গণেশ রাজার ব্রত – পর্ব এক

পর্ব এক

প্রাচীন বৈরাট, এখন নাম বৈরাহাট্টা । বৈরাটের পূর্বাংশ #ভীম_জীকা_গাম্ বা ভীমের গ্রাম নামে অভিহিত হয়। এরই অদূরে #গণেশ রাজার ব্রত নামে একটি শৈল দৃষ্ট হয়। এর চূড়ায় অধিবাসীগণ ভীমপদ দেখে থাকেন। 

বৈরাট হতে ৩২ মাইল পূর্বে এবং মথুরা হতে প্রায় ৬৩ মাইল পশ্চিমে মাচারি বা মাচাড়ি নামে একটি প্রাচীন গ্রাম দৃষ্ট হয়। অনেকের অনুমান যে, #মৎস্যদেশই অপভ্রংশে #মাচারি নামে সুপরিচিত হয়েছে। এখানেও বহুতর প্রাচীন কীর্তির নিদর্শন বিদ্যমান। মাচারি হতে হতে বৈরাটে যাবার পথে পড়ে কুশলগড় নামে এক জনপদ। মহাভারতে মৎস্যের পার্শ্বেই #কুশল্য নামে এক জনপদের উল্লেখ আছে। কুশল্য ও কুশলগড় নামের সঙ্গে ঠিক কি সম্পর্ক আছে ? আছে বোধয়…পৌরাণিক হয়ে লৌকিক…কুশল্য হয়েছে কুশলগড়। 

চৈনিক পরিব্রাজক হিউ- ইয়েন-সিয়াং খ্রিষ্টীয় ৭ম শতাব্দীতে এস্থানে এসেছিলেন। তিনি যে পো-লি-য়ে-তো-লো বা পরিযাত্র নামক জনপদের উল্লেখ করেছিলেন। একেই প্রাচীন বিরাট বা মৎস্য বলে স্থির করেছেন। চৈনিক পরিব্রাজকের সময়কালে বৈরাট এক বৈশ্যরাজার অধীনে ছিল। এই স্থলের মানুষের বীরত্ব এবং রণনৈপুণ্যর পরিচয় চৈনিক পরিব্রাজক ঘোষণা করে গিয়েছেন। 

মনুতেও আছে – 

কুরুক্ষেত্রাং মৎস্যাংশ্চ পাঞ্চালন্ শূরসেনজান্।

দীর্ঘান্ লঘুংশ্চৈব নরানগ্রানীকেষু বোধয়েৎ।। (মনু ৭/১৯০)

অর্থাৎ , কুরুক্ষেত্র মৎস্যাদি দেশের লোকেরাই রণক্ষেত্রে অগ্রগামী হয়ে যুদ্ধ করতেন। 

চৈনিক পরিব্রাজকের আগমণ কালে এস্থানে হাজার ঘর ব্রাহ্মণ এবং ১২ টি দেব মন্দির ছিল। এ ছাড়া ৮ টি বৌদ্ধ সংঘারাম ও প্রায় ৬ হাজার বৌদ্ধমার্গীয় গৃহস্থের বসবাস ছিল। কানিংহাম্ অনুমান করেছেন যে চৈনিক পরিব্রাজকের সময় এখানে প্রায় ৩০ হাজার লোকের বাস ছিল। 

