‘বিজ্ঞান-শিক্ষা’য় ঔপনিবেশিক দাসত্বের ইতিহাস

পঞ্চম পর্ব

ইউক্লিড : সত্য না কল্পনা ?

বিজ্ঞানের একটি প্রধান বিষয় গণিত এবং গণিতের ইতিহাসে জ্যামিতি চর্চার ইতিহাস সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জ্যামিতি চর্চার ইতিহাস সেই দেশের সংস্কৃতি ও দর্শন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেয়।
ভারতবর্ষে যজ্ঞবেদী নির্মাণ ও সঠিক পরিমাপের প্রয়োজনে জ্যামিতির উদ্ভব ও বিকাশ ঘটে এবং পরবর্তীতে মূর্তি ও মন্দির নির্মাণে ত্রিমাত্রিক জ্যামিতির অনেক জটিল তত্ত্ব আবিষ্কৃত হয়। ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার প্রয়োজনে উদ্ভূত গাণিতিক তত্ত্ব পরে সাধারণ মানুষের জীবনেও কাজে লাগাতে শুরু করে।
ভারতবর্ষের গণিত চর্চার সে ইতিহাস আজ বিস্মৃতপ্রায়। গণিত পড়তে গিয়ে বিভিন্ন তত্ত্বের আবিষ্কর্তা হিসেবে ইউরোপের বিভিন্ন নাম বিশেষত বিভিন্ন গ্ৰীক নাম বারেবারে আমাদের সামনে আসে এবং আমাদের অবচেতনে সেই সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা গড়ে ওঠে। অন্যদিকে গণিতের ক্ষেত্রে প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অবদান এবং সেই গণিতের জন্মদাতা দর্শন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অজ্ঞানতা ভারতীয়দের হীনমন্যতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

জ্যামিতি পড়ার সময় ইউক্লিড নামটির সঙ্গে আমাদের পরিচিত হতেই হবে। ইউক্লিড কে ‘Father of Geometry’ বলা হয়। ইউক্লিডের ‘Elements’ কে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি প্রভাবশালী বই বললে ভুল হবে না।’Elements’ ম্যাথামেটিক্স এর সাথে বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়কেও প্রভাবিত করেছে । সবথেকে বেশিবার ছাপানো বইয়ের তালিকায় বাইবেলের পরে ‘Elements’ এর স্থান।’Elements’ এর লেখক হিসেবে ইতিহাসে ইউক্লিডের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ইউক্লিডের সম্বন্ধে আমরা কতটুকু জানি ?

বলা হয়ে থাকে ইউক্লিডের জন্ম বর্তমান মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া তে ৩২৫ খ্রীষ্ট-পূর্বাব্দে এবং মৃত্যু ২৬৫ খ্রীষ্ট-পূর্বাব্দে।[এই সময়ে মিশরের শাসন ক্ষমতা আলেকজান্ডারের সেনাপতি প্রথম টলেমীর (Ptolemy I) হাতে ( ৩২৩ খ্রীঃ পূঃ -২৮৩ খ্রীঃ পূঃ)।]

কিন্তু ‘Elements’ এর এমন কোনো পান্ডুলিপি নেই যেখানে ইউক্লিড(Euclid) নামটি পাওয়া যায়।Sir Thomas Heath , ‘A History of Greek Mathematics এ বলেছেন “All our Greek texts of the Elements up to a century ago….purport in their titles to be either ‘from the edition of Theon’ or from the lectures of Theon’ “. অর্থাৎ থিয়ন এর লেখা থেকে Elements সম্পর্কে জানা যায় , ‘Elements’ নামে কোনো পান্ডুলিপি নেই।
থিয়ন , আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরীর শেষ গ্ৰন্থাগারিক এবং থিয়নের সময় অর্থাৎ চতুর্থ শতাব্দীর শেষের দিকে আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরী কে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রাচীন ভারতবর্ষের মতো মিশরেও মিশরীয় দেবতা সেরাপিস(Serapis)এর মন্দিরের পাশে এই গ্ৰন্থাগারটি ছিল।বিশপ থিওফিলাস(Theophilus)এর নেতৃত্বে উত্তেজিত জনতা সেরাপিসের মন্দিরের সাথে আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরী কে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অর্থাৎ থিয়নের যে lecture এর কথা বলা হচ্ছে তা পঞ্চম শতাব্দীর। অর্থাৎ পঞ্চম শতাব্দীর আগে কোথাও ‘Elements’ এর উল্লেখ নেই।

