ভাবঘনমূর্তি শ্রীমৎ স্বামী প্রণবানন্দ (Srimati Swami Pranavananda) এক যুগপুরুষ, পতিতপাবন, ত্যাগব্রতী সন্ন্যাসী ও আচার্য; যিনি হিন্দু জাতি-গঠনের জন্য জনসংগঠনের উপর জোর দিয়েছিলেন। যিনি প্রাচীন ভারতীয় সঙ্ঘজীবনের সাদৃশ্যে, বৌদ্ধবিহার ও বৃহত্তর শিক্ষাসঙ্ঘের অনুকরণে সঙ্ঘবদ্ধ প্রয়াসে সৃষ্টি করেছিলেন; তারই পরিণতি ‘ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ‘(Bharat Sevaharam Sangh), যার কর্মক্ষেত্র মূলত ভারতবর্ষ, ভারতীয় জাতির পুনর্গঠনইRead More →

বিশ্ব সৃষ্টিতে নারী আর পুরুষের সমান হস্তক্ষেপ আছে। ‘নারী‘ কবিতায় কাজী নজরুল ইসলাম লিখছেন, “বিশ্বের যা কিছু মহান/সৃষ্টি চির কল্যাণকর / অর্ধেক তার করিয়াছে নারী/ অর্ধেক তার নর।” অপরদিকে ‘মানসী‘ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ লিখছেন, “শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী –/ পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারি/ আপন অন্তর হতে।” কবিতাটির শেষেRead More →

১. চতুর্বেদে (খ্রি. পূ. ৩৭০০-২০০০) নির্দিষ্টভাবে আমের উল্লেখ পাওয়া না গেলেও বৃহদারণ্যক-উপনিষদ (খ্রি. পূ. ১০০০) ও ‘শতপথ ব্রাহ্মণ ‘-এ অামের ভূয়সী প্রশংসা অাছে। মহাভারতে অামের টুকরো দিয়ে মাংস রাঁধার কথা আছে। রামায়ণের একটি টেক্সট অনুযায়ী রাবণ শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে অাম নিয়ে এসেছিলেন। মন্দির-স্থাপত্য থেকে জানা যায় হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈনদেরRead More →

বিশিষ্ট বিদ্যাবিদ অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ লিখেছিলেন, “ঋগ্বেদের কোন স্থানে এমন উক্তি নাই যাহা দিয়া দেখানো যাইতেছে যে, সরস্বতী নদী দেবতা ব্যতীত আর কিছু।” বরং বেদে পাওয়া যায়, “অম্বিতমে নদীতমে দেবীতমে সরস্বতী।” সরস্বতী অষ্টাদশ বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী, তন্ত্র ও মন্ত্রে কীর্তিতা এবং নৃত্যগীত ইত্যাদি সকল কলাবিদ্যার দেবীরূপে চিহ্নিতা হলেও আদিতে তিনি ছিলেন জলেরRead More →

আলোচনার বিষয় ‘Aggressive Hinduism’ by Sister Nivedita. উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা থেকে প্রকাশিত বইটির বঙ্গানুবাদ করা হয়েছে ‘প্রগতিশীল হিন্দুধর্ম’। ১৯০৫ সালের জানুয়ারি মাসে এই গ্রন্থটি রচনা করেন নিবেদিতা। ইতোমধ্যে স্বামীজির শরীর গেছে ১৯০২ সালের ৪ ঠা জুলাই। নিবেদিতা তাঁর গুরুদেবের বাণী ও শিক্ষা দেশব্যাপী প্রচার করে বেরাচ্ছেন এবং ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনRead More →

একটা প্রশ্ন উঠছে, স্বামীজি কী ঘটা করে বড়দিন উৎসব পালনের কথা বলেছেন? এই দিনে কী আমাদের ঘটা করে বাইবেল পাঠ করে যীশুখ্রীস্টের জন্মদিন পালন করতে হবে? অস্বীকার করার উপায় নেই স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন হিন্দু ধর্মের মাহাত্ম্য কীর্তনীয়া। শিকাগোতে তিনি হিন্দুধর্মের প্রচারের জন্যেই গিয়েছিলেন। তিনি খ্রিস্টান মিশনারীদের সুস্পষ্টভাবে জানিয়েও দেন, ভারতবর্ষRead More →

পশ্চিমবঙ্গে ডালশস্য চাষে চাহিদা ও যোগানের মাঝে বিস্তর ফারাক; কৃষি বিজ্ঞানীরা তাই চাষ ও ফলন বাড়াতে নানাভাবে সচেষ্ট হচ্ছেন। তার মধ্যে যেমন রয়েছে শস্যপর্যায়ে আমন-ধানে পয়রা ফসল রূপে মসুর, খেসারি; এমনকি অধুনা ধান ও ধানের পায়রা-ছোলা ও পয়রা-মটর এবং নানান মিশ্রচাষে সাথী বা অন্তবর্তী ফসলরূপে ডালশস্যের সংযুক্তি (উদাহরণ: ছোলার জমিতেRead More →

যারা বলেন রাম বাঙালির দেবতা নন, তাদের জন্য রবীন্দ্রনাথের মন্তব্য বিশেষ প্রণিধানযোগ্য, “বাঙ্গলা দেশে যে এক সময়ে সমস্ত জনসাধারণকে একটা ভক্তির প্লাবনে প্লাবিত করিয়া তুলিতেছিল; সেই ভক্তিধারার অভিষেকে উচ্চ-নীচ, জ্ঞানী মূর্খ, ধনী দরিদ্র, সকলেই, এক আনন্দের মহাযজ্ঞে সম্মিলিত হইয়াছিল — বাঙ্গলা রামায়ণ, বিশেষভাবে, বাঙ্গলাদেশের সেই ভক্তিযুগের সৃষ্টি। বাঙ্গলাদেশে সেই যে,Read More →

ড. কল্যাণ চক্রবর্তী। খনার বচনে আছে, “চাল ভরা কুমড়ো লতা/লক্ষ্মী বলেন, আমি তথা।” এই প্রবাদ আমাদের দেখিয়ে দেয়, ধান্যলক্ষ্মী যেন হয়ে উঠেছেন শাকম্ভরী-লক্ষ্মী। মার্কেণ্ডেয় পুরাণে আমরা শাকম্ভরী-দুর্গার স্তোত্র পাই, দেবী সেখানে নিজ দেহ থেকে শাকসব্জি ও ফলমূল হয়ে অজন্মার হাত থেকে মর্ত্যলোককে বাঁচাচ্ছেন ও পুষ্টিবর্ধন করছেন। পুষ্টি -বাগান রচনা ভারতবাসীরRead More →

ছিলেন মার্গারেট এলিজাবেথ নোবল; হয়ে উঠলেন ভগিনী নিবেদিতা। ছিলেন খ্রিষ্টান ধর্মযাজকের কন্যা; হয়ে গেলেন হিন্দু বিধবা সাধ্বী রমণীর আদরের ‘খুঁকি’। ছিলেন ব্রিটিশ সাজাত্যবোধে অটুট নারী; হয়ে উঠলেন ভারতীয় জাতীয়তাবোধ ও দেশপ্রেমের ব্যতিক্রমী অস্মিতা। এ যেন মার্গারেট সত্তাকে একদম ভেঙ্গেচুরে, বিসর্জন দিয়ে হয়ে ওঠা ভারতীয় সন্ন্যাসিনী। স্বামীজি এমন নারীকেই চেয়েছিলেন, “ভারতেরRead More →