হাতে গোনা আর মাত্র চারদিন। তারপরই সারা দেশ জুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালনের সঙ্গে সঙ্গে পালিত হবে আরও এক সম্প্রীতির উৎসব রাখী বন্ধন।
ইতিমধ্যেই রাখীর পসরা সাজিয়ে বসে পড়েছেন দোকানিরা। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও সারা দেশ জুড়ে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা নিজের আপনজনদের হাতে রাখী বাধার পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের হাতে পরিয়ে দেবে রাখী যার মধ্য দিয়ে তৈরি হবে এক নতুন সৌহার্দ্য।
তবে সম্প্রীতির এক অন্য নজির গড়তে চলেছে বারানসীর মুসলিম মহিলারা। তথাকথিত ভাবে যারা থাকেন হিজাবের আড়ালে, এবার তাঁরাও রাখী বন্ধনের মতো উৎসবে সামিল হতে চলেছেন। যার জেরে বারানসীর মুসলিম মহিলারা নিজের হাতে রাখী বানিয়ে পাঠালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই বারাণসী থেকে জিতেই প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রীকে নিজেদের বানানো রাখী পাঠাতে পেরে খুশি বারানসীর এই মহিলারাও। তাঁদের কথায়, ‘মোদী আজ আমাদের জন্য যা করেছেন এর আগে কোনও সরকার আমাদের জন্য তা করেনি, হয়ত ভেবেও দেখেনি তারা। মোদী আজ মুসলিম নারীদের দুর্দশার কথা ভেবে তিন তালাকের মতন একটি প্রথাকে সংবিধান থেকে বিলোপ ঘটিয়ে হাজার হাজার মুসলিম নারীকে স্বামীর এবং শ্বশুর বাড়ির নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
বারানসীর এক মুসলিম মহিলা বলেন, ‘মোদী আমাদের কাছে বড় ভাইয়ের মত। তিনি শুধু একজন নেতাই নন, একজন অসম্ভব ভালো মনের মানুষও বটে। আজ মোদী আমাদের পাশে আছেন বলে মুসলিম নারীরা সব দিক থেকে এগিয়ে যেতে পারছে। তাইতো এমন একটা ভালো দিনে এই দাদার হাতে মুসলিম বোনেরা রাখি বাঁধবে না তাই কি হয়?’
মোদীকে রাখি পাঠানো নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই মহিলারা। এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সকলেই। যদিও অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ ইউনিয়নের তরফে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কিছু মুসলিম নারীকে দিয়ে এমন কাজ করাচ্ছে এই সরকার। আরএসএসের মুসলিম সংগঠনই এই কাজ করছে।
তিনি আরও দাবি করেন মুসলিম মহিলাদের স্বাধীনতার নামে তিনি তাদেরকে নিজের দলের দিকে টানছেন। যাতে আগামী ভোটে এর প্রভাব বজায় থাকে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি সরকার। এক কথাই দেশ চালানোর নামে তিনি জনগণের উপর স্বেছাচারী শাসন করে চলেছেন বলেই দাবি মুসলিম লীগের ।