চোখের জলে সুভাষকে বিদায় জানাল ময়দান, দেখে নিন বাংলার বুলডোজারের সাফল্যের লোকগাথা

1/7কলকাতা ময়দান ভালবেসে তাঁর নাম দিয়েছিল ‘বুলডোজার’। তাঁর পায়েই জাদুতেই আত্মহারা হয়েছিল সত্তরের দশক। উত্তরবঙ্গের মালদহ থেকে এসে কোনও তথাকথিত গডফাদার ছাড়াই টানা প্রায় এক যুগ ময়দানে রাজত্ব করেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। শুধু খেলোয়াড় হিসেবে নয়, পরে কোচ হিসেবেও একের পর এক গৌরবের কীর্তি লিখে গিয়েছেন সকলের আদরের ‘ভোম্বলদা’।

ফুটবলার হিসেবে কলকাতা ময়দানে সুভাষের অভিযেক হয়েছিল মাত্র ১৯ বছর বয়সে। এর পর তো সবটাই ইতিহাস। এর পর থেকে প্রায় ১১ বছর ধরে তাঁকে নিয়ে রীতিমতো টাগ অফ ওয়ারের এক গল্পকথা লেখা হয়ে যায়। সুভাষের প্রথম বড় ক্লাব ছিল ইস্টবেঙ্গল। তাই এই ক্লাবের প্রতি টানটা একটু অন্য রকমই ছিল ভৌমিকের। তবে ফুটবলার সুভাষ মাত্র এক মরশুম লাল-হলুদে খেলে, চলে যান প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগানে। সেখানে তিন বছর খেলার পর প্রত্যাবর্তন করেন ইস্টবেঙ্গলেই। তিন বছর চুটিয়ে লাল-হলুদ জার্সিতে খেলার পর আবার ফিরে যান গঙ্গাপারের ক্লাবে। ফের তিন বছর পর ফেরেন ইস্টবেঙ্গলে। এক বছর সেখানে খেলে ১৯৭৯ সালে অবসর নেন সুভাষ ভৌমিক। ইস্টবেঙ্গলে তিনি খেলেছেন পাঁচ বছর (১৯৬৯, ১৯৭৩-৭৫, ১৯৭৯)। আর সবুজ-মেরুনে খেলেছেন ছ’বছর (১৯৭০-৭২, ১৯৭৬-৭৮)।
2/7ফুটবলার হিসেবে কলকাতা ময়দানে সুভাষের অভিযেক হয়েছিল মাত্র ১৯ বছর বয়সে। এর পর তো সবটাই ইতিহাস। এর পর থেকে প্রায় ১১ বছর ধরে তাঁকে নিয়ে রীতিমতো টাগ অফ ওয়ারের এক গল্পকথা লেখা হয়ে যায়। সুভাষের প্রথম বড় ক্লাব ছিল ইস্টবেঙ্গল। তাই এই ক্লাবের প্রতি টানটা একটু অন্য রকমই ছিল ভৌমিকের। তবে ফুটবলার সুভাষ মাত্র এক মরশুম লাল-হলুদে খেলে, চলে যান প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগানে। সেখানে তিন বছর খেলার পর প্রত্যাবর্তন করেন ইস্টবেঙ্গলেই। তিন বছর চুটিয়ে লাল-হলুদ জার্সিতে খেলার পর আবার ফিরে যান গঙ্গাপারের ক্লাবে। ফের তিন বছর পর ফেরেন ইস্টবেঙ্গলে। এক বছর সেখানে খেলে ১৯৭৯ সালে অবসর নেন সুভাষ ভৌমিক। ইস্টবেঙ্গলে তিনি খেলেছেন পাঁচ বছর (১৯৬৯, ১৯৭৩-৭৫, ১৯৭৯)। আর সবুজ-মেরুনে খেলেছেন ছ’বছর (১৯৭০-৭২, ১৯৭৬-৭৮)।
