রাঁচিঃ অযোধ্যা নিয়ে রায় ঘোষণা হওয়ার পর প্রথমবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ রাম মন্দির নিয়ে বড় বয়ান দিলেন। ঝাড়খণ্ডের একটি নির্বাচনী সভাতে অমিত শাহ বলেন, অযোধ্যাতে গগনচুম্বী রাম মন্দির হবে। ঝাড়খণ্ডের লাতেহারে জনতার কাছে অমিত শাহ প্রশ্ন করেন, আপনারাই বলুন রাম মন্দির চাই তো? কিন্তু কংগ্রেস দল আদালতে অযোধ্যা নিয়ে মামলা লড়তেই দিচ্ছিল না। এবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। এবার রাম জন্মভূমিতে গগনচুম্বী মন্দির হবে।
উনি বলেন, আমরা চাইছিলাম যে, এই নির্ণয় আদালত নিক। সাংবিধানিক রুপে এই বিতর্কের অন্ত চাইছিলাম আমরা। আর দেখুন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে, আর অযোধ্যাতে রাম মন্দির বানানোর অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের একটির পর একটি সমস্যার সমাধান করে চলেছে। অমিত শাহ বলেন, ভোটের লোভে কংগ্রেস কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া নিয়ে কোন কথা বলেনি। নরেন্দ্র মোদী সরকার ভারত মাতার মুকুটে লেগে থাকা এই কলঙ্ককে হটিয়ে সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে।
অমিত শাহ বলেন, আজ ঝাড়খণ্ড উন্নতির রাস্তায় অগ্রসর হয়েছে, কারণ উপরে নরেন্দ্র মোদীর সরকার আর রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার চলছে। ঝাড়খণ্ডকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীজি বানিয়েছিলেন, মোদীজি এই রাজ্যকে উন্নত করেছেন আর আগামী দিনে আরও উন্নত করে এই রাজ্যকে এক নম্বর বানাবেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন কংগ্রেসের উপর আক্রমণ করে বলেন, জনতা আপনাদের ১০ বছর সময় দিয়েছিল, কিন্তু আপনারা ঝাড়খণ্ডের জন্য কিছুই করেননি। আমি কংগ্রেস আর হেমন্ত সোরেনকে বলতে চাই, নির্বাচনে আপনারা আসছেন তো হিসেব নিয়ে আসুন, ঝাড়খণ্ডের উন্নয়ন কে করেছে দেখিয়ে দিন। ঝাড়খণ্ডের মানুষ আপনাদের থেকে জবা চায়।