১০০০ খ্রিস্টাব্দে গজনীর সুলতান মামুদ বৈরাট আক্রমণ করে। সেসময় বৈরাটবাসী অসম্ভব রণনৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। তথাপি লুন্ঠন এবং দস্যুবৃত্তি , অত্যাচার ব্যাপকভাবে হয়েছিল। পুনরায় ১০১৪ খ্রিস্টাব্দে পুনরায় মামুদ বৈরাট আক্রমণ করে। পুনশ্চ সনাতনীদের সঙ্গে ঘোরতর যুদ্ধ হয়। বীরের ন্যায় সকলে মৃত্যুকে বরণ করলেন। যাঁরা জীবিত থাকলেন তাঁরাও মাটি কামড়ে রইলেন। নগর বিধস্ত হলেও গ্রাম বা মফস্বল নষ্ট হয় নি। ফেরিস্তার রচনায় জানা যায় ,  ১০২২ খ্রিস্টাব্দে কৈরাট বা বৈরাট ও #নারদিন্ বা নারায়ণ নামক পার্বত্য গ্রামবাসী জনসাধারণ মূর্তি পূজায় নিরত শুনে তাদের শাসন এবং নওমরু সাম্রাজ্যবাদী ধর্মে দীক্ষিত করবার নিমিত্ত সেনানী আমীর আলীর আগমন ঘটে। তথায় গ্রামবাসী অত্যাচার এবং মৃত্যুর বরণ করলেও মরুধর্মকে স্বীকার করেন নি। ফলত, ক্রোধে আমীর আলী সকল কিছু লুন্ঠন করে।  ওই সময়  আমীর আলী একটি নারায়ণ মন্দির খোদিতলিপি প্রাপ্ত হয়। ফেরিস্তার রচনায় জানা যায়, ওই লিপিতে লেখা ছিল যে নারায়ণের মন্দিরটি ৪০০০০ (?) বিতর্কে ৪০০০ বৎসর পূর্বে নির্মিত হয়েছিল। 

ওই সময়ের সমকালীন ঐতিহাসিক ওটবিও তাঁর রচনায় উক্ত খোদিতলিপির কথা উল্লেখ করেছিলেন। সেই প্রাচীন খোদিত লিপি সম্রাট প্রিয়দর্শীর অনুশাসন বলে প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে সেই অনুশাসনফলক কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির নিকট সংরক্ষিত আছে। উক্ত লিপি হতে জানা যায় যে , সম্রাট প্রিয়দর্শীর সময়কালেও বৈরাট নগর বা জনপদ অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী ছিল। 

মহাভারতে কারুষের পর এক মৎস্যদেশের নামোল্লেখ হয়েছে। বঙ্গালদেশের অন্তর্গত সাহাবাদই পূর্বে কারুষ নামে খ্যাত ছিল। সুতরাং মহাভারতের উল্লিখিত ২ য় মৎস্যদেশও বঙ্গের মধ্যেই অবস্থান করছে। 

শ্রী কালীকমল শর্ম্মা বিরচিত ” বগুড়ার ইতিহাস বৃত্তান্ত ” নামক এক ক্ষুদ্র পুস্তিকার চতুর্থ অধ্যায় ২ য় মৎস্য দেশের বৃত্তান্ত নিম্নরূপ লিখিত হয়েছে – 

” মৎস্য দেশের নামের পরিবর্তন হয়ে এইক্ষণ এই স্থানে জেলা সংস্থাপি হয়েছে। উত্তর সীমা রঙ্গপুর জেলা , দক্ষিণ পূর্বসীমা বগুড়া জেলা এবং দক্ষিণ পশ্চিম সীমা দিনাজপুর জেলা। বগুড়া হইতে ১৮ ক্রোশ অন্তর ঘোড়াঘাট থানার দক্ষিণ ৩ ক্রোশ দূরে ৫/৬ বিস্তীর্ণ অতি প্রাচীন অরণ্যানির মধ্যে বিরাট রাজার রাজধানী ছিল। তৎপর বিরাটের পুত্র ও পৌত্রগণ ঐস্থানে রাজ্য করিলে পর কলির ১১৫৩ অব্দ গতে পুনরায় যে মহাজলপ্লাবন হয়, তাহাতে বিরাটের বংশ ও কীর্তি একেবারেই ধ্বংস হইয়া যাওয়ার পর ক্রমে ক্রমে ঐস্থান মহারণ্য হইয়া উঠিল। কেবল অতি উচ্চ মৃন্ময় দুর্গের জীর্ণ কলেবর অদ্যাপি ছিন্ন ভিন্ন হইয়া আছে।”