ফুটবল জীবনে মোট ২৭টি ট্রফি জিতেছিলেন সুভাষ। সবুজ-মেরুন জার্সসিতে ১৬টি ট্রফি, আর লাল-হলুদ জার্সিতে ১১টি ট্রফি। কলকাতা লিগ থেকে শুরু করে আইএফএ শিল্ড, রোভার্স কাপ, ফেডারেশন কাপ— কী না ছিল তাঁর ট্রফি ক্যাবিনেটে। ১১ বছরের মধ্যে এক মাত্র ১৯৭৯ সালে কোনও ট্রফি জিততে পারেননি তিনি। কলকাতা লিগ জিতেছেন পাঁচ বার (১৯৭৩-৭৬, ১৯৭৮)। শিল্ড জিতেছেন ছ’বার (১৯৭৩-৭৮)। আট বার জিতেছেন রোভার্স কাপ (১৯৬৯-৭৩, ১৯৭৫-৭৭)। এ ছাড়া দু’বার করে বরদলই ট্রফি (১৯৭৬-৭৭), ডিসিএম ট্রফি (১৯৭৩-৭৪) এবং‌ এক বার করে ফেডারেশন কাপ (১৯৭৮), ডুরান্ড কাপ (১৯৭৭), দার্জিলিং গোল্ড কাপ (১৯৭৬) ও নাগজি ট্রফি (১৯৭৮) জিতেছেন সুভাষ।
3/7ফুটবল জীবনে মোট ২৭টি ট্রফি জিতেছিলেন সুভাষ। সবুজ-মেরুন জার্সসিতে ১৬টি ট্রফি, আর লাল-হলুদ জার্সিতে ১১টি ট্রফি। কলকাতা লিগ থেকে শুরু করে আইএফএ শিল্ড, রোভার্স কাপ, ফেডারেশন কাপ— কী না ছিল তাঁর ট্রফি ক্যাবিনেটে। ১১ বছরের মধ্যে এক মাত্র ১৯৭৯ সালে কোনও ট্রফি জিততে পারেননি তিনি। কলকাতা লিগ জিতেছেন পাঁচ বার (১৯৭৩-৭৬, ১৯৭৮)। শিল্ড জিতেছেন ছ’বার (১৯৭৩-৭৮)। আট বার জিতেছেন রোভার্স কাপ (১৯৬৯-৭৩, ১৯৭৫-৭৭)। এ ছাড়া দু’বার করে বরদলই ট্রফি (১৯৭৬-৭৭), ডিসিএম ট্রফি (১৯৭৩-৭৪) এবং‌ এক বার করে ফেডারেশন কাপ (১৯৭৮), ডুরান্ড কাপ (১৯৭৭), দার্জিলিং গোল্ড কাপ (১৯৭৬) ও নাগজি ট্রফি (১৯৭৮) জিতেছেন সুভাষ।
মোহনবাগানের হয়ে করেছিলেন মোট ৮২টি গোল। তার মধ্যে ছিল চারটি হ্যাটট্রিক। আর লাল-হলুদের হয়ে তাঁর গোলসংখ্যা ছিল ৮৩টি। গোলের নিরিখে তাঁর সেরা দু’বছর ১৯৭০ এবং ১৯৭৬। ১৯৭০ সালে ২৭টি এবং ১৯৭৬ সালে ১৯টি গোল করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি বাংলা ও দেশের হয়েও ট্রফি জিতেছেন সুভাষ। বাংলার সন্তোষ ট্রফি জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ভারতের হয়ে ১৯৭০ সালে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন সুভাষ।
4/7মোহনবাগানের হয়ে করেছিলেন মোট ৮২টি গোল। তার মধ্যে ছিল চারটি হ্যাটট্রিক। আর লাল-হলুদের হয়ে তাঁর গোলসংখ্যা ছিল ৮৩টি। গোলের নিরিখে তাঁর সেরা দু’বছর ১৯৭০ এবং ১৯৭৬। ১৯৭০ সালে ২৭টি এবং ১৯৭৬ সালে ১৯টি গোল করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি বাংলা ও দেশের হয়েও ট্রফি জিতেছেন সুভাষ। বাংলার সন্তোষ ট্রফি জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ভারতের হয়ে ১৯৭০ সালে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন সুভাষ।
