করোনাযুদ্ধে রাজ্যবাসীকে প্রতিষেধক (Corona vaccine) দেওয়া হবে বিনামূল্যে। এই ইচ্ছাপ্রকাশ করে এবার জেলার পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্তাদের চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাতে প্রাধান্য পাবেন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। চিঠিতে এমনই জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তার ব্যবস্থাপনা করার কথা তিনি চিঠিতে জানিয়েছেন বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা চিঠি পৌঁছেছে রাজ্যের প্রত্যেক জেলার পুলিশ ও স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের কাছে।
আগামী সপ্তাহে রাজ্যে আসছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটের (SII) তৈরি করোনা টিকা ‘কোভিশিল্ড’। কীভাবে তা বণ্টন করা হবে, তার রূপরেখা স্থির করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। প্রথম দফায় রাজ্যের প্রথম সারির ৩ কোটি করোনা যোদ্ধা পাবেন প্রতিষেধক। পরে ধাপে ধাপে শিশু, বয়স্কদেরও টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে টিকা নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্তকরণের কাজও শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি এই তালিকায় রয়েছেন পুলিশ কর্মীরাও। এরই মধ্যে জেলার স্বাস্থ্যবিভাগে পৌঁছল মুখ্যমন্ত্রীর লেখা চিঠি। যাতে উল্লেখ, রাজ্যের সমস্ত নাগরিককে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দিতে ইচ্ছুক রাজ্য সরকার। অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে তিনি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে চিঠিতে প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী ১৬ তারিখ থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে করোনার টিকাকরণ। কীভাবে কাজ হবে, সেই পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে সোমবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনা হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যেও। তাতে এ রাজ্যে টিকাকরণের পদ্ধতি স্থির হতে পারে। তার ঠিক আগে রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে চেয়ে জেলাগুলিকে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা বাস্তবায়িত হলে করোনাযুদ্ধে বাংলা যে আরও খানিকটা এগিয়ে যাবে, তাতে সন্দেহ নেই।