বিজেপি থানা ঘেরাও কর্মসূচি যাওয়ার পথে হামলা আহত দুই বিজেপি কর্মী

খয়রাশোল: বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো এবং পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে বীরভূমের ২২ থানা ঘেড়াও করে বিক্ষোভ কর্মসূচি ডাক দেয় বিজেপি। ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র কেন্দ্র করেই উত্তেজনা চরমে উঠল খয়রাশোলের রসা গ্রামে। থানায় ডেপুটেশন দিতে যাবার সময় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা। গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুজন বিজেপি কর্মী ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

পাঁরুই, ইলামবাজার, লাভপুর নানুর ময়ূরেশ্বর সহ জেলার প্রায় সবর্ত্র বিজেপি কর্মীদের ওপর একের পর এক আক্রমন হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। অথচ শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনে পুলিশ উল্টে বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করছে।শুধু তাই নয়, তল্লাশির নামে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করছে পুলিশ। তারই প্রতিবাদে সোমবার বীরভূমের ২২টি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভের ডাক দেয় বিজেপি।
সে কর্মসূচি পালনের জন্য সকাল থেকেই প্রতিটি থানা এলাকায় জমায়েত করতে থাকে বিজেপির লোকজন । এদিন বেলা ১১ টা নাগাদ খয়রাশোলের কাঁকরতলা থানা ঘেরাও-এর জন্য গাড়িতে করে বিজেপির কর্মীরা যাচ্ছিলেন রসা গ্রামের ভিতর দিয়ে। অভিযোগ, রসা গ্রামে বিজেপির গাড়ি আটকায় তৃণমূল। শুরু হয় বচসা। আচমকা বিজেপি লোকজন দের বেধরক মারতে শুরু করে। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। দুজন কর্মী গুরুত্বর জখম হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিজেপি কর্মীরা সিউড়ি বাবুইজোড় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তারা দাবি করেন অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভে অবরুদ্ধ থাকে রাস্তা। আহতদের প্রথমে নাগরাকোন্দা ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।

বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “আমাদের কর্মীদের ওপর তৃণমূলের লোকেরা সবসময় হামলা মারধর করছে। অথচ পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়ে বিজেপির কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে। এরই প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা জেলার সবকটি থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছি। আমরা যে মিথ্যা অভিযোগ করছিনা তা প্রমান হয়ে গিয়েছে কাঁকরতলা থানার রসা গ্রামে। আমাদের কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, মারধর করেছে। দুজন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নিলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব”। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের জেলা সহসভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “মূল রাস্তা দিয়ে না গিয়ে গ্রামের ভেতর দিয়ে বিজেপি কর্মীরা যাচ্ছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো গ্রামে উত্তেজনা সৃষ্টি করা। গ্রামবাসীরা তার প্রতিবাদ করেছে। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোন যোগ নেই”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.