‘আঘাত নিতে পারিনি’! ক্যামেরার সামনে কেঁদে ফেললেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়

ক্ষোভ, বেদনা নিয়েই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে হল। রাজভবনে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর এমনটাই বললেন রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।’

শুধু আবেগই নয়, ক্যামেরার সামনে রীতিমত কেঁদে ফেললেন রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী। এদিন ফেসবুকে পদত্যাগ পত্র পোস্ট করেন তিনি। পরে যান রাজভবনে। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজীব। কথায় উঠে আসে শুধুই ক্ষোভ আর কষ্ট। কার্যত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ডোমজুড়ের বিধায়ক।

তিনি বলেন, আজ নয় আসলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আড়াই বছর আগে। সেইসময় সেচ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন রাজীব। এদিন তিনি বলেন, দফতর বদল হতেই পারে, কিন্তু ন্যুনতম সম্মান আশা করেছিলাম। ক্ষোভের সুরে তিনি জানিয়েছেন, সেদিন পার্টি অফিসে বসে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে টিভিতে দফতর বদলের খবর জেনেছিলেন তিনি।

তবে একাধিক দফতরে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে দল ছাড়ার বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি তিনি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এসব বলতে বলতেই কেঁদে ফেলেন। শেষেও বলেন, আঘাত সহ্য করতে পারিনি। চোখ মুছতে মুছতেই সাংবাদিক বৈঠক ছাড়েন রাজীব।

রাজ্যের বনমন্ত্রী ছিলেন রাজীব। এদিন রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছেন, রাজ্যের মানুষকে সেবা করার জন্য আমি গর্বিত। এরকম একটা সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। পদত্যাগ গ্রহণ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

যদিও রাজীবের পদত্যাগ কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা নয়।

এদিন রাজীবের পদত্যাগের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সৌগত রায় বলেন, ‘ওনার মান ভঞ্জনের চেষ্টা হয়েছিল, মান ভঞ্জিত হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজীবকে বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু উনি বুঝতে চাননি। তাঁর দাবি, ফেসবুক লাইভে যেসব বক্তব্য রেখেছেন রাজীব, তা মন্ত্রিসভায় রাখতে পারতেন।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ না দিয়ে দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন বলেও দাবি জানিয়েছেন তিনি। সৌগত রায়ের মতে, এমন কাজের জন্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নিতে পারত। কিন্তু, তার আগেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.