১৮৯৫ সালের নভেম্বরের এক বিকেল, লন্ডনের ওয়েস্টএণ্ডের এক গৃহাভ্যন্তরে অভ্যাগতদের মাঝে গৈরিক পরিচ্ছদ ও কোমরবন্ধে সজ্জিত এক উজ্জ্বল ভারতীয় সন্ন্যাসী যুবক। অদ্বৈতবাদের ব্যাখ্যা করছেন — “সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম”-র রূপ; গীতা থেকে শ্লোক উদ্ধৃত করছেন, আর এক দিব্যাভ্যাসে মাঝেমাঝেই চীৎকার করে বলছে, ‘শিব! শিব!’ যেন এক দিব্য শিশু, বয়স তেত্রিশ! অবলোকনRead More →

ফুটলাে অরবিন্দ ১৮৭৭ সালে শিবনাথ শাস্ত্রীর আদর্শে বিপিনচন্দ্র পাল (৭ নভেম্বর, ১৮৫৮ – ২০ মে, ১৯৩২) হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে হলেন ব্রাহ্ম। ব্রাহ্মধর্মের প্রচারক হিসাবে নিজেকে তৈরি করতে তিনি বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ড গেলেন (১৮৮৯)।বাগ্মিতার জন্যই সেখান থেকে অন্য একটি বৃত্তি নিয়ে গেলেন আমেরিকা। দুর্দান্ত সেই বক্তৃতা, শুনে মােহিত হয়ে যেতেন মানুষ;Read More →

তখন প্রগতিশীলতা মানেই ছিল ব্রাহ্ম হয়ে যাওয়া, কিন্তু বিদ্যাসাগরকে ব্রাহ্ম হতে দেখি নি আমরা। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজ নারায়ণ বসু, অক্ষয় কুমার দত্ত প্রমুখ ব্রাহ্ম মনীষীর সঙ্গে তাঁর চির ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও তিনি হিন্দুই থেকে গেছেন। বরং প্রিয়পাত্র শিবনাথ শাস্ত্রী ব্রাহ্ম হয়ে গেলে তা তাঁকে বিশেষভাবে পীড়িত, ব্যথিত করেছিল। বিদ্যাসাগরের লেখা চিঠিপত্রেরRead More →

সংগীতজ্ঞ, কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় যে একজন কৃষি- বিশেষজ্ঞ ছিলেন এই তথ্য অল্প লোকেরই জানা আছে। বঙ্গ তথা ভারতের কৃষি বিজ্ঞানী, অধ্যাপক, কৃষি আধিকারিক, কৃষিবিজ্ঞানের ছাত্র-গবেষক ও সম্প্রসারণ কর্মীদের কাছে তাঁর কৃষি নিয়ে পঠনপাঠন ও গবেষণার তথ্য তুলে ধরতেই এই প্রবন্ধ। ১৯০৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর গ্রন্থ The CropsRead More →

এ বছর ১৬ শে জুলাই, ২০১৯, গুরুপূর্ণিমা। এই দিনে আমি জন্মগুরু, শিক্ষাগুরু, দীক্ষাগুরু নির্বিশেষে শিক্ষার সকল উৎসমুখকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই আর স্নেহ-ভালোবাসা জানাই সেই প্রবহমান ধারার নিম্নমুখ অর্থাৎ ছাত্র-শিষ্য-বিদ্যার্থীদের। প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থা ছিল গুরুমুখী। যার কেন্দ্রাচার ছিল আষাঢ়ী গুরুপূর্ণিমা উদযাপন।”গুরুর্ব্রহ্মা গুরুর্বিষ্ণু গুরর্দেবো মহেশ্বরঃ।/ গুরুরেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নম।।”Read More →

সঙ্গীতকবি ও নাট্যকার ডি. এল. রায় যে একজন কৃষি-বিশেষজ্ঞ ছিলেন এই তথ্য হয়তো-বা আমাদের অনেকের জানা নেই। বাঙ্গলা তথা ভারতের কৃষি বিজ্ঞানী, অধ্যাপক, কৃষি আধিকারিক, কৃষি বিজ্ঞানের ছাত্র-গবেষক ও সম্প্রসারণ কর্মীদের কাছে তাঁর কৃষি নিয়ে পঠন-পাঠন ও গবেষণার তথ্য তুলে ধরতেই প্রস্তুত প্রবন্ধ। ১৯০৬ সালে প্রকাশিত হয় এই গ্রন্থ, TheRead More →

বৃক্ষের সমাদর করে প্রাচীন ভারতের শাস্ত্রকারেরা বলছেন, ‘একো বৃক্ষো দশঃ পুত্র সমাচরেৎ’। অর্থাৎ এক বৃক্ষ দশ পুত্রের সমতুল্য। বলেছেন, যে ব্যক্তি পথের ধারে, জলাশয়ের ধারে গাছ লাগাবে তার স্বর্গবাস নিশ্চিত, যতদিন সেই রোপিত বৃক্ষ ফল ও ছায়া দান করবে (পদ্মপুরাণ)। অগ্নিপুরাণে (২০৩/১৬) বলা হয়েছে বৃক্ষচ্ছেদন করলে বজ্রশস্ত্রে পড়তে হয় —Read More →

ভারতীয় সাহিত্যিকদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ রামায়ণের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বললে অত্যুক্তি হবে না। তিনিই রামায়ণের সেরা ভাষ্যকার, কারণ তিনি রামায়ণের কাহিনীতে জারিত হয়েছিলেন এবং আত্তীকরণ করে তা সুপাচ্য সাহিত্য-ব্যঞ্জনে পরিবেশন করেছিলেন। তিনি সংস্কৃত রামায়ণ পড়লেও, রামায়ণ সংক্রান্ত তাঁর সমূহ-ভাষ্য এবং সাহিত্য ও সমাজ সমীক্ষার মূল ভিত্তি ছিল কৃত্তিবাসী রামায়ণ, যাকে নিয়ে আজওRead More →

মিরটেসী (Myrtaceae) পরিবারের একটি ফল পেয়ারা, উদ্ভিদবিদ্যাগত নাম Psidium guajava, এই পরিবারের অন্য ফলগুলির নাম জাম, গোলাপজাম, জামরুল। পেয়ারার ফলটি একধরনের বেরি (Berry)। ভারতের প্রায় সব প্রদেশেই পেয়ারা জন্মায় এবং অর্থকরী চাষ হতে দেখা যায়। কারণ এর ফলনক্ষমতা অত্যধিক, গাছ যথেষ্ট সহিষ্ণু, নানান প্রাকৃতিক পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে পারে, সবচেয়ে বড়Read More →

২০০২ সাল, কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটিতে অনুষ্ঠিত সপ্তাহব্যাপী একটি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছি। লোকসংস্কৃতির একজন অধ্যাপক ক্লাস নিচ্ছেন; বিষয়ে প্রবেশ করার আগে অধ্যাপক সভার কাছে জানতে চাইছেন বাঙ্গলার সর্বাপেক্ষা অধিক পূজিত ও মান্য পুরুষ-দেবতার নাম কী এবং নারী-দেবতার নামই বা কী? বললাম, আপাতত উত্তরটুকু হচ্ছে পুরুষ-দেবতা শিব এবং নারী- দেবতা মনসা। অধ্যাপকRead More →