গোধরা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রফিক হুসেন ভাটুককে গ্রেফতার করল গুজরাট পুলিস। পুলিসের হাতে আসতে সময় লাগল ১৯ বছর। পুলিস জানিয়েছে, গোধরা কাণ্ডের পর থেকে অধরা ছিলেন ভাটুক। দিল্লিতেই থাকতেন তিনি। দিনমজুরের কাজে পরিচয় গোপন করে পেট চালাতেন ভাটুক। বাড়ির সমস্ত কিছু ও রিকশাও বিক্রি করে দেন তিনি। গেফতারের সম্ভাবনার কথাক জানতে পারলেই পালিয়ে যেতেন ভাটুক। পরিবার নিয়ে আজ দিল্লি তো কাল গুজরাটে থাকতেন রফিক হুসেন ভাটুক। এভাবেই কাটিয়ে ফেলেছেন ১৯ টা বছর। এই যাযাবরের জীবনে পুলিস তাঁকে ধরতে পারেনি।



শেষে গুজরাটের সুলতান ফালিয়ায় পরিবার থাকতে শুরু করেছিলেন রফিক হুসেন ভাটুক। এরপর দিল্লি থেকে এসে দেখা করতেন পরিবারের সঙ্গে। গোপনসূত্রে যার খবর পায় গুজরাট পুলিস। আগে থেকে জাল বিছিয়ে রাখে পুলিস। বাড়িতে ঢুকতেই পাকড়াও করে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, ২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারিতে সরবমতী এক্সপ্রেসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যাতে মৃত্যু হয় ৫৯ জনের। যে ঘটনার পর গুজরাটে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় ১৫০০ জনের FIR দায়ের করা হয়। মারা যায় হাজারেরও বেশি মানুষ।