বিভিন্ন বই তে , ইন্টারনেটে ইউক্লিডের যে ছবি আমাদের সামনে তুলে ধরা হয় তা একজন শ্বেতাঙ্গ গ্ৰীকের মতোই দেখতে। কিন্তু মিশরে ইউক্লিডের জন্ম হলে তাকে অতি সহজেই শ্বেতাঙ্গ হিসেবে মেনে নিতে অসুবিধা হয় বৈ কি! আমরা যদি মিশরের স্ফিংস এর মূর্তি দেখি , তাহলে এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক যে স্ফিংস এর মাথাটা নিগ্ৰো অর্থাৎ কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের মতো। এমনকি গ্ৰীক ঐতিহাসিক হেরোডেটাসের মতে ‘Egyptians are black with woolly hair’।
ইউক্লিড কে শ্বেতাঙ্গ মানুষ হিসেবে ধরে নেওয়া কি তাহলে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গ্ৰীকদের মহিমান্বিত করার জন্য এক গভীর পরিকল্পনা ?
ঐতিহাসিক সত্যতা নিয়ে এই দ্বিধা-দ্বন্দ থাকা সত্ত্বেও প্রত্যেক জ্যামিতি বইয়ের ইউক্লিডের ছবি শিশুমনে গেঁথে যায় এবং একদিন তা চিরন্তন সত্যের রূপ পেয়ে যায়।

‘Euclides’ কথাটি ক্রুসেড পরবর্তী সময়ের ল্যাটিন গ্ৰন্থগুলিতে পাওয়া যায় এবং ‘Euclides’ কথাটি এসেছে আরবীয় শব্দ ‘uclides’ থেকে যার অর্থ “key to geometry” ।
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি টলেডো লাইব্রেরীতে প্রচুর আরবীতে লেখা বইয়ের ল্যাটিনে অনুবাদ হয় এবং এই অনুবাদের সময় ‘uclides’ পরিবর্তিত হয়ে ‘Euclid’ হওয়াটা অসম্ভব নয় কারণ অনুবাদকরা(এদের Mozarabs বলা হয় ) আরবী বা ল্যাটিন ভাষা জানলেও বিষয় সম্পর্কে কিছু জানতো না।
ইউক্লিড নামটি Proclus (৪১২ খ্রীঃ-৪৮৫ খ্রীঃ) এর Element এর একটি ভাষ্যে (Commentary) পাওয়া যায় । Elements এর বিভিন্ন ভাষ্যে লেখকের নামের উল্লেখ পাওয়া যায় না , ব্যতিক্রম শুধু Proclus এর এই ভাষ্যটি এবং এখানেও একটিমাত্র অনুচ্ছেদে ইউক্লিডের নাম পাওয়া যায় যা Neoplatonic দর্শনের বিপক্ষে বলে কিন্তু ভাষ্যের বাকি অংশ Neoplatonic দর্শনের পক্ষে বলে। আসলে এই Neoplatonic দর্শনের বিরুদ্ধ অবস্থান ক্রুসেড পরবর্তী খ্রীষ্টিয় দুনিয়ার স্বার্থের পক্ষে (in support of Christian theology) ছিল। কারণ এর আগে Neoplatonic দর্শনকে খ্রীষ্টিয় উপাসনা পদ্ধতিতে বিরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ সমগ্ৰ ভাষ্যটি যে দর্শনের পক্ষে বলছে ; ইউক্লিডের নাম থাকা একমাত্র অনুচ্ছেদটি সেই দর্শনের বিপক্ষে বলছে–তাহলে , ভাষ্যটির এই একটিমাত্র অনুচ্ছেদকে প্রক্ষিপ্ত বলা যাবে না কেনো ?