ফুটবলার জীবন থেকে অবসর নিয়েও হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি সুভাষ। ফুটবল থেকে দূরে থাকাই তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই কোচ হিসেবে শুরু করেন দ্বিতীয় ইনিংস। ১৯৮৬ সালে জর্জ টেলিগ্রাফের কোচ হিসেবে সুভাষের অভিষেক হয়। ১৯৯১ সালে প্রথম বড় দল হিসেবে মোহনবাগানের কোচ হন। তবে সুভাষের কোচিং জীবনের সেরা সময় কেটেছে ইস্টবেঙ্গলে। প্রথমে ১৯৯৯-২০০০ এবং তার পরে ২০০২-’০৫ এবং ২০০৮-’০৯ সালে লাল-হলুদের কোচ ছিলেন তিনি।
5/7ফুটবলার জীবন থেকে অবসর নিয়েও হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি সুভাষ। ফুটবল থেকে দূরে থাকাই তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই কোচ হিসেবে শুরু করেন দ্বিতীয় ইনিংস। ১৯৮৬ সালে জর্জ টেলিগ্রাফের কোচ হিসেবে সুভাষের অভিষেক হয়। ১৯৯১ সালে প্রথম বড় দল হিসেবে মোহনবাগানের কোচ হন। তবে সুভাষের কোচিং জীবনের সেরা সময় কেটেছে ইস্টবেঙ্গলে। প্রথমে ১৯৯৯-২০০০ এবং তার পরে ২০০২-’০৫ এবং ২০০৮-’০৯ সালে লাল-হলুদের কোচ ছিলেন তিনি।
তাঁর কোচিংয়েই ২০০৩ সালে আশিয়ান কাপ জেতে ইস্টবেঙ্গল। যা সুভাষের কোচিং জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। তাঁর কোচিংয়েই ২০০২-’০৩ এবং ২০০৩-’০৪ মরসুমে ইস্টবেঙ্গল পর পর দু’বার জাতীয় লিগ (বর্তমানে আই লিগ) চ্যাম্পিয়ন হয়। বাংলা দলেরও কোচ হয়েছিলেন সুভাষ।
6/7তাঁর কোচিংয়েই ২০০৩ সালে আশিয়ান কাপ জেতে ইস্টবেঙ্গল। যা সুভাষের কোচিং জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। তাঁর কোচিংয়েই ২০০২-’০৩ এবং ২০০৩-’০৪ মরসুমে ইস্টবেঙ্গল পর পর দু’বার জাতীয় লিগ (বর্তমানে আই লিগ) চ্যাম্পিয়ন হয়। বাংলা দলেরও কোচ হয়েছিলেন সুভাষ।
ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান ছাড়াও ২০০৬ সালে মহমেডান স্পোর্টিং, ২০০৭-’০৮ গোয়ার সালগাওকর ও ২০১২-’১৩ মরশুমে গোয়ারই চার্চিল ব্রাদার্সের কোচ ছিলেন সুভাষ। চার্চিলকে আই লিগ চ্যাম্পিয়নও করিয়েছেন তিনি। মাঝে ২০১০-’১১ মরসুমে মোহনবাগানের কোচ হয়েছিলেন। শেষ বার ২০১৮ সালে ইস্টবেঙ্গলের কোচ হন সুভাষ।
7/7ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান ছাড়াও ২০০৬ সালে মহমেডান স্পোর্টিং, ২০০৭-’০৮ গোয়ার সালগাওকর ও ২০১২-’১৩ মরশুমে গোয়ারই চার্চিল ব্রাদার্সের কোচ ছিলেন সুভাষ। চার্চিলকে আই লিগ চ্যাম্পিয়নও করিয়েছেন তিনি। মাঝে ২০১০-’১১ মরসুমে মোহনবাগানের কোচ হয়েছিলেন। শেষ বার ২০১৮ সালে ইস্টবেঙ্গলের কোচ হন সুভাষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.