Under 19 World Cup 2022: বাবার ত্যাগ আর কঠিন লড়াই! শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে ভারতকে ফাইনালে তুলল রশিদ

অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ আরও এক তারার খোঁজ পেল বিশ্ব ক্রিকেট। বুধবার আইসিসির অনুর্ধ্ব ১৯ যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে ভারতের অধিনায়কের সঙ্গে যিনি ভারতের ইনিংস গড়েছেন তিনি হলেন ভারতীয় যুব দলের সহ-অধিনায়ক শাইক রশিদ। মাত্র ৬ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করেছেন তিনি। তবু তাঁর ব্যাটিং স্কিলের প্রশংসা করেছেন দলের অধিনায়ক যশ ধুল।  

বয়সভিত্তিক খেলায় এক বার সুযোগ পাওয়ার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি রশিদকে। ২০১৮-১৯ সালে বিজয় মার্চেন্ট অনূর্ধ্ব ১৬ ক্রিকেটে তিন নম্বরে ব্যাট করে নজর কাড়েন তিনি। ছয় ম্যাচে ৬৭৪ রানে করেন। অপরাজিত ২০০-সহ তিনটি শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন। সেই মরশুমে বিনু মাঁকড় (অনূর্ধ্ব ১৯) প্রতিযোগিতায় ছয় ম্যাচে ৩৭৬ রান করেন তিনি। এরপর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

তবে রশিদের ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পিছনে রয়েছে তার বাবা শাইক বালিশাভল্লির বড় অবদান। প্রতি দিন স্কুটার করে ১২ কিলোমিটার দূরে অনুশীলন করাতে নিয়ে যেতেন ছেলেকে। সেটি ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের শহরতলি মণ্ডলগিরিতে অন্ধ্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাকাডেমি। ক্রিকেটের প্রায় কিছু‌ই না জানা বালিশাভল্লির কাজে যেতে দেরি হয়ে যেত প্রায়ই। দু’বার চাকরি হারাতে হয় তাঁকে। বালিশাভল্লি বলেন, ‘দেরি করে কাজে যাওয়ার জন্য অন্তত দু’বার আমাকে কাজে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়েছিল।’ তবু হাল ছাড়েননি রশিদের বাবা। বল ছুড়ে নিজে ছেলেকে অনুশীলন করানোর পর ৪০ কিলোমিটার দূরে রাজ্য স্তরের কোচেদের কাছে অনুশীলন করাতেও নিয়ে যেতেন বালিশাভল্লি।

বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে শাইক রশিদ বলেন, ‘বাবা কখনও আমাকে খরচের কথা জানতেই দেয়নি। আমি জানতাম খুব সহজ নয়, কিন্তু বাবা ঠিক টাকা যোগাড় করে ফেলত আমার খেলার জন্য।’ বালিশাভল্লির এক বন্ধু রশিদের খেলা দেখেন এবং বুঝতে পারেন তাঁর প্রতিভা। তিনি রশিদের ক্রিকেট খেলার খরচ বহন করেন। বালিশাভল্লি বলেন, ‘আমার বন্ধু ইন্দ্রসেনা রেড্ডি পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। ও হায়দরাবাদের একজন চিকিৎসক। কখনও আমাকে সাহায্য করার আগে দু’বার ভাবেনি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.