মুকুলের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে আরও চারজন বিধায়ক নাম লেখাতে চলেছেন গেরুয়া শিবিরে

তৃণমূলে ভাঙন অব্যাহত। দলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীর হুমকিতেও কান লাগাচ্ছে না কেউ। এর আগে মমতা ব্যানার্জী কার্যত হুমকির সূরেই বলেছিলেন যে, ‘যারা যারা দল ছাড়তে চাইছেন, ছেড়ে দিন।” মমতা ব্যানার্জীর এই হুমকির পর দল ছেড়েছেন নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং এবং বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এছাড়াও তৃণমূলের হাত ছাড়া হয়েছে দুটি পুরসভা।

দলের ভাঙন রুখতে চরম ভাবে ব্যার্থ তৃণমূল শিবির। নানারকম বৈঠক দিয়েও দলে ধরে রাখা যাচ্ছেনা নেতাদের। এবার সেই ক্রমেই আরও চার বিধায়ক যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে একচেটিয়া ভালো ফল করেছে গেরুয়া শিবির। লোকসভা ভোটের পর দলের ভাঙন রুখতে কোচবিহার জেলার তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা এবং বিধায়কদের নিয়ে একটি মিটিং ডেকেছিলেন। সেই মিটিংয়ে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের চার বিধায়ক। সেখান থেকেই জল্পনা বেড়ে চলেছে।

মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী কলকাতায় দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি মিটিং করেন। সেখানে তিনি কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলেন, চুরি করে অন্য দলে যোগ দেওয়া যাবেনা। এমনকি উনি এও বলেন যে, একটা কাউন্সিলর গেলে ৫০০ টা কাউন্সিলর দাঁড় করিয়ে দেবেন তিনি। এছাড়াও তিনি দলত্যাগি কাউন্সিলরদের চোর বলে আখ্যা দেন। কিন্তু সততা প্রতীক মমতা ব্যানার্জী যখন জানতেন যে, ওনার দলের কাউন্সিলর চোর। তখন তাঁদের বিরুদ্ধে আগে ব্যাবস্থা নেন নি কেন?

বিজেপি সুত্রের খবর অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার থেকে দু’জন করে তৃণমূল বিধায়ক দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিধায়কদের পাশাপাশি এই এলাকার একাধিক পঞ্চায়েত ও পুরসভা হাতছাড়া হচ্ছে ঘাসফুলের। এই বিধায়কদের মধ্যে একজনকে কংগেস থেকে ভাঙিয়ে তৃণমূলে নিয়ে এসেছিলেন স্বয়ং মুকুল রায়। চার বিধায়কের দল ত্যাগের সম্ভাবনার পর চরম চাপে ঘাসফুল শিবির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.