“তোদের স্কুলে সরস্বতী পুজো হয় না?
অনেকবার এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে ছেলেবেলায়। তখন এক স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আর এক স্কুলে সরস্বতী পুজোর নিমন্ত্রণ করতে যেত। আমরা কোথাও যেতাম না। মেয়েরা শাড়ি পড়ত আর সপ্তম শ্রেণি ছুঁই ছুঁই ছেলেরা এদিন প্রথম মুগ্ধ হত।
কৌতুহলী বন্ধুদের জন্য আমাদের উত্তর হত সংক্ষিপ্ত –‘না। হয় না।’
তখন কি ছাই জানতাম উমা সেহানবীশ কে? কমিউনে দিন কাটানো মহিয়সী কীভাবে এক বিকল্প ধারার শিক্ষাবিদ হয়ে উঠলেন – তার বিবরণ আমি আজও স্পষ্ট জানি না। কিন্ত ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ ছাত্রদের মধ্যে গড়ে তোলার জন্য কতটা নিষ্ঠাবান থাকতে পারেন শিক্ষকরা, জেনেছি সেই স্কুলে। নাস্তিকতার প্রচার হত? একদম নয়।
আমার স্কুল, পাঠভবন আমাদের অনেকটা দূর পর্যন্ত গড়ে দিতে চেয়েছিল। গড়ে দিতে চেয়েছিল মুক্তমন।”
কথাগুলো এক নাগাড়ে বলে যাচ্ছিলেন পাঠভবনের প্রাক্তন ছাত্র চন্দন দাস, পেশায় যিনি সাংবাদিক।
শিক্ষাব্রতী ও সমাজসেবিকা উমা সেহানবীশের নেতৃত্বে, রবীন্দ্র-ভাবাদর্শে দীপ্ত এক দল শিক্ষব্রতীর উৎসাহে ষাটের দশকের শেষে গড়ে ওঠে কলকাতার পাঠভবন স্কুল। বাঙালি বামপন্থী বুদ্ধিজীবী, ইতিহাসবিদ, প্রগতি লেখক সংঘ এবং ভারতীয় গণণাট্য সংঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা চিন্মোহন সেহানবীশের সহধর্মিনী উমার এই স্কুলের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন বিখ্যাত সব ব্যক্তিত্বরা। প্রথম সভাপতি সত্যজিৎ রায়, উৎসাহদাতা মৃণাল সেন, সুব্রত মিত্র, চিন্মোহন সেহানবীশ, মীরা দত্তগুপ্ত, নিবেদিতা নাগ, গৌতম চট্টোপাধ্যায়, সুশোভন সরকার, অশোকতরু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। স্কুলে পড়িয়েছেন জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র, পার্থ বসু, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, পিনাকী মিত্র, সুতপা ভট্টাচার্য, এন বিশ্বনাথনের মতো মানুষ। ‘আমাদের পাঠভবন’ গানটি এই স্কুলের জন্য তৈরি করে দিয়েছিলেন জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র।
পাঠভবনের মন্তেসরি ও প্রাথমিক শাখা
স্কুল স্থাপন করতে গেলে প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগের। কিন্তু সেই অর্থ যেন শিক্ষাব্যবস্থাকে গ্রাস করতে না পারে। সেই ভাবনা থেকেই একদা স্থাপিত হয়েছিল পাঠভবন সোসাইটি। সেই সোসাইটির পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠিত হয় পাঠভবন স্কুল। ২৮ জুন, ১৯৬৫ সালে বিভিন্ন শ্রেণীর ১৬ জন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শুরু হল পাঠভবন। স্কুলের প্রথম দিকের রেজিস্টারে অভিভাবকদের নাম ও সই দেখলে শিহরিত হতে হয়। পাঠভবনের লোগো এঁকে দিলেন সত্যজিৎ রায়। জ্বলন্ত মশাল। যে মশালের আলোর সরে যায় অশিক্ষা ও অজ্ঞানতার অন্ধকার। পাঠভবনের ব্যানারে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল উদযাপিত হয়। সেই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালকে কেন্দ্র করে উঠে আসে বেশ কিছু অর্থ এবং সেটাই ছিল পাঠভবনের প্রথম ফান্ড। সারা পৃথিবীতে সেটিই ছিল প্রথম সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল।
