পায়ে চোটের রাজনীতি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরোক্ষ হার স্বীকার?

নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট লাগার ঘটনাটি আপাতদৃষ্টিতে একটি ছোট ঘটনা হলেও এটি হয়ত একটি ট্রায়াল। কিসের ট্রায়াল তা ক্রমশঃ বলব। অনেকে বলেছেন নন্দীগ্রামের ঘটনার চিত্রনাট্য প্রশান্ত কিশোরের লেখা। কিন্তু আদতে এ ঘটনা হয়ত কোনো পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা নয়। চিত্রনাট্য প্রশান্ত কিশোর লিখলে এত খুঁত রাখতেন কি না সন্দেহ। বরং আচমকা কোনোভাবে পায়ে ব্যথা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটিকে একটি ‘চক্রান্ত’ বলে চালিয়ে দেওয়ার আইডিয়াটি তৎক্ষণাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের মাথায়ই এসে থাকলে সেইটি অধিক স্বাভাবিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাঁরা নব্বইয়ের দশক থেকে দেখছেন, তাঁরা জানেন এইটি ওঁর রাজনীতির সিগনেচার স্টাইল। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে যে শব্দগুলি এযাবৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে সর্বাধিক সংখ্যকবার উচ্চারিত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল ‘চক্রান্ত’। তাঁর প্রতিপক্ষ সর্বদা তাঁর বিরুদ্ধে কোনো না কোনো ‘চক্রান্তে’ লিপ্ত, এমন অভিযোগ করে নেতিবাচক প্রচারের আলোয় থাকতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভ্যস্ত। এই চক্রান্তের অভিযোগকে আরও খানিক বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে তৃণমূলের তরফ থেকে ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলী ঘোষদস্তিদাররা মিডিয়ার সামনে দাবী করেছেন যে এমন কিছু যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হতে পারে সে আভাস নাকি দিয়ে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদীই। অতএব এটি ‘চক্রান্ত’ বৈ আর কি? বলা বাহুল্য তৃণমূলের ইঙ্গিত মোদী’জী’র রসিকতাটি’র দিকে।— ‘মমতা’জী কি স্কুটি নন্দীগ্রাম মে জা কর গিরেগি’র মত রসিকতা তৃণমূলের পছন্দ হয় নি। না হওয়া স্বাভাবিক কারণ ২০১৪ থেকে আজ পর্যন্ত এমন বক্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অগুনতি বার রেখেছেন যাতে মনে হয়েছে তিনি ব্যক্তিগতভাবে নরেন্দ্র মোদীকে ঈর্ষা করেন। ‘আমি ওর থেকে কম কিসে’ জাতীয় মেয়েলি ঈর্ষা। ফলে মোদীজীর এমন রসিকতা যে ঈর্ষাকাতর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধবে, তা আশ্চর্যজনক নয়। তাই নন্দীগ্রামে আচমকা চোট পেয়ে যাওয়ার পর ঘটনাটিকে সেই রসিকতাজনিত গাত্রদাহ প্রশমণের একটা ‘পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা’ সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে চাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সুলভ একটি রাজনৈতিক চাল হতে পারে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আক্রমণের পূর্বাভাস হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর রসিকতাকে যদি কাঠগড়ায় তুলতে হয়, তাহলে অনুরূপ একটি পূর্বাভাস এসেছিল গত বৎসর ১২ই ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। ২০২০ সালের ১০ই ডিসেম্বর ডায়মণ্ডহারবারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রী জে পি নড্ডার মিছিলে পাথরবাজি-হামলা হওয়ার দু’দিন পর, ১২ই ডিসেম্বর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার একটি রাস্তা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন যে নির্বাচনে জিততে না পারলে বিজেপি হয়ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হত্যার চেষ্টাও করতে পারে। সে অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন যে নড্ডার মিছিলে হামলা ‘আদতে বিজেপিরই কারসাজি’। পোড়খাওয়া রাজনীতিক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্য ছিল অস্বস্তিকর। প্রশ্ন জেগেছিল— তবে কি অদূর ভবিষ্যতে রাজ্য-রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর প্রাণঘাতী হামলার কোনো ঘটনা ঘটতে চলেছে? বিজেপির মত সর্বভারতীয় এক প্রতিপক্ষের ছায়া রাজ্যে দীর্ঘ থেকে ক্রমশঃ দীর্ঘতর হওয়ায় সহানুভূতি আদায়ের উদ্দেশ্যে এমন কোনো নাটক কি তবে মঞ্চস্থ হতে চলেছে? ২০২০ সালের ১২ই ডিসেম্বরের পর গত ৭ই মার্চ মোদী এলেন ব্রিগেডে। সেইখানে তাঁর রসিকতাটির তেরাত্তির পেরোনোর ঠিক পর পরই পায়ে চোট পেলেন মমতা। মোদী’র রসিকতা যদি পায়ে চোট লাগার পূর্বাভাস হয়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য কি তবে প্রকৃতই প্রাণঘাতী হামলার পূর্বাভাস? জে পি নড্ডার মিছিলে পাথরবাজি-হামলা যদি “বিজেপির কারসাজি” হয়, নন্দীগ্রামের ঘটনা তবে “তৃণমূলের কারসাজি” কেন হতে পারবে না, এ প্রশ্ন ওঠা সঙ্গত। নরেন্দ্র মোদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী পক্ষ বলে তাঁর সামান্য রসিকতাও “হামলার পূর্বাভাস” আর সুব্রত মুখোপাধ্যায় আপাততঃ দলীয় মন্ত্রী বলে তাঁর প্রকাশ্য মন্তব্যকে সম্পূর্ণ নির্বিষ বলে বিবেচনা করলে “এক যাত্রায় পৃথক ফল” হয় কিনা তা-ও বিবেচ‌্য। অমন মন্তব্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের কোনো সূক্ষ্ম ইঙ্গিত সুব্রতবাবু আগাম দিয়ে রাখলেন কি না সে সন্দেহ না করলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অবিচার করা হয়।

