কোনও টিকার নাম না করে, আদর পুনাওয়ালা বলেন যে এখনও পর্যন্ত বিশ্বে মাত্র তিনটি ভ্যাকসিনই প্রমাণ করতে পেরেছে যে সেগুলি কার্যকরী-ফাইজার, মডার্না ও অক্সফোর্ড।
সরকারের থেকে ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে অক্সফোর্ডের করোনা টিকা কোভিশিল্ড। কিন্তু এখনও কেন্দ্রের থেকে টিকার বরাত পায়নি সেরাম ইনস্টিটিউট। ভারতে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার নির্মিত টিকা নিয়ে এসেছে সেরাম। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা আদর পুনাওয়ালা জানান যে এখনও পার্চেজিং অর্ডার তারা পাননি। সেটা এলে সাত-দশ দিনের মধ্যেই যথাস্থানে টিকা চলে যাবে বলে তিনি জানান।
আদর পুনাওয়ালা জানান প্রাথমিক ভাবে তারা সরকারকে প্রতি টিকার ডোজ ২০০ টাকার রেটে দিচ্ছেন। প্রথম দশ কোটি ডোজ এই রেটে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। সরকার অনুমতি দেওয়ার পর খোলা বাজারে এটি বেচা হবে ও দাম হাজার টাকা অবধি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সেরাম কর্তা। আপাতত প্রায় ৫ কোটি টিকার ডোজ জমা করে রেখেছে সেরাম। প্রাথমিক ভাবে সরকার দশ কোটি ডোজ নেবে। মার্চ-এপ্রিলের আগে খোলা বাজারে বিক্রির অনুমতি পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন না সেরাম কর্তা পুনাওয়ালা। এমনকী রফতানির ওপরও আপাতত নিষেধাজ্ঞা আছে বলে জানান তিনি।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কোভাক্স প্রজেক্টে ১০ কোটি ডোজ পাঠাবে সেরাম। কিন্তু তার জন্য সরকারের ছা়ড়পত্র লাগবে। মাস দুয়েকের মধ্যে ভারতে পর্যাপ্ত টিকা জোগান দেওয়ার পর সরকার বাইরে টিকা পাঠানোর অনুমতি দেবে বলে মনে করেন আদর পুনাওয়ালা। প্রসঙ্গ শনিবার বিশেষজ্ঞ কমিটি ও তারপর রবিবার ডিজিসিআই, অর্থাৎ সরকারের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোভিশিল্ডকে জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেয়। এক মাসের ব্যবধানে টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হলে কার্যকারীতা ৬২ শতাংশ ও দুই থেকে তিন মাস বাদে দিলে টিকার কার্যকারীতা ৯০ শতাংশ বলে জানান আদর পুনাওয়ালা।
মহামারীর সময় টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থারা যাতে আইনি কোনও ঝামেলায় না জড়িয়ে যায়, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছেন আদর পুনাওয়ালা। সেই নিয়ে আইনমন্ত্রকের সঙ্গে সরকার শলা-পরামর্শ করছে বলে তিনি জানান। প্রসঙ্গত, সেরাম ছাড়াও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকেও ছাড়পত্র দিয়েছে সরকার। কোনও টিকার নাম না করে, আদর পুনাওয়ালা বলেন যে এখনও পর্যন্ত বিশ্বে মাত্র তিনটি ভ্যাকসিনই প্রমাণ করতে পেরেছে যে সেগুলি কার্যকরী-ফাইজার, মডার্না ও অক্সফোর্ড।