ফরাসি সহ সাত ভাষা নখদর্পণে! বঙ্গ-বিজয়ে বিজেপির নতুন তাস অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়

বাঙালি-অবাঙালি ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা। রাজ্যের শাসক দলের নেতানেত্রীরা বারবার মুখ খুলছেন এই ইস্যুতে। এরকম সময় গ্রাম থেকে শহরে শিক্ষিত বাঙালির মন পেতে ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় মাঠে নামাচ্ছে বিজেপি৷ বিজেপি সূত্রের খবর ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর ডঃ গঙ্গোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলার শিক্ষিত সমাজের কাছে বিজেপির আদর্শ প্রচারের জন্য।

পশ্চিমবঙ্গ সফর থেকে ফিরে গিয়ে খোদ অমিত শাহ এবং বিজেপির জাতীয় সাধারণ সচিব বি এল সন্তোষ এই দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন ডঃ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাঁধে। এমনটাই জানা গিয়েছে একটি সূত্র মারফৎ। কয়েকদিন আগেই বঙ্গ-বিজেপির সংগঠন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে এসেছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। তিনি ও ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় যৌথভাবে বিজেপির আদর্শ প্রচারের কাজ করবেন বলে জানা গিয়েছে।

বাংলার রাজনীতিতে শিক্ষিত লোকদের নেতা হিসেবে দেখতে চেয়েছে বরাবর৷ গেরুয়া শিবিরে শিক্ষিত বাঙালির রুচি নেই বলে মাঝে মাঝেই অভিযোগ তোলে বিরোধী শিবির। সেদিক থেকে দেখলে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের অ্যাকাডেমিক রেকর্ড যে কোন রাজনৈতিক দলের কাছে ঈর্ষণীয় হতে পারে৷

ফরাসি, ইংরাজি, বাংলা, তামিল সহ সাতটি ভাষায় দখল রাখা ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের শৈশবের অনেকটা সময় কেটেছে পন্ডিচেরীর ঋষি অরবিন্দের আশ্রমে৷ এরপর সাংবাদিকতায় এমএ ও পরে যাদবপুর থেকে এডুকেশন-এ পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন ডঃ গঙ্গোপাধ্যায়। ভারতীয় রাজনীতি, অর্থনীতি, এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের শিক্ষানীতি নিয়ে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় বইও লিখেছেন ডঃ গঙ্গোপাধ্যায়।

‘অমিত শাহ অ্যান্ড দ্য মার্চ অফ দ্য বিজেপি’, ‘শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়: হিজ ভিসন অফ এডুকেশন’, ‘মেকিং ইন্ডিয়া, ট্রান্সফরমেশন আন্ডার মোদী গর্ভমেন্ট’ তার মধ্যে অন্যতম।

একবছর আগে বিজেপির পক্ষ থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর পদের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তারপরই এই সংগঠন বাংলায় বিজেপির হয়ে প্রচারের কাজে গতি এনেছে৷ যদিও অমিতাভ চক্রবর্তী কিংবা ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে সংগঠনের এক নেতার কথায়, ‘একটি দক্ষ বুদ্ধিজীবীদের টীম অল্পস্বল্প সময়ের মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে অধ্যাপক, স্কুল শিক্ষক, ডাক্তার, কর্পোরেট থেকে সরকারী কর্মচারী, সর্বস্তরের মানুষ রয়েছেন।’

উত্তর, দক্ষিণ ও রাঢ়বঙ্গ এবং নবদ্বীপের বেশ কিছু অঞ্চলে বিজেপির বৌদ্ধিক প্রচারের জন্য সাংগঠনিক বিস্তার ঘটিয়ে ফেলেছে এসপিএমআরএফ। সংগঠনের পক্ষ থেকে এই কাজটির দায়িত্বে রয়েছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির অধ্যাপক অরিজিৎ ভট্টাচার্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.