অনেক স্থানীয় বাসিন্দা মৃত্তিকা খনন করে গৃহসামগ্রী ও স্বর্ণরজতাদি প্রাপ্ত হয়েছেন একসময়। কীচক এবং ভীমের লড়াই কীর্তির স্থান ঐস্থানের অনতিদূরেই অবস্থান করছে। তাছাড়াও তাবৎ ব্যক্তিগণ এই স্থানকেই বিরাট রাজধানী বলে আসছেন, মৎস্যদেশ যখন বিরাট রাজার রাজ্যছিল এবং অখন্ড ভারতবর্ষে যখন এই স্থান ব্যতীত অন্যত্রকে বিরাট রাজ্য বলে না ,তখন এই স্থানকেই সেই শস্য শ্যামলা এবং গোসম্পদে পরিপূর্ন বিরাট বা বৈরাট রাজ্য ব্যতীত অন্য কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

কেবলমাত্র বিরাট রাজ্যই কেন ? উত্তরবঙ্গের বৈরাট, করঞ্জী, ধাওয়াইল , যাত্রাডাঙ্গি এসব স্থানে তো কংসও রাজত্ব করে গেছেন। বর্তমানে এটি দিনাজপুর , মালদহ এবং অধুনা বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিধানবিভক্ত হয়ে পড়েছে। এমনকি দিনাজপুর ও মালদহের দুটি গ্রামে কংস বধের ব্রতও পালন করা হয় । লৌকিকভাবে প্রচলিত আছে করঞ্জী এবং ধাওয়াইল গ্রামে শ্রীকৃষ্ণের মুষ্টির আঘাতে কংসের দেহ ত্রিখন্ড হয়ে তিন স্থানা গিয়ে পড়ে। উক্ত গ্রামদুটি লোকমুখে সেই স্মৃতি বহন করে চলেছে। ধাওয়াইল গ্রামে একটি ছড়া খুবই পরিচিত আছে – 

মুন্ডখান পড়িল্ করঞ্জী

ধড়খান পড়িল্ ধাওয়াইল

আর পাওখান পড়িল যাত্রাডাঙ্গি।।

বঙ্গে যে ব্রতগুলির চল আছে তা সবই মেয়েদের ব্রতকথা। কিন্তু ছেলেরাও তো ব্রত পালন করেন। হ্যাঁ, এইখানেই…উত্তরবঙ্গে। সেখানে মেয়েদের কোনো স্থান নেই। সেই ব্রতের নাম কাষ-ব বা কাস-ব ব্রত।

এই ব্রতের প্রধান ব্রতীগণ অধিকাংশই #তাঁতি_গণেশ সম্প্রদায় ভুক্ত। অথচ তবে এটি লৌকিক ব্রত। পূর্ণিয়া, পশ্চিম দিনাজপুর এবং নেপালের গনেশ সম্প্রদায় এই ব্রতের নাম জানেন না। 

গনেশ সম্প্রদায় নিয়ে হ্যামিল্টন বুকানন বলেছেন – 

Canes , potmakers. Although on the authority of the Pandit  I have places among the tribes of Bengal. I am extremely doubtful concerning his accuracy. This tribe is contined to the northern parts of Dinajpoor , and the adjacent parts of this district which were not included in the Hindu Kingdom of Bengal , and I am apt to suspect that they are of original tribes of Matsya Des. They may be about 50 houses.

Eastern India ( Martin) Rangpoor , page 531.