Proclus এর এই ভাষ্যটিতে বলা হয় যে এর আগের ৮০০ বছরে কোনো ঐতিহাসিক কোথাও ইউক্লিডের উল্লেখ করেন নি।
এছাড়াও Proclus(৪১২-৪৮৫ খ্রীঃ) এর পান্ডুলিপি টি কাগজে লেখা অর্থাৎ পান্ডুলিপির সময়কাল ত্রয়োদশ শতাব্দীর পরে যখন ইউরোপে কাগজ সহজলভ্য হতে শুরু করে অর্থাৎ প্রোক্লুস এর থেকে ৮০০ বছর পরে। অর্থাৎ একটি‌ ভাষ্য তার ৮০০ বছর আগের এক ব্যক্তির উল্লেখ করছে যার কথা এই মধ্যবর্তী সময়ে কেউ উল্লেখ করে নি এবং ভাষ্যের পান্ডুলিপি টি ভাষ্যকারের সময় থেকে ৮০০ বছর পরের।আর এই পান্ডুলিপি কে ইউক্লিড এর ঐতিহাসিকতার স্বপক্ষে এক বৈজ্ঞানিক প্রমাণ হিসেবে মেনে নিতে হবে — ইউরোপের ক্ষেত্রে ‘বৈজ্ঞানিক প্রমাণ’ এর মান এতো শিথিল হয়ে যায় কেনো এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক নয় কি ?
অনেক সময় ইউক্লিডের স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে বলা হয় আর্কিমিডিস এর ‘Sphere & Cylinder’ বই তে ইউক্লিডের উল্লেখ আছে কিন্তু আর্কিমিডিসের সেই পান্ডুলিপিটিও তার সময়ের থেকে ১৮০০ বছর পরের।
এখানে অনেকের মনে হতে পারে যে ইউক্লিডের ঐতিহাসিক সত্যতা নিয়ে এতো মাথা ঘামানোর প্রয়োজন কি , আসল তো ‘Elements’ আর তার ভেতরের জ্যামিতির জ্ঞান । ইউক্লিড ছাড়া অন্য কেউ Elements এর লেখক হলে তো আর জ্যামিতি পাল্টে যাচ্ছে না।
Euclid এর যদি ঐতিহাসিক সত্যতা না থাকে , তাহলে ‘Elements’ কে গ্ৰীসের অবদান বলা যাবে না এবং Elements এর উৎস আলেকজান্ডার -পূর্ববর্তী মিশরে খোঁজা যথেষ্ট যুক্তিপূর্ণ।

শুধু ইউক্লিড নয় , বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের বিভিন্ন আবিষ্কারের সঙ্গে এরকম অনেক গল্প পরিকল্পনামাফিক সৃষ্টি করা হয়েছে শুধু জাতি হিসেবে গ্ৰীকদের উৎকৃষ্ট প্রমাণ করতে এবং বিজ্ঞানকে গ্ৰীকদের দ্বারা সৃষ্ট প্রমাণ করতে।
এই গল্পগুলোর পেছনে খ্রীষ্টিয় ইউরোপের কি স্বার্থ ছিল তা আগেই বলা হয়েছে। আক্ষেপের বিষয় এই যে , বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে ঐতিহাসিক তথ্য আমাদের সামনে তুলে ধরা হয় তার বৈজ্ঞানিক সত্যতা নিয়ে আমরা প্রশ্ন করি না।
আমরা একবারও প্রশ্ন করি না শুল্ভসূত্রের রচয়িতা বৌদ্ধায়ন থাকতে ‘Father of geometry’ ইউক্লিডের মতো এক কাল্পনিক চরিত্রকে কেনো বলা হবে ?

চিন্তার এই দৈন্যতা কে ঘুচিয়ে আমাদের নিজেদের বিজ্ঞান , নিজস্ব পদ্ধতিকে জানতে হবে এবং তার যুগানুকূল প্রয়োগ করতে হবে। এখন সময় এসেছে শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধীন হবার কিন্তু তার আগে প্রয়োজন শিক্ষাক্ষেত্রে নিজেদের পরাধীনতা কে উপলব্ধি করা।

গ্ৰীক ঐতিহাসিক হেরোডেটাসের মতে ; গ্ৰীকরা মিশরীয়দের দেবতা , উপাসনা-পদ্ধতি নকল করেছিলো।আজ বিশ্ব বৌদ্ধিক ক্ষেত্রে যে সমস্ত গ্ৰীক দার্শনিকদের সাথে পরিচিত যেমন পিথাগোরাস , প্লেটো এমনকি হেরোডেটাসের শিক্ষার উদ্দেশ্যে মিশরে যাত্রার কথা শোনা যায়।যখন বিশ্ব ইতিহাসে গ্ৰীক সভ্যতার উদয় হয় নি তার আগে প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা সমৃদ্ধশালী হাজার বছর পার করে গেছে।তাই মিশর থেকে গ্ৰীসে জ্ঞানের প্রবাহ স্বাভাবিক বলেই মনে হয়।

