ফের হিন্দু রাষ্ট্রের তকমা ফেরানোর দাবিতে সরব হল নেপাল। শুধু তাই নয়, নেপালের আমজনতার এই দাবিকে মান্যতা দিয়েছেন সরকারের সিনিয়র মন্ত্রী প্রেম আলে। তিনি বলেছেন, ‘নেপালের জনগণ যদি এমনটা চায়, তাহলে গণভোটের আয়োজন করা যেতে পারে’।
কেপি ওলি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনই হিন্দু রাষ্ট্রের তকমা ফেরানো দাবিতে নেপালের জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান কয়েক হাজার নাগরিক। এবার সেই দাবি আরও জোরালো হচ্ছে। দেশের জাতীয় ঐক্য ও নাগরিকদের ভালর জন্যই তাঁদের এই দাবি বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
এরপরই বৃহস্পতিবার নেপালের পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রেম আলে কাঠমান্ডুতে একটি সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় বলেন যে, ‘নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণার দাবি ভাবা যেতে পারে।’ কার্যনির্বাহী পরিষদের ওই বৈঠকে নেপাল, ভারত, বাংলাদেশ, আমেরিকা, শ্রীলঙ্কা জার্মানি ও ব্রিটেনসহ ১২ টি দেশের বহু প্রতিনিধি অংশ নেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘যেহেতু বর্তমান সংসদে পাঁচদলীয় জোটের তিন ভাগের দুই ভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে ফলে নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবিতে গণভোটে করা যায়।’
সভায় অজয় সিং এর সমর্থনে প্রশ্ন করেন, ‘যদি কিছু দেশকে ইসলামিক দেশ ঘোষণা করা যায়, অন্যান্য বহু দেশকে যদি তাদের সরকার খ্রিস্টান দেশ বলে ঘোষণা করতে পারে তাহলে কেন নেপালকে হিন্দু গণতান্ত্রিক দেশ ঘোষণা করা যাবে না? আমি নেপালি কংগ্রেস, সিপিএন-ইউএমএল এবং মাধেসী দলগুলি আহ্বান জানাই আপনারা নেপালকে হিন্দু জাতি হিসাবে ঘোষণা করতে এগিয়ে আসুন।’