বাস্তবটি হয়ত অসামান্য কিছু নয়, বরং নিতান্তই ‘মমতা সুলভ’ রাজনীতি। আচমকা চোট পাওয়ার পর, যে মুহূর্তে মানুষজন তাঁকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন, সেই মুহূর্তে ঘটনাটি থেকে কিছু অতিরিক্ত রাজনৈতিক ফায়দা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা বিদ্যুতগতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় খেলে গিয়ে থাকলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি চিরকাল এই ছকে এগিয়েছে। বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও অজস্র বার এমন ঘটনা ঘটেছে যে ঘটনাগুলিকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। বস্তুতঃ এমত অতিরঞ্জন-কৌশলটিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির অন্যতম কোর ভ্যালু। চোট পাওয়ার পর কিঞ্চিৎ সামলে নিয়েই মমতা বয়ান দিলেন যে চার পাঁচজন লোক মিলে তাঁকে ঠেলা দেওয়ায় তিনি পড়ে যান, চোট পান এবং এটি একটি ‘চক্রান্ত’। রাজনীতিতে এমন চাল নতুন নয়, বরং প্রায়শঃই চালা হয়ে থাকে। এককালে জ্যোতি বসুকে গুলি করে হত্যা করতে আসা আততায়ীর গুলি মাত্র চার হাত দূর থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে এবং হাত সামান্য ছ’ড়ে গিয়ে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন জ্যোতি বসু—এমন ঘটনারও সাক্ষী থেকেছে এ রাজ্য। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে সে রাজ্যের বনসকন্ঠ জেলায় রাহুল গান্ধীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় হয় গুজরাটের নির্বাচন-পূর্ব রাজনীতি। সেবার রাহুল গান্ধীও নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত সিকিউরিটি প্রোটোকল ভেঙ্গে সাধারণ একটি প্রাইভেট কারে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিজে নিজেই। তাঁর দিকে ছোঁড়া পাথর অবশ্য তাঁর গায়ে না লেগে সামান্য আহত করেছিল অশোক গেহলট’জীকে, যিনি সে যাত্রায় রাহুল গান্ধীর সঙ্গী ছিলেন। তাছাড়া বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন বহুবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় “আমাকে ওরা মেরে ফেলতে চেয়েছিল” অভিযোগ তুলেছেন, কিন্তু কোনোবার কেউ ওঁকে মেরে ফেলতে পারে নি, শুধুমাত্র মাথায় ব্যাণ্ডেজ বাঁধতে হয়েছে বার বার। এমন কৌশল ভারতের রাজনীতিতে বার বার অবলম্বন করা হয়েছে মানুষের মায়া ও সহানুভূতির ওপর ভর করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য। সে অর্থে এইসব কৌশলকে কনভেনশন বলা চলে। এমন নয় যে পাবলিক এগুলিকে নাটক বলে চিহ্নিত করতে পারেন না। কিন্তু পারলেও রাজনীতিকদের এক বড় অংশ এই ধরনের কৌশলকে উপযোগী বলে মনে করেন এবং বারংবার একই ধরনের কৌশল অবলম্বন করেন। এমন সব কৌশলের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নজিরবিহীন। অভিনব নানা কৌশলী কর্মসূচি তাঁর রাজনীতির বিশেষত্ব। নেহরুভিয়ান ঘরানার রাজনীতিকদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এই যে সাধারণ ভারতীয় মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির প্রতি তাঁদের অশ্রদ্ধার ভাবটি প্রকট। মানুষকে ‘বোকা ভাবা’ তাঁদের রাজনৈতিক চিন্তনের অঙ্গ। ফলে এমন নানাবিধ কৌশল অবলম্বনের রাজনীতির মধ্যে মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার একটি নেতিবাচক ভাবধারা যে কাজ করে, এবং ধোঁকাবাজি যে পরিত্যাজ্যই, সেইটি মমতা হয় বোঝেন না, নয়ত বুঝতে চান না। মমতাকে তার জন্য আলাদাভাবে দোষারোপ করা চলে না কারণ নেহরু-ঘরানার রাজনীতিকদের এ এক বৈশিষ্ট্য। অতএব ‘মমতাকে ভয় পেয়ে মমতার ওপর আক্রমণ শানাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল’—এমন একটি রাজনৈতিক ন্যারেটিভ বাজারে নামানোর চেষ্টা হলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই বিশেষ করে সেই ইঙ্গিত যেখানে সুব্রত মুখোপাধ্যায় মাস তিনেক আগেই দিয়ে রেখেছেন। নন্দীগ্রামের ঘটনাটি হয়ত তারই একটি ট্রায়াল।

