মহাসপ্তমীতে কিছুটা স্বস্তিতে রাজ্যবাসী, বাংলায় সামান্য নিম্নমুখী করোনা সংক্রমণের গ্রাফ

মহাসপ্তমীতে সামান্য স্বস্তি পেল বঙ্গবাসী। পুজোর দ্বিতীয় দিনে সামান্য নিম্নমুখী করোনার গ্রাফ। কমেছে মৃত্যুও। সবমিলিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে একটু স্বস্তির হাওয়া পেল বাংলার মানুষ।

শুক্রবার সন্ধেয় স্বাস্থ্য দপ্তের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা হয়েছেন ৪ হাজার ১৪৩ জন। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যাটা ছিল ৪ হাজার ১৫৭ জন। এদিন বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ লক্ষ ৪১ হাজার ৪২৬ জন। এদিনও রাজ্যে সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছে কলকাতায় (৮৯৬)। এর সামান্য পিছনেই রয়েছ উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৮৮৬ জন। উত্তরে সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছে পর্যটকে ঠাসা দার্জিলিং-এ। সেখানে একদিনে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৮৯ জন। চিন্তা বাড়াচ্ছে হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, জলপাইগুড়িও।

রাজ্যবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে সুস্থতার হারও। রাজ্যের তথ্য বলছে, আগের দিনের তুলনায় করোনা থেকে সেরে ওঠার হারও সামান্য বেড়েছ। আগের দিন এই সুস্থতার হার ছিল ৮৭.৪৪ শতাংশ। আজ তা বেড়ে হয়েছে ৮৭.৪৫ শতাংশ। একদিনে করোনা জয় করে প্রিয়জনদের কাছে ফিরে গিয়েছেন ৩ হাজার ৬৭৬ জন। ফলে বাংলায় করোনাজয়ীর মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫৮৭ জন।

এদিন কমেছে মৃত্যুও। মহাষষ্ঠীতে যেখানে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের। এদিন সেই সংখ্যাটা একটু কমে দাঁড়ায়েছে ৬০-এ। ফলে শুক্রবার করোনায় রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৬৮ জন।

উৎসবের মরশুমে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যে আরও ভয়াবহ রূপ নেবে, তা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সে সব আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে চলতি বছর মণ্ডপে দর্শনার্থী প্রবেশের ক্ষেত্রে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বাইরে বেরলেই মাস্ক ব্যবহারের উপর দেওয়া হচ্ছে জোর। এছাড়া কোভিড বিধি মেনে স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথাও বলা হচ্ছে। রাজ্যবাসীর মধ্যে কিছুটা হলেও সতর্কতা দেখা গিয়েছে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে রাস্তায় ভিড় তুলনামূলক কম। আর সই সতর্কতার জেরেই হয়তো কিছুটা নিম্নমুখী হল করোনা সংক্রমণের গ্রাফ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.