হ্যাঁ,ঠিকই দেখেছেন ছবি গুলো বাংলাদেশের বৃহত্তর তীর্থস্থান সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির তথা পাহাড়ের” চন্দ্রনাথ পাহাড়ের এমন ছবি আগে হয়তো দেখেননি কেউ। কিন্তু এটাই চন্দ্রনাথের বর্তমান পরিস্থিতি।সীতাকুন্ড মূলত এশিয়ার প্রাচীনতম তীর্থক্ষেত্র বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ তীর্থক্ষেত্র কিন্তু বর্তমানে চন্দ্রনাথ অঘোষিত পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে যত অনিয়ম,দূনীতি….

মন্দিরগুলোতে যেকেউ ঢুকে পড়ছে জুতা পায়ে,হচ্ছে যত অশ্রদ্ধা। বিরুপাক্ষ মন্দিরের দেওয়ালে স্পষ্ট ভাবে লিখা জুতা নিয়ে উঠবেন না।পবিত্রতা বজায় রাখুন। টুরিস্ট নামক কিছু অমানুষ মন্দিরে জুতা নিয়ে উঠে ছবি তুলেন,মন্দিরের পিছনে জামা কাপড় বদলান তাও, সিগারেট খাই মন্দিরে, পুজা চলাকালীন মন্দিরে গান-বাজনা নানা অশ্লীল/অনৈতিক কার্যকলাপ প্রতিদিন ঘটে চলেছে।কতৃপক্ষ চুপ!!

মন্দিরের হাজর হাজার একর জায়গা সম্পূর্ণ বেদখলের।কতৃপক্ষ চুপ!!স্বয়ং ব্যাসদেবের ঐশ্বরিক শক্তিতে সৃষ্টি ব্যসকুন্ড যেন এখন পার্কে পরিণত হয়েছে।

প্রকৃতি প্রেমীরা আসে/ছবি তোলে আর পাহাড়ে প্লাস্টিক-পলিথিন ফেলে যায়। এসব নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নাই।উন্নয়ন তো দূরের কথা এইসব অসঙ্গতি রুখতে দায়িত্বরত কতৃপক্ষের কোনো ভূমিকা সীতাকুন্ডের মানুষ কখনো দেখেনি।
তাই এই প্রচীনমত ও বৃহত্তর তীর্থক্ষেত্র ধ্বংস হওয়ার আগে সকল সনাতনীর দায়িত্ব এবং কর্তব্য এই তীর্থক্ষেত্র রক্ষা করা। দায়িত্বরত কতৃপক্ষের আশা বাদ দিয়ে সীতাকুন্ডের স্থানীয় কিছু যুবক শেকড়ের টানে সম্পূর্ণ ব্যাক্তি উদ্দ্যেগে এই ধাম পরিচ্ছন্নতা রক্ষার উদ্বেগ নিয়েছে।

স্থানীয় ৭/৮ জন যুবক বিরূপাক্ষ,চন্দ্রনাথ পরিষ্কার ও মানুষদের সচেতন করতে প্রতিসপ্তাহের উঠে যায় চন্দ্রনাথে। কিন্তু এত বিশাল কার্য করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