Elements এর মোট ১৩ টি খন্ড।প্রথম থেকে ষষ্ঠ খন্ডে সমতালিক জ্যামিতি ; সপ্তম থেকে নবম খন্ডে সংখ্যাতত্ত্ব , গুনোত্তর প্রগতি ; দশম খন্ডে অমূলদ সংখ্যা ; একাদশ থেকে ত্রয়োদশ খন্ডে ত্রিমাত্রিক জ্যামিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
অঙ্কের বিভিন্ন বিষয় একজন ব্যক্তির পক্ষে এতো দক্ষতার সঙ্গে আলোচনা করা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।
আমরা জানি , বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন তত্ত্বের আবিষ্কার হয় পরে তার ত্রুটি গুলো অন্য একটি তত্ত্ব দ্বারা সংশোধিত হয় ।যেমন নিউটনের গতিসূত্র গুলো খুব বেশি ভর ও উচ্চগতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।এই সমস্যা দূর করতে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদ এলো।
ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে আমরা দেখি আর্যভট্ট পঞ্চম শতাব্দীতে ‘আর্যভটীয়া’ তে গণিতের বিভিন্ন বিষয় ও গণনা উপস্থাপন করেন। পরবর্তীকালে ষষ্ঠ শতাব্দীতে বরাহমিহির ও ব্রক্ষ্মগুপ্ত ‘আর্যভটীয়া’র বেশ কিছু অংশের সংশোধন করেন। এইভাবেই ভারতীয় গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান সপ্তম শতাব্দীতে ভাস্কর এবং ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে নীলকন্ঠের ভাষ্যের মাধ্যমে এগিয়ে যায়।

গণিত ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কারের এক নিজস্ব ইতিহাস থাকে।কিন্তু ‘Elements’ এ আলোচিত বিভিন্ন তত্ত্বের কোনো পূর্ব ইতিহাস জানা যায় না। ইউক্লিড নামের কোনো ম্যাথামেটিশিয়ান যদি পূর্বের জ্ঞান কে পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করে থাকেন , তারও
এক স্বতন্ত্র ইতিহাস থাকা বাঞ্ছনীয় নয় কি ?
গ্ৰীকদের বিজ্ঞানে অবদানের প্রমাণ হিসেবে যে সমস্ত পান্ডুলিপি কে দেখানো হয় তার বেশিরভাগই দ্বাদশ শতাব্দীর পরের।
ইউরোপ ‘Elements’ এর যে ল্যাটিন অনুবাদ পায় তা আরবী থেকে করা। ইউরোপীয় ঐতিহাসিকদের কথামতো এই বইটিকে দশম শতাব্দীর বলে মেনে নিলেও তা ইউক্লিডের কল্পিত সময়ের (৩২৫ খ্রীঃ পূঃ) থেকে ১০০০ বছরেরও পরের।এই হাজার বছরে ইউরোপ রক্তক্ষয়ী সংগ্ৰাম দেখেছে , উপাসনার নামে উন্মাদনা দেখেছে ; পার্সিয়া থেকে প্রচুর অনুদিত বই আলেকজান্দ্রিয়াতে আনা হয়েছে পরে ব্যাত-আল-হাকিমা এবং আরো পরে টলেডো লাইব্রেরীতে প্রচুর বইয়ের ভাষান্তর হয়েছে , আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরী ধ্বংস হয়েছে কিন্তু অপরিবর্তিত থেকেছে ইউক্লিডের ‘Elements’ —- ইউরোপের এই দাবি কতটা যুক্তিসঙ্গত তার বিশ্লেষণ হওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।কারণ বিজ্ঞানের ইতিহাসকেও , বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ছাড়া মান্যতা দেওয়া বিজ্ঞানের প্রতি সবচেয়ে বড় অন্যায় এবং বিজ্ঞান ও ইতিহাসের সম্পর্ক দুর্বল হলে ‘ইতিহাস’কে অন্য নামে ডাকতে হয়—‘কল্পকাহিনী’।
আর প্রত্যেক ‘কল্পকাহিনী’ , তার কাহিনীকারের স্বার্থ অনুযায়ী দিক পরিবর্তন করে।

(চলবে)

(তথ্যসূত্র আগামী পর্বে দেওয়া হবে)

পিন্টু সান্যাল(Pintu Sanyal)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.