করোনায় রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে একজনের। কিন্তু তাঁর দেহ সৎকার করতে গিয়ে তুলকালাম বেধেছিল নিমতলা শ্মশানঘাটে। স্থানীয় বাসিন্দারা শ্মশানের গেট আটকে দেহটি দাহ করতে দিতে বাধা দেন। ফলে গভীর রাত পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত দমদমের ওই প্রৌঢ়ের মৃতদেহ সৎকার করতে কালঘাম ছুটে যায় পুলিশ প্রশাসনের। এমনকী পুলিশকে দফায় দফায় লাঠিচার্জও করতে হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছিল রাজধানী দিল্লিতেও। সেখানেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত একজনের দেহ সৎকারে বাধা পেতে হয়েছিল পরিবার ও প্রশাসনকে। এই পরিস্থিতিতে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। এবার যদি করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে কারও মৃত্যু হয় তবে তাঁকে দাহ করা হবে ধাপার নির্দিষ্ট এলাকায়। পাশাপাশি কবর দেওয়ার জন্যও নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করল কলকাতা পুরসভা। কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় হ্যামারিং করে রাজ্যব্যাপী লকডাউন করেছেন। শীঘ্রই তার সুফল পাব। আশা করছি আর কোনও মৃত্যু হবে না। তবুও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এরপর করোনায় যদি কারও মৃত্যু হয় তাহলে ধাপায় সৎকার করা হবে। কাউকে যদি কবর দিতে হয় তাহলে বাগমারির একটা জায়গা নির্দিষ্ট করেছি। সেখানেই কবরস্ত করা হবে। এর জন্য পৃথক গেটের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যাতে মানুষ আতঙ্কিত না হয় তার জন্যই আইসোলেটেটড এলাকায় এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
2020-03-26