কতজন রাজনৈতিক মৃত হিন্দুর পরিবারের মানুষ চাকরি পেয়েছে?

সমগ্র বিশ্বে দুটি আব্রাহামিক গোষ্ঠী বা দল আছে। একটি হল লাল , অপরটি হল কালো পতাকা হাতে নিয়ে চলা দল।। একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন এদের প্রধানত দুটি বিভাগ থাকে। কিছু ক্ষেত্রে আরো একটি বিভাগ থাকে।


প্রথম বিভাগের কাজ হল সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করা এবং দ্বিতীয় বিভাগের কাজ সেই যুদ্ধের কারণ প্রতিষ্ঠা করা। অবশ্যই সেটা নিজের গোষ্ঠীর পক্ষে। তৃতীয় বিভাগ যেটা করে সেটা হল সম্পূর্ন নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি তৈরি করে যুদ্ধের একটি প্লট তৈরি করা।


প্রথমত নিজের শক্তি বিচার করে সেইভাবেই এরা প্রথম এবং দ্বিতীয় বিভাগের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। যতক্ষণ ক্ষমতা পর্যাপ্ত নয় ততক্ষণ মিষ্টি মুখে নিজের দাবি আদায়ের আপ্রাণ চেষ্টা করে এবং সেটাও নিজেদের খুব অসহায় একটা ভাবমূর্তি তৈরি করে। আবার যখন ক্ষমতা অসীম, তখন সরাসরি যুদ্ধে নামা এদের কাজ।
বাংলা এই দুই গোষ্ঠীর কাজ খুব কাছ থেকে দেখেছে এবং বর্তমানেও দেখছে। একটা সময়ের পর যখন এদের ক্ষমতা চরম পর্যায়ে বৃদ্ধি পেয়েছে তখন এদের একটা গোষ্ঠী বাংলার জমি ছিনিয়ে নিয়েছে। আর অপর গোষ্ঠী অবশিষ্ট বাংলা শাসন করেছে। জমি ছিনিয়ে সম্পূর্ন ভাবে নিজের করায়ত্ত করে নিয়ে খুব দ্রুত বিধর্মী নিকেশ করেছে। আবার অপর একটি গোষ্ঠী বিরোধী রাজনৈতিক দলের টুটি চেপে ধরে শেষ করতে সবরকম চেষ্টা করেছে।


ঠিক তারপরেই যদি বিরোধী পক্ষ সেই ভুল নিয়ে প্রশ্ন করে তাহলেই শুরু হয় আসল খেলা। ঠিক কতটা যুক্তি খাড়া করা সম্ভব সেটা নিয়ে গবেষণা এবং সেটা দিয়েই নিজের গোষ্ঠীর ভুল গুলো ঢেকে তাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ করে নিজেরাই সেই সব ঘটনা বা কারণ গুলোর একেকটা বড় কারন তৈরি করে সমাজের বুকে চাপিয়ে দিয়ে থাকে। হ্যা এটাই সেই ন্যারেটিভের খেলা।


গত একটি ঘটনা সেরকম জ্বলন্ত উদাহরন। একটি গোষ্ঠী বিরোধের নামে মিছিল আন্দোলন শুরু করল। সাথে সরকারি সম্পত্তি অর্থাৎ দেশের সম্পত্তি নষ্ট করে নিজেদের উপস্থিতির জানান দিতে গিয়ে নিজেরা চরম পর্যায়ে আক্রমণ শুরু করে। সেটা প্রতিহত করতেই শুরু হল ভিক্টিম সেজে নিজেদের ভুল ঢেকে দিয়ে সকারের ওপরে দোষ চাপিয়ে দেওয়া। এরাই যখন সরকারে ছিল তখন যে শুধু বিরোধীদের মেরেছে তা নয়, খুন অব্দি করেছে। বহু গণহত্যা করেছে ,যেগুলো জনরোষ বলে প্রচার করেছে। অথচ নিজেরা যখন প্রতিরোধের মধ্যে পড়েছে তখন তাদের দরকার হয়েছে আরো নোংরা রাজনীতি করার। একটা ছেলেকে নিজেদের নেতার হসপিটালে নিয়ে গিয়ে পরের দিন জানিয়েছে সরকারের কারণে সেই ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে। আর সেটার প্রতিবাদে আবার আজ আক্রমণ করেছে ভয়ঙ্কর ভাবে। কতটা হিংস্র হলে প্রশাসনের ওপরে আক্রমণ কেও করতে পারে সেটা একটি বিদেশি নীতি নিয়ে চলা দলের কাজ দেখলেই বোঝা যায়।

