নয়া দিল্লীঃ শতাব্দী পুরনো অযোধ্যা রাম মন্দির – বাবরি মসজিদ বিতর্কে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত গোটা বিশ্বের মিডিয়ায় প্রাধান্য পেয়ে অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে। বেশিরভাগ বিদেশী সংবাদ মাধ্যম এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে।
মন্দিরের পথ সুগম হলঃ নিউ ইউর্ক টাইমসভারতের সর্বোচ্চ আদালত দেশের সবথেকে পুরনো ধার্মিক স্থলে আইনি বিবাদের মাধ্যমে হিন্দু মন্দির নির্মাণের জন্য পত সুগম করে দিয়েছে। সবথেকে ভালো ব্যাপার হল, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সরকার নিজে হস্তক্ষেপ না করে আদালতের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানের রাস্তা খুঁজেছে। আদালত মুসলিম সম্প্রদায়কেও মসজিদ বানানোর জন্য বিকল্প জমি দেওয়ার আদেশ দিয়েছে। এর মানে হল, দুই পক্ষের দস্তাবেজ আর এএসআই এর প্রমাণ পাওয়ার পর আদালত এই আদেশ দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মুসলিমদের ভয় ছিল যে, তাঁরা দেশে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে যাবে, কিন্তু সিদ্ধান্ত নিরপেক্ষ ছিল।
বহু বছরের লড়াইয়ের পর সিদ্ধান্তঃ ওয়াশিংটন পোস্ট
একদিন আগে নিজেদের অপ-অ্যাডে রানা আয়ুবের অযোধ্যা মামলা নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্যের পর, সংবাদ পত্র সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর ঝটাপট রিপোর্ট নিজেদের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেয়। সংবাদ মাধ্যম লেখে, আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ধ্বস্ত মসজিদের স্থলে হিন্দু মন্দির বানানো হবে। বছরের পর বছর ধরে চলা আইনি লড়াইয়ের পর ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে হিন্দু আর মুসলিম দুই পক্ষই স্বীকার করেছে। এই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি বড় জয় হিসেবে দেখা যাবে, কারণ কয়েকমাস আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় এসেছিল।
সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হতে পারেঃ ডন
শীর্ষ আদালত বিতর্কিত স্থানে মন্দির নির্মাণের জন্য হিন্দুদের জায়গা দিয়ে দিয়েছে। আদালত নিজের সিদ্ধান্তে এটাও বলেছে যে, ৪৬০ বছরের পুরনো বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া আইনের উলঙ্ঘন ছিল। এই সিদ্ধান্তে মুসলিম পক্ষের আইনজীবী অসন্তোষ জাহির করেছেন।