শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পাকিস্তান ভাগ করে বাংলার অস্তিত্ব রক্ষা করেছিলেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ এই
দীর্ঘ ২৪বছর পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙলা বলতে এই পশ্চিম বঙ্গকেই বোঝাত। আর বাংলার আরেকটা ভাগ ছিল পাকিস্তান।
তাই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পাকিস্তানের থেকে এক খন্ড বাংলাকে উদ্ধার করেছিলেন।
আর এটা উনি করেছিলেন শুধু মাত্র বাঙালিদের বাঁচানোর জন্য।
দেশ যখন ভাগ হয়েছিল যারা ভাগ চেয়েছিল তারা কিন্তু এই সব ভাষা সংস্কৃতি নিয়ে মাথা ঘামায় নি। তাদের একটাই দাবি ছিল তাদের কওমের জন্য আলাদা দেশ।
আশ্চর্যের বিষয় এই দাবি কিন্তু বর্তমান পাকিস্তান বলে যে ভুখণ্ড সেখান থেকে ওঠেনি বা সেখানকার সাধারণ মানুষ এই দাবিতে উত্তাল হয়েও ওঠেনি।
দাবি উঠেছিল বর্তমান ভারতের ভূখণ্ড থেকে। আর আমাদের তথাকথিত অসাম্প্রদায়িক বাংলার থেকে সেই দাবির সমর্থনে উত্তাল হয়েছিল। তখনকার প্রাদেশিক নির্বাচনের ফল, ডায়রেক্ট এক্সনে কলকাতার রায়ট সবই এর প্রমান।
ভারত ভেঙে যে পাকিস্তানের দাবি তুলেছিল সেখানে বাঙালী সেন্টিমেন্ট বা বাংলা ভাষার কোন ভূমিকা ছিল না।
পরে যে বাংলা নামধারী দেশটা হয়েছে সেটার আসল কারণ ছিল অন্য।
তখনকার আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দুই মহাশক্তিধরের লড়াইয়ে বাংলা নামধারী একটা দেশ হয়েছিল। ভাষাটা ছিল উপলক্ষ মাত্র। ভারত তাতে অনুঘটকের কাজ করেছে।
তখন যদি এখনকার মত আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি থাকলে কোনোদিন বাংলা নামধারী দেশটা হতই না।
তবে বাংলা নামধারী দেশটার ৯০%মানুষ এখনও পাকিস্তানের নামে লালা ঝরে।
তাই সেই সময় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় না থাকলে বাঙালি আজ সিন্ধিদের মত ভুখণ্ডহীন যাযাবরের মত জীবন যাপন করতে হত।
বাঙালি বলতে আমি এখানে সনাতনীদের কথা বলছি।
তাই সনাতনী বাঙালিরা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর কাছে চিরঋণী।