সত্যজিৎ রায়ের করা পাঠভবনের লোগো
এমন ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস যে স্কুলের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে, এখনও কি তার আদর্শ, পরিকাঠামো, পরিবেশ আগের মতো আছে? এই নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল পাঠভবনের বাংলার শিক্ষক দেবাশীষ পালের সঙ্গে। তিনি যা বললেন, তাতে যেমন সাফল্যের উচ্ছ্বাস আছে, তেমনই দীর্ঘ অভ্যাস থেকে একটু একটু করে সরে আসার যন্ত্রণাও আছে। “জানেন ২০২৪ সাল হচ্ছে সেই বছর, যে বছর পাঠভবন থেকে শেষ ব্যাচ বাংলায় মাধ্যম থেকে মাধ্যমিক দেবে।” এই কথা বলার পর কিছুক্ষণ নীরব ছিলেন দেবাশীষবাবু।
বালিগঞ্জ ছাড়া পাঠভবনের আর একটি শাখা রয়েছে ডানকুনিতে, যেটি ১৯৯২ সালে তৈরি হয়েছিল। দুটি শাখাই পাঠভবন সোসাইটি দ্বারা পরিচালিত হয়। স্কুলের জন্য রাজ্য সরকার অনুমোদিত শিক্ষকদের মহার্ঘ্য ভাতা দেয় এছাড়া, বাদবাকি খরচ চলে পড়ুয়াদের ভর্তির ও মাস মাইনের টাকায়। মন্তেসরি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পঠনপাঠনের ব্যবস্থা আছে। বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ৫৫ হলেও অনুমোদিত শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যাটা এর অর্ধেকের মতো। শুরুর দিন থেকে মিশ্র মাধ্যমে পড়াশোনা চললেও ২০২০ সালে যখন শেষবারের মতো পাঠভবনের বাংলা মাধ্যমে ভর্তির জন্য সামান্য আবেদন এলো, আর পরবর্তী বছরগুলোতে এলো না, তখন স্কুলের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বাধ্য হয়ে ইংরেজি মাধ্যমেই পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে হয়েছে।
১৯৯০ সালেও পাঠভবনে ৩টি ইংরেজি মাধ্যম সেকশন ২টি বাংলা মাধ্যম সেকশন থাকত। পরীক্ষার বেশিরভাগ ভালো ফল বাংলা মাধ্যম থেকেই হতো। ধীরে ধীরে পাঠভবনে ২ থেকে কমে এখন ১টি বাংলা মিডিয়াম সেকশন হয়েছে। তাতে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৫, ১৬ বা ১৭ জন। সেখানে ইংরেজি মাধ্যমের একেকটা সেকশনে পড়ুয়ার সংখ্যা ৪০, ৪২, ৪৪ জন। এই ভাবেই বাংলা মাধ্যম অস্তিত্ব হারিয়েছে পাঠভবনে। স্কুলটি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ অনুমেদিত হলেও মাধ্যমটা বাংলা থেকে এখন পুরোপুরি ইংরেজি হয়ে গেছে। এটাই সময়ের দাবি, আর এই দাবি পাঠভবনের ম্যানেজিং কমিটিকে মানতে হয়েছে স্কুলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার তাগিদ থেকে। “বছর পাঁচেক আগে পাঠভবন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ছাত্র ভর্তির প্রবণতার দিকটি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেয়, বাংলা মাধ্যম তুলে দেওয়া হবে। সেই মিটিংয়ে আমি নিজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক হয়েও ম্যানেজিং কমিটির এই সিদ্ধান্তে সায় দিই। কারণ একটাই, স্কুলটাকে বাঁচিয়ে রাখা। ফলে গত পাঁচ বছর ধরে ক্লাস ফাইভে বাংলা মাধ্যমে আর ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না।” বলছিলেন দেবাশীষবাবু।
সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তরুণ মজুমদার, কিশোর কুমার, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সন্তানেরা পাঠভবনে পড়েছেন। আগে শিক্ষিত, বুদ্ধিজীবী, মধ্যবিত্ত বাঙালিদের প্রথম পছন্দ ছিল পাঠভবন স্কুল। তখন পড়ানো, সংস্কৃতি চর্চার জন্য অখণ্ড অবকাশ ছিল। এখন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে গিয়ে অনেক কিছুর সঙ্গে ‘কম্প্রোমাইজ’ করতে হচ্ছে। অবশ্যই এর অন্যতম একটা কারণ দিল্লি বোর্ড, সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ডের সর্বগ্রাহী প্রভাব। এর ফলে বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলিকে অস্তিত্বের সংকটে পড়তে হল, বাদ গেল না পাঠভবন স্কুলও। তবে, হ্যাঁ লেখাপড়ায় আজও পাঠভবনের ছাত্রছাত্রীরা ভালো। যতোই যা অসুবিধা থাক পড়াশোনার দিক থেকে কখনও কোনও ‘কম্প্রোমাইজ’ পাঠভবন অতীতে করেনি, এখনও করে না।
প্রায় ৫৮ বছর আগেকার স্কুলের প্রথম ছাত্রছাত্রী-রেজিস্ট্রেশন কপি। যেখানে জ্বলজ্বল করছে কুনাল সেন, অমিত কুমার, সন্দীপ রায়ের নাম। ছবি সৌজন্যে- কুনাল সেন
লন্ডননিবাসী, পাঠভবনের প্রাক্তন ছাত্র অর্থনিতিবিদ ও প্রাবন্ধিক মৈত্রীশ ঘটকের কথায়, “আমি বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই সমান স্বচ্ছন্দ, গবেষণার কাজের বাইরে যেটুকু লেখালিখি করি, দুই ভাষাতেই করি। অনেকেই আমায় বলেন দুই ভাষায় সমান স্বচ্ছন্দ এখন আর খুব বেশি কাউকে দেখা যায় না। তা জানি না, কিন্তু আমার ক্ষেত্রে এর জন্যে মূলত দায়ী কিন্তু উমাদি। তাঁরই উৎসাহে আমাকে পাঠভবনে বাংলা মাধ্যমে ভর্তি করেন আমার মা। সিদ্ধান্তটা আত্মীয়স্বজন সবাই যে সমর্থন করেছিলেন, তা নয়। কিন্তু উমাদির যুক্তি ছিল, নিজের ভাষায় ভিত শক্ত হলে, অন্য ভাষাতেও দখল ভালো হবে। এ ছাড়া আমাদের ছোট ক্লাসে পরীক্ষার চাপ ছিলনা, এর পেছনেও উমাদি এবং পাঠভবন স্কুলের অন্যান্য অগ্রণী শিক্ষক-শিক্ষিদের শিক্ষা নিয়ে ব্যতিক্রমী ভাবনাচিন্তার ছাপ ছিল।”
পাঠভবনের পুরোনো চেহারা
দেখা যাচ্ছে, এখন এমন অনেকে পাঠভবনে নিজেদের সন্তানদের ভর্তি করাচ্ছে, যাদের অর্থ সঙ্গতি আছে কিন্তু বোধের অভাব। আজ থেকে ১৫/২০ বছর আগে পাঠভবনে ভর্তির ফর্মের জন্য শেষরাত থেকে অভিভাবকরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন। দেবাশীষ পাল এই প্রসঙ্গে বলছিলেন, “কোভিড ও লকডাউনের ফলে তখন দীর্ঘদিন স্কুলে অনলাইন ক্লাস হয়েছে। তার ফলে ছেলেমেয়েরা অনেক প্রযুক্তিবন্ধু হয়ে উঠেছে। বই পড়ার সামান্য যে অভ্যাসটুকু ছিল, তাও চলে গেছে। এই যেমন ‘নুপূর’ বানান ‘নুপূর’ কেন, সেটা ব্যাকরণগত কারণে যতটা না উচ্চারণ নির্ভর তার থেকে বেশি দৃষ্টি নির্ভর। এই শিক্ষাটা বই পড়া থেকে তৈরি হয়, অক্ষর দেখতে হয়, চিনতে হয়। সেই অভ্যাসটা এখনকার স্কুল পড়ুয়াদের একটা বড়ো অংশের মধ্যে আর নেই।”
