BJP, Agitation, জঙ্গি হামলার আবহে ওয়াকফ বিরোধী মিছিলে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান, দেশদ্রোহিতার অভিযোগ করে থানায় বিক্ষোভ বিজেপির

ওয়াকফ বিরোধী মিছিলে পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আসানসোলে। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি পোস্ট করে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে সরব হন অমিত মালব্য সহ একাধিক বিজেপি নেতা। থানায় একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। কিন্তু পুলিশ কোনো পদক্ষেপ করেনি কেন অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আমাদের ভারত।)

শুক্রবার আসানসোল উত্তর থানা ঘেরাও করে বিজেপির নেতার কর্মীরা। তাদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি নেতা- কর্মীরা আসানসোল উত্তর থানার সদর দরজা বন্ধ করে দেয়।

জানাগেছে, বৃহস্পতিবার আসানসোল বাজার এলাকায় ওয়াকফ বিরোধী একটি মিছিল সংঘটিত করে সংখ্যালঘুরা। অভিযোগ, আসানসোল উত্তর থানার রেলপাড় এলাকায় শফি মোর এলাকায় এই মিছিল যখন যায় তখন সেখানে “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” বলে স্লোগান দেওয়া হয়। সেই স্লোগান দেওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিও নিয়ে বিজেপি নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় গতকাল থেকে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। থানাতেও মেইল করে অভিযোগ জমা করা হয়। কিন্তু পুলিশ কাউকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করেনি। তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

আসানসোলের বিজেপি নেতা অরিজিৎ রায়ের নেতৃত্বে আসানসোল উত্তর থানা ঘেরাও হয়। তীব্র বিক্ষোভ দেখানো হয়। দাবি করা হয়, অবিলম্বে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা দেশদ্রোহীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। পুলিশের সঙ্গে বচসার জেরে বিজেপি নেতা- কর্মীরা আসানসোল উত্তর থানার গেট লাগিয়ে দেয়। দীর্ঘক্ষণ তারা সেখানে ধর্না অবস্থান করেন।

অরিজিৎ রায় বলেন, আসানসোল উত্তর থানা শফি মোড়ে খোলাখুলি ভাবে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়া হয়েছে। যারা মিছিল করেছেন তারা কার্যতই দেশদ্রোহী। বিজেপির যে কোনো অনুষ্ঠানে পুলিশের ক্যামেরা ঘোরাঘুরি করে। এক্ষেত্রে পুলিশের ক্যামেরা ছিল না? সেই ফুটেজ জোগাড় করে পুলিশ তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক। তাদের গ্রেফতার করা হোক। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যদি গ্রেপ্তার না করা হয় তাহলে আগামী দিনে আসানসোলে আগুন জ্বলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.