স্বামী বিজেপিতে, জেলা পরিষদের পদ ছাড়লেন তৃণমূল নেত্রী।

মালদহ জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পায়েল খাতুন। ২০১৮ সালে তৃণমূলের টিকিটে জয় লাভ করা পায়েল বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিট পাননি। নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাঁর দাবি, এখন তৃণমূলের তরফে জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট পদে থাকতে তাঁর ‘বিবেকে লাগছে’। তাই ইস্তফা দিলেন।

পায়েল খাতুনের স্বামী রতুয়ার তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইয়াসিন অবশ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। এর পর থেকে দলের সঙ্গে নিজের যোগাযোগ কমিয়ে দিলেও দল ছাড়েননি পায়েল খাতুন। এতদিন পরে হঠাৎ করে তাঁর ইস্তফা নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।

মালদহ জেলা পরিষদের ৩৩ আসনের মধ্যে তৃণমূল দাবি করেছে, ২৩ টি সিট তাঁদের দখলেই আছে। যদিও নতুন করে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত মালদাহ জেলা পরিষদে এখন কোনও বোর্ড নেই। সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বিজেপিতে যোগদান করেন। সঙ্গে প্রায় ১৫ জন সদস্যকে নিয়ে তিনি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে গেরুয়া পতাকা তুলে নেন।

পরে যদিও তৃণমূল দাবি করে বিজেপি ভয় আর টাকার লোভ দেখিয়ে তাঁদের নিয়ে গেলেও আদতে ওই নেতারা তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন। তৎকালীন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নূর ১৯ জন সদস্যকে হাজির করে জেলা পরিষদ তাঁদের দখলে আছে বলে দাবিও করেন। এমনকি সভাধিপতির পদত্যাগের দাবি করা হয়। বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত।

পরে সভাধিপতি গৌরচন্দ্র বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে ইস্তফা দেন। এখনও পর্যন্ত জেলা পরিষদের নির্বাচন না হওয়ায় ত্রিশঙ্কু হয়ে রয়েছে। এর মধ্যে আবার নতুন বিতর্ক তৈরি করল পায়েল খাতুন।

পায়েল খাতুন জানান, “আজই আমি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। বিধানসভা ভোটে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। তাই নিজের সম্মান রাখতে আজ পদত্যাগ করলাম। বিবেকে লাগছিল। তাই কর্মাধ্যক্ষ পদ ছাড়লাম।”

এবার কি কোনও রাজনৈতিক দলে যাওয়ার কথা ভাবছেন? পায়েল খাতুন জানালেন না। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন না। তবে নিজেই একটা রাজনৈতিক দল তৈরি করবেন। নতুন দলে কি স্বামী সঙ্গ দেবেন? পায়েল জানান, স্বামী তো বিজেপিতে আছেন। তাই সেই দল ছেড়ে তিনি তাঁর গড়া নতুন দলে আসবেন নাকি সেখানেই থাকবেন, সেটা একান্ত তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.