প্রথম গুরু নানক, জন্ম ১৫ এপ্রিল ১৪৬৯, মৃত্যু ২২ সেপ্টেম্বর ১৫৩৯, আয়ুষ্কাল প্রায় ৭০ বৎসর। গুরু গ্রন্থ সাহিবের জন্য ৯৭৪ টি দোহা রচনা করেন। তিনি নিজ-পুত্র শ্রীচান্দকে ছাপিয়ে প্রিয় শিষ্য লেহনা-কে (নতুন নাম অঙ্গদ) পরবর্তী গুরু মনোনীত করেন। দ্বিতীয় গুরু অঙ্গদ, জন্ম ৩১ মার্চ ১৫০৪, গুরুপদে আসীন ৭ সেপ্টেম্বর ১৫৩৯,Read More →

(প্রথম পর্ব) ১৯০৩ সালের গ্রীষ্মকাল, মেদিনীপুর পৌঁছেছেন ভগিনী নিবেদিতা। দেশপ্রেমী যুবকেরা উল্লাসে চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘হিপ্ হিপ্ হুররে’। ‘না, না’; বারণ করে উঠলেন নিবেদিতা। ‘এটা ইংরেজ জাতির বিজয়োল্লাস, ভারতীয়দের তা কিছুতেই ব্যবহার করা উচিত নয়, কখনই নয়।’ হাত তুলে তিনি উচ্চৈস্বরে তিনবার বললেন — ‘ওয়া গুরুজীকি ফতে। বোল্ বাবুজীকি খালসা।’ গুরুরRead More →

অঘ্রাণ মাস আলু: অঘ্রাণের মাঝামাঝি পর্যন্ত আলু বসানো যায়; তবে জলদি আলুর চাষ করাই উচিত। কেউ কেউ ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি থেকে আলু লাগানো শুরু করেন। উন্নত মানের বীজআলু তৈরি করতে হলে আশ্বিনের মাঝামাঝি আলু লাগাতে হবে। সেই হিসাব ধরলে, অঘ্রাণের শুরুতে আদর্শ আলু ক্ষেতের বয়স প্রায় দেড় মাস। আলু ঠিকRead More →

১৮৯৫ সালের নভেম্বরের এক বিকেল, লন্ডনের ওয়েস্টএণ্ডের এক গৃহাভ্যন্তরে অভ্যাগতদের মাঝে গৈরিক পরিচ্ছদ ও কোমরবন্ধে সজ্জিত এক উজ্জ্বল ভারতীয় সন্ন্যাসী যুবক। অদ্বৈতবাদের ব্যাখ্যা করছেন — “সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম”-র রূপ; গীতা থেকে শ্লোক উদ্ধৃত করছেন, আর এক দিব্যাভ্যাসে মাঝেমাঝেই চীৎকার করে বলছে, ‘শিব! শিব!’ যেন এক দিব্য শিশু, বয়স তেত্রিশ! অবলোকনRead More →

ফুটলাে অরবিন্দ ১৮৭৭ সালে শিবনাথ শাস্ত্রীর আদর্শে বিপিনচন্দ্র পাল (৭ নভেম্বর, ১৮৫৮ – ২০ মে, ১৯৩২) হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে হলেন ব্রাহ্ম। ব্রাহ্মধর্মের প্রচারক হিসাবে নিজেকে তৈরি করতে তিনি বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ড গেলেন (১৮৮৯)।বাগ্মিতার জন্যই সেখান থেকে অন্য একটি বৃত্তি নিয়ে গেলেন আমেরিকা। দুর্দান্ত সেই বক্তৃতা, শুনে মােহিত হয়ে যেতেন মানুষ;Read More →

তখন প্রগতিশীলতা মানেই ছিল ব্রাহ্ম হয়ে যাওয়া, কিন্তু বিদ্যাসাগরকে ব্রাহ্ম হতে দেখি নি আমরা। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজ নারায়ণ বসু, অক্ষয় কুমার দত্ত প্রমুখ ব্রাহ্ম মনীষীর সঙ্গে তাঁর চির ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও তিনি হিন্দুই থেকে গেছেন। বরং প্রিয়পাত্র শিবনাথ শাস্ত্রী ব্রাহ্ম হয়ে গেলে তা তাঁকে বিশেষভাবে পীড়িত, ব্যথিত করেছিল। বিদ্যাসাগরের লেখা চিঠিপত্রেরRead More →

সংগীতজ্ঞ, কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় যে একজন কৃষি- বিশেষজ্ঞ ছিলেন এই তথ্য অল্প লোকেরই জানা আছে। বঙ্গ তথা ভারতের কৃষি বিজ্ঞানী, অধ্যাপক, কৃষি আধিকারিক, কৃষিবিজ্ঞানের ছাত্র-গবেষক ও সম্প্রসারণ কর্মীদের কাছে তাঁর কৃষি নিয়ে পঠনপাঠন ও গবেষণার তথ্য তুলে ধরতেই এই প্রবন্ধ। ১৯০৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর গ্রন্থ The CropsRead More →

এ বছর ১৬ শে জুলাই, ২০১৯, গুরুপূর্ণিমা। এই দিনে আমি জন্মগুরু, শিক্ষাগুরু, দীক্ষাগুরু নির্বিশেষে শিক্ষার সকল উৎসমুখকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই আর স্নেহ-ভালোবাসা জানাই সেই প্রবহমান ধারার নিম্নমুখ অর্থাৎ ছাত্র-শিষ্য-বিদ্যার্থীদের। প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থা ছিল গুরুমুখী। যার কেন্দ্রাচার ছিল আষাঢ়ী গুরুপূর্ণিমা উদযাপন।”গুরুর্ব্রহ্মা গুরুর্বিষ্ণু গুরর্দেবো মহেশ্বরঃ।/ গুরুরেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নম।।”Read More →

সঙ্গীতকবি ও নাট্যকার ডি. এল. রায় যে একজন কৃষি-বিশেষজ্ঞ ছিলেন এই তথ্য হয়তো-বা আমাদের অনেকের জানা নেই। বাঙ্গলা তথা ভারতের কৃষি বিজ্ঞানী, অধ্যাপক, কৃষি আধিকারিক, কৃষি বিজ্ঞানের ছাত্র-গবেষক ও সম্প্রসারণ কর্মীদের কাছে তাঁর কৃষি নিয়ে পঠন-পাঠন ও গবেষণার তথ্য তুলে ধরতেই প্রস্তুত প্রবন্ধ। ১৯০৬ সালে প্রকাশিত হয় এই গ্রন্থ, TheRead More →

বৃক্ষের সমাদর করে প্রাচীন ভারতের শাস্ত্রকারেরা বলছেন, ‘একো বৃক্ষো দশঃ পুত্র সমাচরেৎ’। অর্থাৎ এক বৃক্ষ দশ পুত্রের সমতুল্য। বলেছেন, যে ব্যক্তি পথের ধারে, জলাশয়ের ধারে গাছ লাগাবে তার স্বর্গবাস নিশ্চিত, যতদিন সেই রোপিত বৃক্ষ ফল ও ছায়া দান করবে (পদ্মপুরাণ)। অগ্নিপুরাণে (২০৩/১৬) বলা হয়েছে বৃক্ষচ্ছেদন করলে বজ্রশস্ত্রে পড়তে হয় —Read More →