বর্তমানে এই ব্রত সারা উত্তরবঙ্গে মাত্র দুইটি গ্রামে প্রচলিত আছে।  একটি গ্রামের নাম করঞ্জী এবং অপরটির নাম ধাওয়াইল। গ্রাম দুটি যথাক্রমে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমান্ডী থানা ও মালদহের গাজোল থানার অন্তর্ভুক্ত। তবে জনশ্রুতিতে অনুমিত হয় যাত্রাডাঙ্গি নামক গ্রামেও এই ব্রত একসময় পালন করা হতো। সেখানে পালেদের বাস ছিল। যাত্রাডাঙ্গি মালদহ জেলার পুরনো মালদহ থানার অন্তর্গত। এখন সেখানে পাল কেন , কোনো সনাতনী পরিবারেরই বাস নেই। অজানা কোনো এক মরু সম্প্রদায়প্রীত প্রধান হয়েছে সেস্থান। এরচেয়ে অধিক তথ্য প্রাপ্ত হয় না। সুতরাং , এই প্রবন্ধ আলোচনায় যাত্রাডাঙ্গির প্রসঙ্গ কেবলমাত্র জনশ্রুতি নির্ভর হয়ে গেছে এবং সনাতনী ইতিহাস কোনো এক গভীর অতল গহ্বরে হারিয়ে গেছে। 

কিন্তু , করঞ্জী ও ধাওয়াইল গ্রামের অনুষ্ঠানাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বেশ কিছু গ্রন্থে প্রাপ্ত হয় ,তাছাড়া সেসব সেখানে এখনও পালিত হয়। এই ব্রত অনুষ্ঠানের তিথি প্রতি বৎসর মাঘ মাসে শুক্লা ত্রয়োদশী থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত। এই কদিন গ্রামে আমিষ নিষিদ্ধ। ব্রতীগণ থাকেন উপবাসী। করঞ্জী গ্রামে বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে ভক্তিয়ার দুজন এই কদিন একবিন্দু জলপানের অধিকারী নন। শুধু তাই নয় , ওই সময় তাদের বাহ্য ত্যাগও নিষিদ্ধ  থাকে। 

করঞ্জী ও ধাওয়াইল – এই দুই গ্রামেই উক্ত আলোচ্য ব্রত সম্পর্কে নানা কিংবদন্তী প্রচলিত আছে। গ্রামবাসীর নিকট এই ব্রতের নাম #কংস_ব্রত বা কংস বধের ব্রত।করঞ্জী এবং ধাওয়াইল গ্রামে শ্রীকৃষ্ণের মুষ্টির আঘাতে কংসের দেহ ত্রিখন্ড হয়ে তিন স্থানে গিয়ে পড়ে – করঞ্জী , ধাওয়াইল এবং যাত্রাডাঙ্গি। সেই সব নিয়ে লোকমুখের ছড়ার কথাও আমি পূর্বে উল্লেখ করেছি। এই ব্রত কর্ষব্রত বা কৃষি উৎসবের একটি রূপ বিশেষ। সাধারণ গ্রামবাসীর মুখে অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই কংস বধ বা কৃষি উৎসব কাস – ব বা কাষ – ব ―এ পরিণত হয়েছে। 

কর্ষণ > কষণ > কন- স , কংস > কাস বা কাষ 

শ্রী কৃষ্ণয় অত্যাচারী এবং শিশু হত্যাকারী কংসকে বধ করে মথুরায় নতুন প্রভাত এনেছিলেন। এই ব্রতও অশুভকে নাশ করে , সকল বিপদ কাটিয়ে জমিকে কর্ষণ করে নতুন ফসল উৎপাদন করে উৎসব করার , ঈশ্বরকে ধন্যবাদ প্রদানের ব্রত।

তবে , উত্তর দিনাজপুরের বাঘন গ্রাম নিবাসী সর্বোদয় ব্রতী শ্রী পবিত্র দে এই ব্রতকে বাঙ্গালার ইতিহাসের বিশিষ্ট হিন্দু রাজা গণেশের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। বিষেশতঃ তাঁতি গণেশ , কংস ব্রত ,  মাত্র তিন গ্রামে ( বর্তমানে ২ টি) এই ব্রত উদযাপনের রহস্য কি ?

