রুদ্রনীল ঘোষ, যশ দাশগুপ্ত, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, পিয়া অধিকারী, সৌমিলি বিশ্বাস পরপর প্রচুর নাম চলে আসছে গেরুয়া শিবিরের খাতায়। এইবারে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বড় প্রশ্ন, পদ্মফুলে এবার কি নাম লেখাতে চলেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

আর এই জল্পনায় ঘৃতাহুতি দিয়েছে রুদ্রনীল ঘোষের টুইট যেখানে তিনি ‘বাংগালি’ অভিনেতা বলে মিঠুন চক্রবর্তী এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ভূয়শী প্রশংসা করেছেন। বিগত কয়েকদিন ধরেই সমাজ মাধ্যমের পাতায় বাইরাল একটি ছবি ভাইরাল একটি ছবি, বিজেপি নেতা অনির্বাণ গাঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে ‘অমিত শাহ অ্যান্ড দ্য মার্চ অফ বিজেপি’ বইটি সহাস্যমুখে গ্রহণ করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

শ্রীলেখা মিত্রের কথায়, শিল্পীরা নয় এখানে সেলেবদের সেল চলছে। Sale…sale…sale …celebs ( mind you not artists) on sale

জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘কিছু তথাকথিত স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবী অভিনেতা অভিনেত্রী বা ষ্টার ছাড়াও অনেকে আছেন আমার মতো যারা এখনো কিছু পাওয়ার আশায় পাল্টি খায়নি ۔তাই সমগ্র অভিনেতাকুলকে একরকম ভাববেন না |’ অর্থাৎ তিনি বিশেষ কিছু অভিনেতা অভিনেত্রী তিনি ইঙ্গিত করে বলেছেন তাদের জন্য দর্শকরা সমগ্র অভিনেতা-অভিনেত্রী কুল কেই বিরূপ নজরে দেখছেন।

অবশেষে বিজেপিতে যোগদান এবং এই ছবি নিয়ে সরব হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিজে তার সমাজ মাধ্যমের পাতায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, বাঙালিদের সংস্কৃতি আবেগকে তিনি সম্মান দেন তাই আগেও বহু বার তিনি অতিথি আপ্যায়ন করেছেন । এ ঘটনাও নিছক অতিথি আপ্যায়ন।
তিনি আপাতত, আর জীবনের মূল লক্ষ্য করেছে অভিনয় কি কারণ সেটাই তিনি প্রথম থেকে তার জীবনের ব্রত হিসেবে দেখেছেন।

অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য অনেকের কাছে ক্লিয়ার করে দিতে পারে এই মুহুর্তে রাজনীতির সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ নেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এর। তবে অনেকে বলছেন তিনি নাকি খুব বুদ্ধিদীপ্ত তার সঙ্গে এই অবস্থাকে কন্ট্রোল করছেন। তবে এ ঘটনা একেবারেই সত্যি যে, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় যদি বিজেপিতে জয়েন করেন তবে তা বিজেপি এবং বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে বড় ধরনের মোড় ঘোরানোর কারণ হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.