দেবাশিষবাবু আরও বলছিলেন, “আগে একটা সময় ছিল যখন আমাদের স্কুলের অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথই সবটা জুড়ে থাকতেন। এখন বাংলা ব্যান্ডের গানও পাঠভবনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হয়, হিন্দি গানও হয়। তার মানে ভাববেন না, আমরা গোঁড়া। আমরা ঐতিহ্য ও আধুনিকতাকে মেলাতে চাইছি। চাইছি রবীন্দ্রসংগীতের পাশাপাশি সৃষ্টিশীল কাজও মর্যাদা পাক। আমরা রবীন্দ্রনাথের শিক্ষায় সব অচলায়তনকে ভেঙে সামনের দিকে এগিয়ে চলার দলে। পাঠভবন ভালো ছাত্রছাত্রীই শুধু তৈরি করে তা নয়, ছাত্রছাত্রীদের ভালো মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করে, যার মূল্যবোধ আছে।”
এই প্রসঙ্গে দেবাশীষবাবু চমৎকার একটা গল্প বললেন। উমাদি, মানে পাঠভবনের রূপকারকে নিয়ে এই কাহিনি। পাঠভবনের প্রবীণ শিক্ষক দীপংকর সরকারের কাছে এই গল্প শুনেছিলেন তিনি। একদিন উমাদি গম্ভীরমুখে একটা ক্লাস থেকে বেরিয়ে আসছেন। উমাদিকে তখন দীপংকর সরকার জিজ্ঞেস করছেন, ‘কি ব্যাপার, মুখ গম্ভীর করে আছেন কেন? উত্তরে উমাদি বলেছিলেন, ‘ক্লাসে একটু বকাঝকা করে এলাম। এখন ভয় লাগছে, এদের মধ্যে হয়তো আগামীর রবীন্দ্রনাথ লুকিয়ে আছে, পরে বড়ো হয়ে হয়তো জীবনস্মৃতিতে আমায় একহাত নেবে।’
স্কুলের বসন্ত উৎসবে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে উমাদি
এতোটাই ছাত্রছাত্রীদের প্রতি স্নেহ, ভালোবাসা, সম্মান বোধ ছিল উমাদির। এটাই পাঠভবনের আসল সম্পদ। উমাদির এই বক্তব্যের সারার্থ হলো ছাত্রদের উপর ভরসা, ভালোবাসা থাকতে হবে। “আর তাই পাঠভবনকে আমরা উমাদির পাঠভবন হিসাবেই ভাবি। সেই ভাবনাই অন্য পাঁচটা স্কুল থেকে পাঠভবনকে এখনও আলাদা করে রেখেছে। যার ফলে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফলেও তার ছাপ থাকছে। ২০২২-এ মাধ্যমিকে কলকাতায় প্রথম স্থান পেয়েছিল পাঠভবন, ২০২২-এ উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম ছিল পাঠভবন।” বলেন দেবাশীষবাবু।
বিড়লা অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ পাঠভবনের ২০২২-এর প্রদর্শনী
এখনও প্রতি বছর নিয়ম করে বিড়লা অ্যাকাডেমিতে পাঠভবনের পড়ুয়াদের একটি অসাধারণ চিত্র প্রদর্শনী হয়। ২২ শ্রাবণ, রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুদিনে পাঠভবনে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাও হয়। সেখানে গান, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, আবৃত্তি, নাটক ইত্যাদি হয়। বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, বড়ো ছুটির আগে সাহিত্য সভা হয়। আবৃত্তি, নাটকের কর্মশালা হয়। তাই সমস্ত প্রতিবন্ধকতা জয় করে যেমন ‘পাঠভবন বাঁচানোর লড়াই’ চলছে, তেমনই সুস্থ সংস্কৃতিকে সামনে রেখে পড়ুয়াদের মূল্যবোধ জাগরিত করার কারিগর হিসাবেও স্কুলটি কাজ করে চলেছে অক্লান্ত। সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যকে সামনে রেখেই পাঠভবন সমুখপানে এগিয়ে চলেছে। তার এই এগিয়ে চলার গতি রোখে কে?
_____________________
তথ্য সূত্র: দেবাশীষ পাল, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক পাঠভবন স্কুল। চন্দন দাস, প্রাক্তন ছাত্র, পাঠভবন স্কুল।
ছবি : সংগৃহীত