ব্রেকিং: সৌরভের চিকিৎসার জন্য আসছেন দেবী শেঠি

 প্রিন্স অফ ক্যালকাটা সম্পূর্ণ ভালো রয়েছেন। তাঁর শরীর নিয়ে এখন কোনও উদ্বেগ নেই। রবিবাসরীয় সকালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য বুলেটিন প্রকাশ করতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ড: রুপালী বসু।

অন্যদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের চিকিৎসার জন্য আসছেন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেট্টি ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে দেবী শেট্টি’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সম্ভবত সোমবার সকালেই মহারাজকে দেখতে আসতে পারেন। এমনটাই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, ড: বসু জানিয়েছেন, ‘উনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। আমি সকালে ওনার সঙ্গে দেখা করেছি এবং কথা বলেছি। আমি যখন দেখা করেছি তখন উনি প্রাতঃরাশ সারছিলেন। স্ত্রী ডোনা, দাদা স্নেহাশিষ এবং বৌদির সঙ্গেই উনি ছিলেন সে সময়। দেখে একদম সুস্থ মনে হয়েছে। স্বাভাবিক ছন্দেই সমস্তকিছু করছেন। হতে পারে কিছুটা ক্লান্ত তবে এই মুহূর্তে তাঁর শারীরীক অবস্থা নিয়ে কোনও উদ্বেগের কারণ নেই।’

তবে সৌরভের অবস্থার কথা ভেবে নাকি বাইপাস সার্জারি করা হবে এমন কিছু জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই সম্ভাবনা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন ডাক্তাররা। জানা গিয়েছে, বাইপাস সার্জারির করার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি৷ তবে আরও ২ আর্টারিতে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হবে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে৷

অন্যদিকে, মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়, রাতে ভালভাবে ঘুমিয়েছেন সৌরভ ৷ তার কোনও জ্বর নেই। এমনকি রুটিন ইসিজি রিপোর্টে কোনও অস্বাভাবিকত্ব ধরা পড়েনি। সন্তোষজনক রিপোর্ট এসেছে। তাঁর পালস রেট (মিনিটে ৭২) এবং রক্তচাপও (১১০/৮০) স্বাভাবিক আছে।

তবে বাকি দুই ধমনীতে কবে স্টেন বসানো হবে তা নিয়ে আগামিকাল সোমবার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন চিকিৎসকেরা৷ দেবী শেঠির সঙ্গে আলোচনা করেই হয়তো এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে কবে থেকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারবেন মহারাজ। উডল্যান্ডস সিইও বলেন, বাকি দু’টি আর্টারিতে স্টেন্ট বসানোর ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যেই আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারবেন মহারাজ।

ড: বসু বলেন, ‘আমার মনে হয় না এই মুহূর্তে তাঁর কোনও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন আছে বলে। ওনার বয়সও অল্প আর সে কারণেই আমরা অ্যাডভান্সমেন্ট অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করেছি তাঁর হৃদযন্ত্রে। তবে আমরা দেশের সেরা কার্ডিওলজিস্টদের মতামত এই মুহূর্তে গ্রহণ করছি আর আলোচনার পরেই বাকি দু’টি আর্টারিতে স্টেন্ট বসানো নিয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব।

তারপর ৩-৪ সপ্তাহ বিশ্রামের পরেই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন উনি আর আমরাও চাই দাদা ফের তাঁর স্বাভাবিক জীবনে ফিরুন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.