দিল্লিতে দু’দিনের ‘হাই ভোল্টেজ’ বৈঠকে যোগ দিতে আজই রওনা হচ্ছেন দিলীপ ঘোষ।

 শনিবারই দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সকালেই বিমানে রাজধানীর পথে রওনা দেবেন তিনি। রবিবার বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। সেই বৈঠকে অংশ নিতেই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি।

শনিবার সকালে নিউ টাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে এসে দিলীপ ঘোষ জানান, দু’দিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক আছে দিল্লিতে। রবিবার ‘কার্যকারিণী সমিতি’র বৈঠক রয়েছে। তাই এই দিল্লি সফর। জাতীয় কমিটির সদস্যরা তো এই বৈঠকে থাকবেনই। থাকবেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ সমস্ত রাজ্যের নেতারা।

এই বৈঠক যদিও ভার্চুয়ালি হবে। রাজ্য থেকেই অংশ নেবেন দলের অধিকাংশ সদস্য। হাতে গোনা কয়েকজন যাবেন দিল্লি। এর মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর নামও শোনা যাচ্ছিল। যদিও দিলীপ ঘোষ এ নিয়ে কিছু জানাননি।

দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমাদের দু’দিনের বৈঠক রয়েছে। আজ বৈঠক। রবিবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক রয়েছে। কেন্দ্রীয় সমিতির যাঁরা সদস্য সকলেই বৈঠকে থাকবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও থাকবেন। বাকি সমস্ত রাজ্যের নেতা নিজের নিজের রাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হবে।”

কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে? উপনির্বাচনে বিজেপির ব্যর্থতার কারণ নিয়ে কি এ বৈঠকে কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে? দিলীপ ঘোষ বলেন, “সম্ভবত না। এটা তো স্থানীয় স্তরে হয়েছে। যাঁরা পর্যবেক্ষক ছিলেন, তাঁরাই বিষয়টি দেখেছেন। মনে হয় আগামিদিনে যেখানে নির্বাচন রয়েছে, সেই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।”

একই সঙ্গে বঙ্গ বিজেপিতে রদবদলের সম্ভাবনা নিয়েও দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, যথা সময়েই যা হওয়ার হবে। তার আলোচনা চলছে।

রবিবার ৭ নভেম্বর বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। থাকার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডারও। বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে থাকবেন বাংলার প্রতিনিধিরাও। এখনও অবধি যা খবর, এ রাজ্যের ২২ প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে।

এই ভার্চুয়াল বৈঠকে এই রাজ্যের প্রতিনিধিদের কেউ কেউ দিল্লি থেকে অংশ নেবেন। বাকিরা থাকবেন কলকাতা রাজ্য দফতর থেকে ভার্চুয়ালি থাকবেন। সেখানে সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টে অবধি এই বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর রাজ্য বিজেপির বড়সড় সাংগঠনিক রদবদল হতে চলেছে বলেই সূত্রের খবর। এমনও শোনা যাচ্ছে, রাজ্য বিজেপিতে এবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকসঙ্ঘের প্রতিনিধিত্ব বাড়বে। তৈরি হচ্ছে নতুন পদ।

রাজ্য বিজেপিতে রাজ্য সভাপতি পদের পরই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পদ হল সাধারণ সম্পাদক ( সংগঠন)। সাধারণত সেই পদে সঙ্ঘের কোনও প্রচারককেই বসানো হয়। বর্তমানে এ রাজ্যে সেই পদে রয়েছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। কিন্তু তাঁর কোনও সহকারী নেই। সূত্রের খব, এবার তাঁর দুজন সহকারী নিয়োগ করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের জন্য একজন ও দক্ষিণবঙ্গের জন্য একজনকে নিয়োগ করা হচ্ছে। এসমস্ত বিষয়ও আলোচনায় উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.