করঞ্জী গ্রামের স্থান হিসাবে এর প্রাচীনতা সন্দেহাতীত । অধ্যাপক সরসীকুমার সরস্বতী , এইচ  ই স্টেপেলটনের প্রতিবেদনেও তা উল্লিখিত হয়েছে। এই গ্রামের পূর্ব দিকে মাইল দেড়েক দূর দিয়ে বয়ে গেছে টাঙ্গন নদী এবং উত্তর পশ্চিম দিকে মাইল দুয়েক দূরে ক্ষীণস্রোতা শ্রীমতী নদী প্রবাহিত। লৌকিক উচ্চারণে এই নদী  ছিরামতী নামে অভিহিত হয়। একদা এখানে কোনো রাজপ্রাসাদ ছিল , তার কিয়দ্ নিদর্শন এখনো রয়েছে। এই প্রাসাদকে বেষ্টন করে নির্মিত হয়েছিল কোনো পরিখা ,তাও কিছু চেষ্টা করলে বোঝা যায়। 

করঞ্জী গাঁয়ের একটি বিশেষ পাড়া পাড় হয়ে নীচু জমিতে নেমে সোজা উত্তরমুখে গেলে একটি উচ্চ ঢিপি নজরে আসে। এর নাম #ভীম_দেউল_ঢিপি। ভীমদেউলের মাথায় একটি উচ্চ বড় আকারের পাথর প্রোথিত আছে। অনুমান এটি কোনো খিলানের ধ্বংসাবশেষ। এখান থেকে আরো দুটি ঢিপি দেখা যায়। একটির নাম কিচিন , অন্যটির নাম রাস। 

ভীম দেউলের নীচেই ব্রতের আহুতি জাগানোর বা যজ্ঞস্থল। তারই কয়েক হাত দূরে একটি সুউচ্চ তেঁতুল গাছ। লোক বিশ্বাস যদি মাঘী পূর্ণিমার দিন যজ্ঞের আগুন যদি তেঁতুল গাছ ছাড়িয়ে যায় , তবে বুঝতে হয় দুর্দিনের শেষ এবং সুদিন আসছে।

ঢিপিগুলির মাঝে দেখা যায় ছোট ছোট প্রাচীন ইঁট দিয়ে নির্মিত কূপ। বর্তমানে এটি একটি কূপের চিন্হ মাত্র। এই কূপের সিকি মাইলের মধ্যে একটি পাড়া দেখা যায়।  তার নাম গণেশ পাড়া। এই গনেশ পাড়ার পশ্চিমে একটি প্রায় ভগ্নস্তূপে পরিণত জঙ্গলাকীর্ণ মন্দিরটির নাম ছাচিকা থান। এটি প্রাচীন ইঁট ও পাথর দিয়ে নির্মিত। দৈর্ঘ্যে এবং প্রস্থে প্রায় ১৪ হাত এবং উচ্চতায় ১৫ হাত। দেখলেই অনুভূত হয় মন্দিরের অনেকখানি অংশ মাটিতে বসে গেছে।  দক্ষিণমুখী মন্দিরটির একটি মাত্র দরজা। জনশ্রুতি আছে , এই মন্দিরের সুমুখের বারান্দায় অনেকগুলি দেবদেবীর মূর্তি ছিল। দুইটি বিষ্ণু মূর্তি – একটি চতুর্ভুজ , অন্যটি দ্বিভুজ যার ডানদিকে লক্ষ্মী এবং বাম দিকে সরস্বতী শোভা পেত , পার্শ্বে ছিল পাথরের গৌরী-পট্টহীন শিবলিঙ্গ। মন্দিরের মধ্যে ছিল ছাচিকা মাতার মূর্তি এবং তাঁর পার্শ্বে বিষ্ণুমূর্তি। এ ব্যতীত চতুর্ভুজ শিব মূর্তি সহ আরো কিছু দেব মূর্তি ছিল।

ক্রমশঃ

©দুর্গেশনন্দিনী

তথ্যঃ ১. উত্তর গ্রামচরিত

২. পশ্চিমবঙ্গের পূজা-পার্বণ ও মেলা -১ ম খণ্ড

৩. মধুপর্নী শারদীয়া

৪. বিরাট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.