চিরকালই নারিন ত্রাস RCB-র, অনন্য নজিরে ফের বোঝালেন ক্যারিবিয়ান

শুভব্রত মুখার্জি: আইপিএল ২০২১’র সংস্করণের প্লে অফে বিরাটের নেতৃত্বাধীন রয়্যাল চ্যালেঞ্চার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর নাইটদের এই জয়ে সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করেছেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার সুনীল নারিন। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভর করেই কার্যত এই জয় ছিনিয়ে নিতে পেরেছে কলকাতা। একটা সময় যখন মনে হচ্ছিল ব্যাট হাতে আরসিবি, কেকেআরকে বড় রানের টার্গেট দিতে চলেছে তখনই নারিনের ঘূর্ণিতে কার্যত ধরাশায়ী হয়ে যায় আরসিবির বড় বড় ব্যাটাররা। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে কোন একটি ফ্রাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে তিনবার এক ইনিংসে চার বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন তিনি।

সোমবারে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আরসিবি শুরুটা বেশ ভালো করেছিল। পাওয়ার প্লেতে স্কোরবোর্ডে বিনা উইকেটে ৪৯ রান তারা তুলে ফেলেছিল বিরাট অ্যান্ড কোম্পানি। লকি ফার্গুসনের হাত ধরে কেকেআর প্রথম উইকেট ফেলতে সমর্থ হলেও আরসিবির ইনিংসের মেরুদন্ড ভেঙে দেন নারিন। প্রথমে তার বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরসিবির আগের ম্যাচের নায়ক কে এস ভরত। এরপরে মিড উইকেট অঞ্চল দিয়ে নারিনকে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ক্লিনবোল্ড হয়ে যান বিরাট কোহলি। বিরাটের আউট হওয়ার পরপরেই ডিভিলিয়ার্সকেও বোল্ড করে দেন নারিন। আগের মারকুটে ব্যাটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও নারিনকে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান। বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে তিনি ম্যাচের লড়াইতে কেকেআরকে ফেরান।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

পরবর্তীতে রান তাড়া করার সময়তেও তার ইনিংসের প্রথম তিন বলে পরপর তিনটি ছয় মেরে কলকাতা সমর্থকদের ১৬ বলে ২৫ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন নারিন। যা কেকেআরকে ম্যাচ জিততে সহায়তা করে। উল্লেখ্য আইপিএল ইতিহাসে নারিন প্রথম বোলার যিনি কোন এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এক ইনিংসে তিনবার চারটি উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন। আসুন একনজরে দেখে নিন সেই পরিসংখ্যান:-

১) ২০১৩,রাঁচি, ২২/৪ বনাম আরসিবি

২) ২০১৪,কলকাতা,২০/৪ বনাম আরসিবি

৩) ২০২১,শারজা, ২১/৪ বনাম আরসিবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.