‘কমিউনিস্টরা যুবকদের হাতে তুলে বন্দুক তুলে দিয়েছিল’! ত্রিপুরায় শাহের নিশানায় বাম-কংগ্রেস জোট

ত্রিপুরায় লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে বাম-কংগ্রেস জোটকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার জনজাতি অধ্যুষিত কুমারঘাটে বিজেপির সভায় বাম জমানায় জঙ্গি তৎপরতা এবং অশান্তির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘‘কমিউনিস্টরা এখানকার যুবকদের হাতে বন্দুক তুলে দিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দিয়েছেন।’’

জনজাতি এলাকার উন্নয়নই ত্রিপুরার বিজেপি সরকার এবং কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য বলেও দাবি করেন প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি শাহ। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম কয়েক দশক ধরে এই রাজ্য শাসন করেছে। তারা মহারাজা বীর বিক্রমকিশোর মাণিক্যের অবদানকে খাটো করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে আগরতলা বিমানবন্দরের নামকরণ করেছেন মহারাজা বীর বিক্রমের নামে। স্থাপন করেছেন তাঁর মূর্তি।’’

এ বারের লোকসভা ভোটে ত্রিপুরা-সহ গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে কংগ্রেস মুছে যাবে বলেও দাবি করেন তিনি। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরার দু’টি লোকসভা আসনেই ভোটগ্রহণ হবে। এ বার সেখানে বিজেপির সঙ্গে বাম-কংগ্রেস জোটের কড়া টক্কর হতে পারে বলে ভোট-পণ্ডিতদের একাংশ মনে করছেন। ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সন্তান প্রদ্যোতকিশোর দেববর্মণের দল তিপ্রা মথার সঙ্গে এ বার জোট গড়েছে বিজেপি। পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ‘পদ্ম’ প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন প্রদ্যোতের দিদি কীর্তি সিংহ দেববর্মা। পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

অন্য দিকে, জনজাতি অধ্যুষিত পূর্ব ত্রিপুরা আসনে জোটের তরফে লড়ছে সিপিএম। প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক রাজেন্দ্র রিয়াং। অন্য দিকে, পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রে জোটের তরফে লড়ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস সাহা। ২০১৯-এ ত্রিপুরার দু’টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। পেয়েছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ ভোট। দু’টিতেই দ্বিতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল ২৫ শতাংশের বেশি ভোট। তৃতীয় স্থানাধিকারী বামেদের ঝুলিতে ১৭ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.