যে গোষ্ঠী নিজেদের ধর্ম নিরপেক্ষ বলে দাবি করে আজ তারা সেই মৃতদেহের মধ্যে ধর্ম খুঁজে পেয়েছে। সেই গোষ্ঠী অপর আরো একটি সেকুলার দলের হাত ধরেছে সেই দল যখন মৃত দেহের ধর্ম খুঁজে বের করেছে তখন একবারও প্রতিবাদ করেনি। কেন?
কারণ সেই ধর্মের বৈধতা তারা দিয়েছে প্রাণের ভয়ে, কিন্তু এটাই যদি সহিষ্ণু ধর্মের কোনো ছেলে হত তাহলে মুখ দিয়ে একটাও কথা বের হত না।
আরো একটি ব্যাপার এরা খুব সন্তর্পনে লুকিয়ে দিয়েছিল যেটা এখন সবার কাছেই বড় প্রশ্ন। যে ছেলেটি মারা গেছে সে কি করে ছাত্র সংগঠন করতে পারে? যখন সেই ছেলেটি বিবাহিত এবং তিনটি সন্তানের পিতা?


দেখুন একটি জিনিস খুব স্পষ্ট, এই ছেলেটির সাথে এরকম দুঃখজনক ঘটনা না ঘটলে কেও এই বিষয়ে জানতেও পারত না। কিন্তু যখন মারা যাবার পর সব ডিটেল সামনে তখন উল্টো একটি খেলা চালু করা হল। ছেলেটি মারা যাবার পর তার পরিবার কি করে চলবে। এখন ভিক্টিম সাজিয়ে বলা হচ্ছে তিনটি সন্তানের ভবিষ্যত নষ্ট। হ্যা অনেক ছেলে কাজ করে নিজের পড়া করে আমরা জানি কিন্তু এই ছেলেটি টোটো চালিয়ে নিজের পড়া করার জন্য রোজগার করত তা নয়, সে নিজের পরিবার চালাত। যে ছেলের তিনটি সন্তান আছে সে কি করে ছাত্র হতে পারে ভাবুন তো!

সরকার এখন বলছে সেই ছেলেটির পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু তাতে তারা সন্তুষ্ট নয়। তাদের দাবি হল ,তাদের পছন্দের একটি চাকরি দিতে হবে। মিডিয়া এই নিয়ে অনেক প্রচার করল এটা বলে যে , এটা রাজনৈতিক হিংসার কারণে মৃত্যু।
অথচ বঙ্গে প্রায় 135 এর বেশি হিন্দু মারা গেছে শুধু রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়ে। অথচ মিডিয়া চুপ ,বঙ্গের মানুষ জানেনা কত কত হিন্দু এইভাবে দিনের পর দিন মারা যাচ্ছে। তাদের পরিবারের কি অবস্থা কেও জানেনা। করো জানেনা কতজন রাজনৈতিক মৃত হিন্দুর পরিবারের মানুষ চাকরি পেয়েছে। আজ এটা খুব স্পষ্ট যে বঙ্গে একটি জাতির কোনো অস্তিত্ব রাখতে চাইনা এই তথাকথিত মানুষের কথা বলা দলটি। হিন্দু শুন্য করা প্রধান কর্তব্য হয়ে দাড়িয়েছে। এত কিছু ঘটনার পরেও যদি বঙ্গের হিন্দু সচেতন না হয় তাহলে খুব দ্রুত আবার তাদের ভিটে ছাড়া হতে হবে। আবার কোনো একজন নোবেল বিজয়ী বলবেন ভূমিসংস্কার হয়েছে।

যখন কোনো ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষ এই মৃত্যুর পর বলছে ছেলেটির ধর্মীয় পরিচয় না দিয়ে মানুষের মারা যাবার কথা বলা উচিত ঠিক তখনই আরো একজন স্পষ্ট ভাবে বলছে তাদের ধর্মীয় পরিচয় আগে, রাজনীতি তার পরে। আসলে হিন্দু নিজের ধর্মীয় পরিচয় দিতে যতটা লজ্জিত হয় বা অস্বীকার করে ঠিক ততটাই অপর পক্ষ নিজের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে এতটুকুও কম্প্রোমাইজ করতে রাজি নয়। তারা জানে তাদের কৌম আগে রক্ষা করতে হবে তারপর বাকি যেকোনো পরিচয়।
হ্যা তারা রাজনৈতিক পরিচয় পরে বোঝে, তারা কোন দেশের নাগরিক সেটাও পরে বোঝে। পার্থক্য গুলো এখানেই খুব সহজে বোধগম্য।

✍️ পিউ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.