আধুনিক সংবাদপত্রের বিকাশের সাথে সাথে এই সংক্রান্ত যে সমস্যার মুখোমুখি সারা পৃথিবীকে হতে হয়েছে তা হল হলুদ সাংবাদিকতা। অর্থাৎ সংবাদপত্র তার নিরপেক্ষতা নষ্ট করে কোনো একজনের পক্ষ নেয় আর বিপরীত পক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যে বা বিকৃত খবর পরিবেশন করতে থাকে। অবশ্ কখনো কখনো বিতর্কিত খবর প্রকাশ করে প্রচার ও বিক্রি বাড়ানোও হলুদ সাংবাদিকতার লক্ষ হয়।
আর বর্তমানে ভারতে হলুদ সাংবাদিকতার অন্যতম লক্ষ হল আরএসএস। এমনটাই জানালেন সংঘ মিডিয়ার সহ-প্রধান। তবে আরএসএস কখনও পোল জরিপ পরিচালনা করেনি। কিন্তু তাদের ধারণা যে এমন হয়।
সোমবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের জাতীয় মিডিয়া সহ-ইনচার্জ নরেন্দ্র ঠাকুর বলেন যে আরএসএস মিথ্যে খবরের প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। সাংবাদিকদেরকে জাতি গঠনে তাদের ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
বার্ষিক দেবঋষি নারদ পাত্রকার সম্মান সমারোহে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ই তিনি “সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে নেতিবাচক সাংবাদিকতা এবং জাল খবর” এর বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন।
ঠাকুর বলেন‚ “ভুয়া খবর একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। ব্রেকিং নিউজের চাপ মিডিয়াকে সত্যের গভীরে যেতে বাধা দেয়। আজকাল জাল খবরের প্রধান লক্ষ্য হল আরএসএস। আরএসএস সম্পর্কিত অনেক খবর কোথা থেকে আসে তা আমরা জানি না।” উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন অনেক নিউজপেপার প্রকাশ করে যে আরএসএস নির্বাচনী সমীক্ষা পরিচালনা করে। আসল বিষয়টি হল আরএসএস পোল সার্ভে করে না এবং কখনও এজেন্সি নিয়োগ করে না।।
তিনি বলেন যে এখনও মিডিয়াতে এই ধারণা ছিল যে আরএসএস সমীক্ষা চালায়।
এই সিনিয়র আরএসএস নেতা আরও বলেন যে জাতি গঠনে মিডিয়ার ভূমিকা রয়েছে। তা হল সত্যের নীতি এবং সেই সত্য কীভাবে সমাজকে প্রভাবিত করবে তা সাংবাদিকদের অনুসরণ করতে হবে।
সাংবাদিকদের আত্মগরিমা জাগিয়ে তোলার জন্য সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত মহাত্মা গান্ধী সহ স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় অনেককে স্মরণ করে শীর্ষস্থানীয় আরএসএস কর্মী বলেন, “স্বাধীনতার আগে যেমন ছিলো‚ ভারতীয় সমাজে এই আত্ম-সম্মান এবং আত্মগরিমা পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজন। এই কাজে মিডিয়ার ভূমিকা রয়েছে।”
সৌভিক