে খেলা দেখলাম। কিন্তু সেটাও আমার কাছে আলাদা অনুভূতি হবে।”

২০২২-এর কাতারে পঞ্চম প্রয়াসে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন মেসি। আমেরিকায় রেকর্ড ষষ্ঠ বার বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন। মেসির কথায়, “বিশ্বকাপ সব ফুটবলারের কাছেই আলাদা অনুভূতি। বিশেষত আর্জেন্টিনার কাছে। আমরা একটা অন্য ধারণা নিয়ে বাঁচতে ভালবাসি।”

পরের বারও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন মেসি। তাঁর কথায়, “আমাদের দলে অসাধারণ কিছু খেলোয়াড় রয়েছে। বছরের পর বছর সেটা সবাই দেখেছে। স্কালোনি আসার পর থেকে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। দলের সকলেই ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখে। মানসিক ভাবে শক্তিশালী, যারা সব ট্রফি জিততে চায়। অনুশীলন বা ম্যাচেই সেটা বোঝা যায়। ওরা সকলেই নিজেদের উজাড় করে দেয়।”

মেসি যোগ করেন, “বিশ্বকাপ আবার জিততে পারি। সেই দল আমাদের রয়েছে। আরও এক বার চেষ্টা করতে পারি আমরা। তবে ছোটখাটো ব্যাপারগুলো ঠিক করতে হবে। যে কোনও দেশ আমাদের ছিটকে দিতে পারে। একটা শট পোস্ট লাগলে বা পেনাল্টিতে বাইরে মারলেই বিদায় নিতে পারি।”

কাতারে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনা হারিয়েছিল নেদারল্যান্ডস এবং ফ্রান্সকে। সে কথা মনে করে মেসি বলেছেন, “আমরা পেনাল্টিতে জিতলেও দুটো ম্যাচেই বিপক্ষের থেকে ভাল খেলেছি। আমাদের কাছে ‘দিবু’ (গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস) নামে একটা অসাধারণ খেলোয়াড় রয়েছে। তবে পেনাল্টিতে গিয়ে হারের সম্ভাবনাও থাকে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.