১০ই মার্চ নন্দীগ্রামে গিয়ে জনগণের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ত লক্ষ্য করেছেন মমতা বিরোধী মানসিকতা। যে নন্দীগ্রাম-আন্দোলন মমতাকে পৌঁছে দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে, গত ১০ বছরে সেই নন্দীগ্রামের কোনো তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি হয় নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাতা বিতরণের রাজনীতি সাময়িকভাবে মানুষকে আপ্লুত করলেও দীর্ঘমেয়াদে মানুষ যে ভাতা-নির্ভর হয়ে নয় বরং মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চাইবে তা প্রত্যাশিত ছিল। মমতার ডোল-পলিটিক্স প্রত্যাশিতভাবেই নির্দিষ্ট সময় পর পৌঁছে গিয়েছে তার স্যাচুরেশন পয়েন্টে এবং সেই বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই নজর এড়ায়নি পোড়খাওয়া রাজনীতিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জনমানসে অসন্তোষের অভিব্যক্তি স্পষ্ট দেখেছেন তিনি। তাই আজও যখন ভোট চাইতে গিয়ে তাজপুর বন্দরের গল্প শোনাচ্ছেন বা বলছেন জিতলে গড়বেন ‘মডেল নন্দীগ্রাম’, তখন স্বভাবতঃই প্রশ্ন উঠছে যে এতদিন গড়েন নি কেন? উপরন্তু কৃষিসমৃদ্ধ নন্দীগ্রামের চাষীরা প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির অর্থমূল্যটুকুও পান নি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেদাজেদির রাজনীতির কারণে। এই সমস্ত বিষয়ে সম্মিলিত ক্ষোভের আঁচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশ্চিতভাবেই স্পর্শ করেছিল ১০ই মার্চ নন্দীগ্রামে তাঁর মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিন। একইসঙ্গে নার্ভাস ও অধৈর্য্য হয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? তাই চোট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাতপাঁচ না ভেবেই সেই চোটকে মরিয়া হয়ে ব্যবহার করতে চাইলেন ক্ষুব্ধ মানুষের সহানুভূতি টানতে? অর্থাৎ চোটের রাজনীতি পরোক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিক থেকে হার মেনে নেওয়া হল?

মমতার চোট পাওয়ার ঘটনার দিন তিনেক বাদে রাকেশ টিকায়েতের মত ধনী চাষীরা দিল্লির সিঙ্ঘু বর্ডার থেকে দলবল সহযোগে এসে হাজির হয়েছিলেন ভারত সরকারের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামের চাষীদের এককাট্টা করতে। কিন্তু ফিরে গিয়েছেন ব্যর্থ হয়ে। নন্দীগ্রামের সচেতন মানুষ জানেন নতুন কৃষি আইন পশ্চিমবঙ্গের চাষীদের অবস্থার উন্নতি ঘটাবে। তাঁরা এ-ও জানেন, রাকেশ টিকায়েত আর তাঁদের পরিচয় এক (চাষী) হলেও আর্থ-সামাজিকভাবে তাঁরা এক স্তরে অবস্থান করেন না। টিকায়েতদের সম্পত্তির শেষ নেই, আর তাঁদের ঘরে “নুন আনতে পান্তা ফুরোয়”। নন্দীগ্রাম তাই ফিরিয়ে দিয়েছে টিকায়েতদের। তৃণমূল নেত্রী দোলা সেনের পুষ্পস্তবক প্রৌঢ় রাকেশ টিকায়েতের মনে দোলা দিয়েছে কিনা জানা না থাকলেও, কৃষিপ্রধান নন্দীগ্রামের কৃষকদের মনে দোলা দিতে রাকেশ টিকায়েত যে ব্যর্থ হয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। সব মিলিয়ে পায়ের চোটের কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতখানি আহত, গত দশ বছরে নন্দীগ্রাম হয়ত আহত তার চেয়ে ঢের বেশি।

দেবযানী ভট্টাচার্য্য
Debjani Bhattacharyya

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.